করোনাভাইরাস: ভারতে আক্রান্ত-মৃত্যুর নতুন রেকর্ড
ভারতে গেল ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন লাখ ৬২ হাজার ৯০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া এই ভাইরাসে গত একদিনে মারা গেছেন ৩ হাজার ২৮৫ জন। ভারতে এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত দেশটিতে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৭ জন এবং মারা গেছেন দুই লাখ এক হাজার ১৬৫ জন। আক্রান্তের দিক থেকে দেশটি বিশ্বে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এছাড়া দেশটিতে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে এক কোটি ৪৮ লাখ ৭ হাজার ৭৪০ জন।
এসএস
মন্তব্য করুন
চোয়াল প্রতিস্থাপনে সফল দেশের চিকিৎসকরা
দেশে প্রথমবারের মতো চোয়াল প্রতিস্থাপন হলো শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পায়ের হাড় দিয়ে পুরো চোয়ালের প্রতিস্থাপন বিশ্বে নজিরবিহীন; যা সম্ভব করেছে দেশের চিকিৎসকরা।
কিশোর হারুন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দিনে দিনে তার টিউমার ছড়িয়ে পড়ে তার মুখের নিচের চোয়ালের পুরোটাজুড়ে। চিকিৎসকরা বিষয়টি আঁচ করলেও অপারেশনের সাহস করতে পারেননি। এর সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার অটিস্টিক সমস্যা। অপারেশনের তারিখ দেওয়া হলেও ডাক্তাররা বারবার তা পিছিয়ে দেয়।
এ অবস্থায় ডাক্তারদের অনেক আকুতি-মিনতি করেন হারুনের বাবা। ডাক্তারদের রাজি করাতে তিনি বলেন, আমার ছেলের অটিজমের কারণে ডাক্তাররা অপারেশন করাতে সাহস করছিলেন না। তখন আমি বলেছি অপারেশন করেন। ছেলে যদি বেঁচে থাকে আলহামদুলিল্লাহ, মরে গেলেও আলহামদুলিল্লাহ। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। পরে অপারেশনের প্রস্তুতি শুরু হয়।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নিতীশ কৃষ্ণ দাস বলেন, অটিস্টিক পেশেন্টের এমন অপারেশন খুবই জটিল। আর যদি তা হয় চোয়ালের অপারেশন তাহলে জটিলতা আরও বাড়ে। চোয়ালে লাগানোর জন্য হারুনের যে পায়ের হাড়টা নেওয়া হয়, সেই পায়ের রক্তনালিটাও নিই। পরে তা পেশেন্টের চোয়ালে শেপে আনতে টুকরো টুকরো করা হয়। এরপর রক্তনালির জোড়া দিয়েছি। জটিল এ অপারেশনটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে তা শেষ হওয়ায় ভালো লাগছে। পেশেন্টকে এখন নরম খাবার খেতে দেওয়া হয়েছে। সুস্থ হলে তার মাড়িতে কৃত্রিম দাঁত সংযোজন করবেন বলে জানান তিনি।
আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজ হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। আমি সবসময় সারপ্রাইজ ভিজিট দিই এবং সারাদেশেই দিচ্ছি। আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজও হচ্ছে। শুক্রবার পঞ্চগড়ে যে হাসপাতালটি ৫ বছর বন্ধ ছিল সেটি খোলা হয়েছে এবং অপারেশনও হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এই তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন ডাক্তার থাকে না এ বিষয়ে ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে কোথায় ডাক্তার থাকে না। ইতিমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইতিমধ্যে ২১ জন ডাক্তার পদায়ন করা হয়েছে। আমি খেয়াল রাখব তারা আসেন কি না? না আসলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডাক্তার সংকট এক দিনের সমস্যা নয় এটা বহু দিনের সমস্যা। স্ট্যান্ডার্ড সেটআপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। গরমের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড খালি রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এন্টিবায়োটিক এ যতগুলো সরকারি সাপ্লাই আছে, যেগুলো প্রয়োজনীয় সেগুলো সরবরাহ আছে। ভবিষ্যতে যাতে এগুলো সাধারণ মানুষ পায় সে বিষয় নিয়ে কাজ করা হবে। এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে এর ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকারভিত্তিক একটি প্রকল্প। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। দ্রুত এ প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হবে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারব, তত তাড়াতাড়ি দেশের বাইরেও রপ্তানি করতে পারব। এটি বাংলাদেশের একটি যুগান্তকারী প্ল্যান্ট হবে।’
জোড়া মাথা আলাদা করা রাবেয়া-রোকেয়া কেমন আছে, জানালো সিএমএইচ
