করোনায় মৃত্যু আরও কমলো
করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৫০ জনের শরীরে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্ত দাঁড়াল ৫ লাখ ৪৩ হাজার ২৪ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৫ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৩৪২ জনে।
আজ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন আরও ৪২৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৯০ হাজার ৮৯২ জন।
উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশে আরও ৪০৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান ৮ জন।
জিএম/ এমকে
মন্তব্য করুন
ঘরে বসেই করা যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা, খরচ ১২০ টাকা
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) তৈরি কিট দিয়ে এখন ঘরে বসেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাবে। ডেঙ্গু র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটটি নামক কিটটির মূল্য মাত্র ১২০ টাকা। যা ডেঙ্গুর সব ধরনের সেরোটাইপ শনাক্ত করতে সক্ষম।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন বিআরআইসিএম-এর মহাপরিচালক মালা খান।
তিনি বলেন, ২০২১ সাল থেকে যখন দেশে ডেঙ্গু বাড়তে শুরু করে তখন থেকে আমরা কিট তৈরির কাজ করি। প্রোটোকলটি তৈরির পর ২০২২ সালের মার্চ মাসে এটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এর কাছে জমা দেই। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মধ্যে কিটটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়। আমরা যে কিট তৈরি করেছি সব করসহ এর দাম হবে ১২০ টাকা, যা আমদানি করা কিটের চেয়ে সস্তা।
ডিজিডিএর উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মালেক।সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর, আমরা বিআরআইসিএমকে ড্রাগ লাইসেন্স দিয়েছি এবং এই বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে কিট উৎপাদন শুরু করার অনুমোদন দিয়েছি।
জানা গেছে, গত জানুয়ারিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) কিটটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমোদন দেয়।
বিআরআইসিএম কর্মকর্তারা বলেন, সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক টেস্ট কিট আমদানি করতে হয়। যদি সরকারি হাসপাতালগুলো স্থানীয় পরীক্ষার তাদের কিট ব্যবহার করে তবে এটি ফরেক্সের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে।
তারা জানান, গত ২১ জানুয়ারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এই পরীক্ষার কিটগুলো কেনার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কোনো অর্ডার পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, এটি খুবই ভালো খবর। যেকোনো পণ্য কেনার জন্য আমাদের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আমরা আমাদের স্থানীয় পণ্যের প্রচার করতে চাই। সবগুলো মানদণ্ড পূরণ হলে আমরা অবশ্যই কিটটি কিনব।
দেশের হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে সারাদেশের হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। এই রোগী ব্যবস্থাপনায় নতুন নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে এবং হাসপাতালগুলোতে এ নীতিমালা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। স্যালাইন ও ওষুধ পর্যাপ্ত মজুত আছে। দাবদাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের এখন ভর্তি হওয়ার দরকার নেই) রোগীদের এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করা ও এখনই অস্ত্রোপচার প্রয়োজন নয়— এমন রোগী হাসপাতালে না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ গরমে সবচেয়ে বেশি ভালনারেবল বয়স্ক এবং বাচ্চারা। এবার এমন একটা জলবায়ু পরিবর্তন হলো যে আমরা জীবনে কখনও শুনিনি যে দুবাই বিমানবন্দর ডুবে গেছে। আমাদের এগুলো ফেস করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে যখন মেসেজ আসলো (হিট এলার্ট) আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেসেজ দিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কারণ, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বাচ্চা এবং বয়স্করা।
গরমে বাচ্চা ও বয়স্কদের প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে। আমরা বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলব না। গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ওরাল স্যালাইনের কোথাও কোনো ঘাটতি হলে যেন আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রকৃতির সঙ্গে তো আমাদের কারও হাত নেই। এটা আমাদের রেডি রাখতে হবে।
