আরটিভি নিউজ
০১ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:৪২
ইউনিসেফ-আইটিইউ রিপোর্ট
বিশ্বে ১৩০ কোটি স্কুলশিক্ষার্থীর বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ নেই

ফাইল ছবি
নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে স্কুলবয়সী প্রতি ২০ জন শিশুর মধ্যে ১ জনের কম শিশুর বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে প্রতি ১০ জন শিশুর ৯ জনের বাড়িতেই ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারে দেশ ও অঞ্চলজুড়ে ভৌগোলিক বৈষম্যও রয়েছে। বাড়িতে ইন্টারনেট না থাকা ৩ থেকে ১৭ বছরের স্কুলবয়সী শিশুর সংখ্যা দক্ষিণ এশিয়ায় ৮৮ শতাংশ (৪৪ কোটি ৯০ লাখ), পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৩২ শতাংশ (১৮ কোটি ৩০ লাখ), পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় ৯৫ শতাংশ (১৯ কোটি ৪০ লাখ), পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকায় ৮৮ শতাংশ (১৯ কোটি ১০ লাখ), মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ৭৫ শতাংশ (৮ কোটি ৯০ লাখ), লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে ৪৯ শতাংশ (৭ কোটি ৪০ লাখ) এবং পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় ৪২ শতাংশ (৩ কোটি ৬০ লাখ)। সাব-সাহারা আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার স্কুলবয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানে প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে প্রায় ৯ জনই ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে। ইউনিসেফ-আইটিইউয়ের প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ক্রয়ক্ষমতার বৈষম্য, সন্তানদের অনলাইনে নিরাপদ রাখতে মা–বাবার যথাযথ প্রস্তুতি না থাকা ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতি না থাকা এবং নিম্নপর্যায়ের ডিজিটাল দক্ষতার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এদিকে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও ইউনিসেফ পরিচালিত মাল্টি ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের তথ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরে জানানো হয়, বাংলাদেশের ৬২ শতাংশ পরিবারের বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই। বাংলাদেশে সবচেয়ে দরিদ্র ২০ শতাংশ পরিবারের মাত্র ৮ দশমিক ৭ শতাংশের বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। সবচেয়ে ধনী ২০ শতাংশ পরিবারের ক্ষেত্রে এ হার ৭৫ দশমিক ৩ শতাংশ। দূরশিক্ষণের আরেকটি প্রধান মাধ্যম টেলিভিশনের বেলায় বলা হচ্ছে, জাতীয়ভাবে ৫১ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন রয়েছে। সবচেয়ে দরিদ্র ২০ শতাংশ পরিবারের মধ্যে মাত্র ৪ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন রয়েছে। সবচেয়ে ধনী ২০ শতাংশ পরিবারের মধ্যে এ হার ৯০ দশমিক ২ শতাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেছেন, দূরশিক্ষণের এই মাধ্যমগুলো ব্যবহারের সুযোগ না পাওয়া শিশুরা ডিজিটাল বিভাজন ও বৈষম্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মহামারি চলাকালে তারা শিক্ষা গ্রহণের কম সুযোগ পেয়েছে। এটা তাদের শিক্ষাজীবন ও ভবিষ্যৎকে এলোমেলো করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ বিভাজন আগে থেকে বিদ্যমান বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি দারিদ্র্য ও বৈষম্যের দুষ্টু চক্রকে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে দীর্ঘস্থায়ী রূপ দিতে পারে, যেখানে শিশুরা পরিণত হচ্ছে এর বাহকে। কেএফ