মাথা জোড়া লাগানো যমজ শিশু রাবেয়া ও রোকেয়া অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় মন্ত্রী চলমান চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং অস্ত্রোপচারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল তাদের দেখতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যান ডা. সামন্ত লাল সেন এবং হাঙ্গেরি থেকে আগত চিকিৎসক দল।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাবনার চাটমোহর উপজেলার রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা বেগম দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় দুই মাথা জোড়া লাগানো যমজ সন্তান রাবেয়া ও রোকেয়া। যাদেরকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ক্র্যানিওপ্যাগাস টুইনস। মাথা জোড়া লাগানো যমজ শিশু চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বিকলতা। ২৫ লাখ জীবিত যমজ শিশুর মধ্যে মাত্র একটি জোড়া মাথার শিশু জন্ম নেয়। প্রায় ৪০ শতাংশ জোড়া মাথার শিশু মৃত অবস্থায় জন্ম নেয় এবং আরও এক তৃতীয়াংশ শিশু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা যায়। শতকরা প্রায় ২৫ ভাগ শিশু জোড়া মাথা নিয়ে বেঁচে থাকে, যাদের শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে আলাদা করার সুযোগ রয়েছে কিন্তু এর সাফল্যের হারও খুব বেশি নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১৯ সালের ১ আগস্ট ৩৩ ঘণ্টাব্যাপী বিরল এই অপারেশনটি প্রথমবারের মতো ঢাকার সিএমএইচে সম্পন্ন হয়, যা বিশ্বে ১৭তম।
চিকিৎসকরা জানান, অস্প্রোপচারের সবচেয়ে জটিল অংশ ‘যমজ মস্তিষ্ক’ আলাদাকরণের কাজটি সম্পন্ন করতে ২০১৯ সালের ২২ জুলাই রাবেয়া ও রোকেয়াকে সিএমএইচে আনা হয়। ১ আগস্ট অপারেশন হয় তাদের। অপারেশনে দেশি ও বিদেশি শতাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে একই হাসপাতালে ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি এবং ১৩ মার্চ পুনরায় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটব্যাপী দুটি অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এ অপারেশন দুটির মাধ্যমে তাদের মাথায় বিদ্যমান ক্ষতস্থান নতুন কোষ দ্বারা পূর্ণ করা হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রাবেয়ার মাথার বাম দিকের চামড়ার ক্ষত শুরু হয় এবং পরে তা বেড়ে চামড়ার নিচে লাগানো কৃত্রিম মাথার খুলি দৃশ্যমান হয়। এই জটিলতা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ২০২২ সালের ৭ মার্চ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সিএমএইচে একটি সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন। বর্তমানে রোকেয়া ও রাবেয়া দুজনই সুস্থ আছে।
‘আমি যেমন চিকিৎসকের মন্ত্রী, ঠিক তেমনি রোগীদেরও মন্ত্রী’
আমি যেমন চিকিৎসকের মন্ত্রী, ঠিক তেমনি রোগীদেরও মন্ত্রী বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত ৪১তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ও বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ক্যাডারের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী হিসেবে আমার বয়স মাত্র সাড়ে তিন মাস। এই অল্প সময়ে আমি যেখানে গিয়েছি একটা কথাই বলেছি, আমি যেমন চিকিৎসকের মন্ত্রী, ঠিক তেমনি রোগীদেরও মন্ত্রী। চিকিৎসকের ওপর কোনো আক্রমণ যেমন আমি সহ্য করব না, তেমনি রোগীর প্রতি কোনো চিকিৎসকের অবহেলাও বরদাস্ত করব না।
তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ অতি সাধারণ। তাদের চাওয়া-পাওয়াও সীমিত। ডাক্তারের কাছে এলে তারা প্রথমে চায় একটু ভালো ব্যবহার। একটু ভালো করে তাদের সঙ্গে কথা বলা, একটু মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনা। এটুকু পেলেই তারা সন্তুষ্ট।
নবনিযুক্ত চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী হিসেবে শুধু একটা প্রতিশ্রুতিই আমি দিতে পারি, তোমরা তোমাদের সর্বোচ্চ সেবাটুকু দিয়ে যাও তোমাদের বিষয়গুলোও আমি দেখব।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার। আমি মনে করি সেই স্বপ্ন পূরণ করার কারিগর তোমরা। যারা আজকে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করতে যাচ্ছো, আমার বিশ্বাস তোমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে।
সারাদেশে হিটস্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু
তীব্র গরমের ফলে সারাদেশে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত হিটস্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সারাদেশে হিটস্ট্রোকে নতুন মৃত্যুর বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