শিশুদের জন্য হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল শিশু হাসপাতালে গিয়েছি। কোল্ড কেসগুলোকে এখন হাসপাতালে ভর্তি না করতে বলা হয়েছে। শিশুদের ব্যাপারে সারাদেশের চিকিৎসকদের নিয়ে আজ থেকে একটি অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
‘তীব্র গরমে মেডিকেল কলেজের সাধারণ ক্লাস অনলাইনে’
দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে সাধারণ ক্লাস অনলাইনে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মেডিকেল কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে শিক্ষার্থীরা কীভাবে থাকছে, তাদের হোস্টেলে কী অবস্থা- সে বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের সাধারণ ক্লাসগুলো অনলাইনে হবে। তবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে রোগীদের এনে ক্লিনিক্যাল ক্লাসগুলো নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘রোগীদের বিষয়ে সারাদেশের হাসপাতালগুলোর পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের সঙ্গে কথা বলেছি। সব হাসপাতালে নির্দেশ দিয়েছি, আপাতত অপারেশন না করলেও চলে— এমন রোগীদের ভর্তি না নিয়ে হাসপাতাল খালি রাখতে, যাতে শিশু ও বয়স্করা, যারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, তারা সুযোগ পায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনার সময় ডিএনসিসির যে হাসপাতাল ছিল, তা আমরা প্রস্তুত রেখেছিলাম। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা তা ব্যবহার করব। এমন আবহাওয়া সমস্যা দ্রুত শেষ হয়ে যাবে আশা করছি, এটা সাময়িক। তাই এ সময়টায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে জরুরি রোগী ছাড়া ভর্তি না করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। এই রোগী ব্যবস্থাপনায় নতুন নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে এবং হাসপাতালগুলোতে এ নীতিমালা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। স্যালাইন ও ওষুধ পর্যাপ্ত মজুত আছে। দাবদাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের এখন ভর্তি হওয়ার দরকার নেই) রোগীদের এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করা ও এখনই অস্ত্রোপচার প্রয়োজন নয়— এমন রোগী হাসপাতালে না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গরমে বাচ্চা ও বয়স্কদের প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে। আমরা বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলব না। গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ওরাল স্যালাইনের কোথাও কোনো ঘাটতি হলে যেন আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়। এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রকৃতির সঙ্গে তো আমাদের কারও হাত নেই। এটা আমাদের রেডি রাখতে হবে।
চোয়াল প্রতিস্থাপনে সফল দেশের চিকিৎসকরা
দেশে প্রথমবারের মতো চোয়াল প্রতিস্থাপন হলো শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পায়ের হাড় দিয়ে পুরো চোয়ালের প্রতিস্থাপন বিশ্বে নজিরবিহীন; যা সম্ভব করেছে দেশের চিকিৎসকরা।
কিশোর হারুন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দিনে দিনে তার টিউমার ছড়িয়ে পড়ে তার মুখের নিচের চোয়ালের পুরোটাজুড়ে। চিকিৎসকরা বিষয়টি আঁচ করলেও অপারেশনের সাহস করতে পারেননি। এর সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার অটিস্টিক সমস্যা। অপারেশনের তারিখ দেওয়া হলেও ডাক্তাররা বারবার তা পিছিয়ে দেয়।
এ অবস্থায় ডাক্তারদের অনেক আকুতি-মিনতি করেন হারুনের বাবা। ডাক্তারদের রাজি করাতে তিনি বলেন, আমার ছেলের অটিজমের কারণে ডাক্তাররা অপারেশন করাতে সাহস করছিলেন না। তখন আমি বলেছি অপারেশন করেন। ছেলে যদি বেঁচে থাকে আলহামদুলিল্লাহ, মরে গেলেও আলহামদুলিল্লাহ। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। পরে অপারেশনের প্রস্তুতি শুরু হয়।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নিতীশ কৃষ্ণ দাস বলেন, অটিস্টিক পেশেন্টের এমন অপারেশন খুবই জটিল। আর যদি তা হয় চোয়ালের অপারেশন তাহলে জটিলতা আরও বাড়ে। চোয়ালে লাগানোর জন্য হারুনের যে পায়ের হাড়টা নেওয়া হয়, সেই পায়ের রক্তনালিটাও নিই। পরে তা পেশেন্টের চোয়ালে শেপে আনতে টুকরো টুকরো করা হয়। এরপর রক্তনালির জোড়া দিয়েছি। জটিল এ অপারেশনটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে তা শেষ হওয়ায় ভালো লাগছে। পেশেন্টকে এখন নরম খাবার খেতে দেওয়া হয়েছে। সুস্থ হলে তার মাড়িতে কৃত্রিম দাঁত সংযোজন করবেন বলে জানান তিনি।
আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজ হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। আমি সবসময় সারপ্রাইজ ভিজিট দিই এবং সারাদেশেই দিচ্ছি। আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজও হচ্ছে। শুক্রবার পঞ্চগড়ে যে হাসপাতালটি ৫ বছর বন্ধ ছিল সেটি খোলা হয়েছে এবং অপারেশনও হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এই তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন ডাক্তার থাকে না এ বিষয়ে ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে কোথায় ডাক্তার থাকে না। ইতিমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইতিমধ্যে ২১ জন ডাক্তার পদায়ন করা হয়েছে। আমি খেয়াল রাখব তারা আসেন কি না? না আসলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডাক্তার সংকট এক দিনের সমস্যা নয় এটা বহু দিনের সমস্যা। স্ট্যান্ডার্ড সেটআপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। গরমের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড খালি রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এন্টিবায়োটিক এ যতগুলো সরকারি সাপ্লাই আছে, যেগুলো প্রয়োজনীয় সেগুলো সরবরাহ আছে। ভবিষ্যতে যাতে এগুলো সাধারণ মানুষ পায় সে বিষয় নিয়ে কাজ করা হবে। এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে এর ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকারভিত্তিক একটি প্রকল্প। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। দ্রুত এ প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হবে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারব, তত তাড়াতাড়ি দেশের বাইরেও রপ্তানি করতে পারব। এটি বাংলাদেশের একটি যুগান্তকারী প্ল্যান্ট হবে।’
সারাদেশে হিটস্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু
তীব্র গরমের ফলে সারাদেশে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত হিটস্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সারাদেশে হিটস্ট্রোকে নতুন মৃত্যুর বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
মৃতদের দুইজনের বাড়ি মাদারিপুরে ও একজনের বাড়ি চট্রগ্রাম জেলায়।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে হিটস্ট্রোকে নতুন করে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। সবমিলিয়ে বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এদিকে দেশব্যাপী চলমান তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের মধ্যে সোমবার (২৯ এপ্রিল) আবারও দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামীকাল মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে, ফলে আরও অসহনীয় গরম অনুভূত হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামীকাল সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা-ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করলো অ্যাস্ট্রাজেনেকা
কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা অবশেষে স্বীকার করলো ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। গত ফেব্রুয়ারিতে আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে খুব বিরল থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস) এর ঘটনা ঘটতে পারে। যার ফলে মানুষের রক্তে প্লাটিলেট কমে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়। খবর টেলিগ্রাফ।
ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকার কারণে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমন ডজনখানেক ঘটনার কথা উল্লেখ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বছর অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন জেমি স্কট নামের এক ব্যক্তি। তিনি ২০২১ সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ও তা জমাট বেঁধে যায়। যার ফলে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমে গেছে।
এর আগে স্কটের আইনজীবীর কাছে পাঠানো এক মেইলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের টিকার কারণে টিটিএস'র সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছিল তবে হাইকোর্টে জমা দেওয়া নথিতে এর দায় স্বীকার করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ভুক্তভোগীরা মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ব্রিটিশ-সুইস এই কোম্পানিটির স্বীকারোক্তির ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা গুনতে হতে পারে।