মৃতদের দুইজনের বাড়ি মাদারিপুরে ও একজনের বাড়ি চট্রগ্রাম জেলায়।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে হিটস্ট্রোকে নতুন করে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। সবমিলিয়ে বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এদিকে দেশব্যাপী চলমান তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের মধ্যে সোমবার (২৯ এপ্রিল) আবারও দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামীকাল মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে, ফলে আরও অসহনীয় গরম অনুভূত হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামীকাল সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা-ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করলো অ্যাস্ট্রাজেনেকা
কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা অবশেষে স্বীকার করলো ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। গত ফেব্রুয়ারিতে আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে খুব বিরল থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস) এর ঘটনা ঘটতে পারে। যার ফলে মানুষের রক্তে প্লাটিলেট কমে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়। খবর টেলিগ্রাফ।
ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকার কারণে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমন ডজনখানেক ঘটনার কথা উল্লেখ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বছর অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন জেমি স্কট নামের এক ব্যক্তি। তিনি ২০২১ সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ও তা জমাট বেঁধে যায়। যার ফলে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমে গেছে।
এর আগে স্কটের আইনজীবীর কাছে পাঠানো এক মেইলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের টিকার কারণে টিটিএস'র সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছিল তবে হাইকোর্টে জমা দেওয়া নথিতে এর দায় স্বীকার করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ভুক্তভোগীরা মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ব্রিটিশ-সুইস এই কোম্পানিটির স্বীকারোক্তির ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা গুনতে হতে পারে।
তীব্র তাপদাহে এসএমসির ওরস্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ
সপ্তাহজুড়ে দেশব্যাপী তীব্র দাবদাহে সাধারণ মানুষ তথা শ্রমজীবী মানুষ যে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে সেটি লাঘবে সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি) সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে দেশব্যাপী ১২টা আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে ওরস্যালাইন-এন ও বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ শুরু করেছে।
দেশব্যাপী এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকাস্থ এসএমসির প্রধান কার্যালয়ের সামনে (এসএমসি টাওয়ার, ৩৩ বনানী, ঢাকা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও তছলিম উদ্দিন খান এবং এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফ নাসির জনসাধারণের মাঝে এসএমসির ওরস্যালাইন-এন ও বোতলজাত বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করেন এবং কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ সময় এসএমসি এবং এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লি. এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে তছলিম উদ্দিন খান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সারা দেশে ওরস্যালাই-এন এর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করেছি যাতে করে জনসাধারণ এবং শ্রমজীবী মানুষ নিকটস্থ ফার্মেসি এবং দোকান থেকে প্রয়োজন মতো ওরস্যালাইন-এন ক্রয় করতে পারেন এবং তীব্র দাবদাহে সৃষ্ট সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি বা হিট স্ট্রোক এড়াতে পারেন।
এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফ নাসির বলেন, এসএমসি সবসময় সব ভালো কাজের সাথে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এসএমসি জনসাধারণের কল্যাণে এ ধরণের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে। পানিশূন্যতা রোধে এসএমসির ওরস্যালাই-এন পান করতে তিনি সবাইকে আহ্বান জানান।
সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি) বাংলাদেশের স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই দেশের নারী, শিশু ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি অবস্থা উন্নয়নে কাজ করে আসছে। বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য বিষয়-বিশেষ করে বন্যা, সাইক্লোন এবং অতিমারির সময়েও এসএমসি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।