• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ভারতীয়দের বড় দুঃসংবাদ দিলো যুক্তরাষ্ট্র
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
আবাসন ও সম্পদ সংকট দেখিয়ে ১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের বিশেষ ভিসা কর্মসূচি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এই স্কিম বন্ধ করার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার। খবর এনডিটিভির। ভারত, পাকিস্তান, এন্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, ব্রাজিল, চীন, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, মরক্কো, পেরু, ফিলিপাইন, সেনেগাল, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রানাডা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ও ভিয়েতনামের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ভিসা কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে কানাডা। ২০১৮ সালে এসব দেশের শিক্ষার্থীদের সহজ এবং দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য স্টুডেন্ট ডিরেক্ট স্ট্রিম ভিসা প্রোগ্রাম চালু করা হয়। কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আবাসন ও সম্পদের সংকটের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সব দেশের শিক্ষার্থীদের সমান সুযোগ দেওয়ায় বিশ্বাসী বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম কানাডা। প্রায় সব মৌসুমে কানাডাতে শিক্ষা অর্জনে যাওয়ার হিড়িক থাকে দেশের বাইরে পড়ালেখা করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের। এসব শিক্ষার্থীদের বাড়তি সুবিধা দিতে নানা উদ্যোও গ্রহণ করে থাকে কানাডা। তবে এবার শিক্ষার্থীদের বিশেষ ভিসা কর্মসূচি বন্ধের ঘোষণা দিল ট্রুডো সরকার। আরটিভি/এসএপি
এ বছর ১২৪ জন বাংলাদেশিকে বৃত্তি দেবে রাশিয়া
টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার শীর্ষ যে ১০ বিশ্ববিদ্যালয়
কিরগিজ মন্ত্রীকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের অনুরোধ
আইইএলটিএস ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার সুযোগ
এবার ১০০ হাউজ অব ডেলিগেটসের সম্মাননা পেল ডব্লিউইউএসটি
গত বছরের জানুয়ারিতে ৪০ জন সিনেটরের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি পাবার পর এবার জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে ভার্জিনিয়ার ১০০ জন হাউজ অব ডেলিগেটস বিশেষ সম্মাননা জানালো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ডব্লিউইউএসটিকে।  গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট সেভেনের ডেলিগেটস ডেমোক্রেট দলের ক্যারেন কিইস গামাররা তার উপস্থাপনায় তুলে ধরেন এই বিশ্ববিদ্যালের কথা। জানান, চেয়ারম্যান ও চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কের নেতৃত্বে অসাধারণ গতিতে এগিয়ে চলছে ডব্লিউইউএসটি। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার বিস্তার এবং ভবিষ্যতের জন্য আশা জাগানিয়া অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডেলিগেটস ক্যারেন কিইস গামাররা। তার উপস্থাপনা শেষ হতেই স্পিকার ডন স্কটের নেতৃত্বে ১০০ জন ডেলিগেটস ও গ্যালারিতে উপস্থিত অতিথিরা তুমুল করতালির মাধ্যমে সম্মননা জানান ডব্লিউইউএসটির প্রতিনিধি দলকে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্কের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএফও ফারহানা হানিপ, আবুবকর হানিপ ও ফারহানা হানিপের জৈষ্ঠ্য কন্যা সাইবার সিকিউরিটির শিক্ষার্থী নাফিসা নওশিন, বিজনেস অব স্কুলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্ক রবিনসন, স্কুল অব বিজনেস ফ্যাকাল্টি প্রফেসর সালমান ইলবাদর, জেনারেল এডুকেশন অ্যান্ড সেন্টার ফর স্টুডেন্ট সাকসেস এর অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর ড. হুয়ান লি, মার্কেটিং ডিরেক্টর হোসে উর্তেগা, স্টুডেন্ট সাকসেস ও ক্যারিয়ার সার্ভিস ম্যানেজার রিচেল রোজ, ক্যারিয়ার সার্ভিস ও আইটি ম্যানেজার আমিত গুপ্তা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টুডেন্ট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সেলিন ইগিত এবং ইনফরমেশন টেকনলজির মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো: নাঈম হাসান।  ডব্লিউইউএসটির উচ্চ শিক্ষা বিস্তার ও এগিয়ে চলার কথা অবগত আছেন ভার্জিনিয়ার ৪৮তম অ্যাটর্নি জেনারেল জেসন মিয়ারেস। তাই নিজের ব্যস্ত সময় থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের জন্য সময় তুলে রেখেছিলেন আলাদা করে। দুপুর আড়াইটায় কমনওয়েলথ অব ভার্জিনিয়ার বারবারা জনস বিল্ডিংয়ে নিজ দপ্তরে ডব্লিউএসটি টিমকে আমন্ত্রণ জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরে উৎসাহ প্রদান করেন এবং ধন্যবাদ জানান তিনি। এ সময় রিপাবলিকান দলের এই অ্যাটর্নি জেনারেলের হাতে একটি স্বারক তুলে দেয় ডব্লিউইউএসটির প্রতিনিধি দল। পরে ফটোসেশনের মাধ্যমে শেষ হয় এই বৈঠক।  এদিকে এশিয়ান কমিউনিটি নিয়ে বহু বছর ধরে সফলতার সঙ্গে ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে কাজ করে আসছে এমন চারটি সংগঠনের আয়োজনে একটি মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠান ছিল সন্ধ্যায়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভার্জিনিয়ার ৭৪তম গভর্নর রিপাবলিকান দলের গ্লেন ইয়ংকিন। সেইসঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন সিনেটর ও হাউজ অব ডেলিগেটস। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ১৩ সদস্যের দলটিও আমন্ত্রিত ছিলো বিশেষভাবে। ভার্জিনিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কথা উঠে আসে গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিনের বক্তৃতায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন নতুন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে কীভাবে দারুণ ভূমিকা রাখছে সেসব উঠে আসে তার কথায়।  গভর্নরের কথা ধরে উদাহরণ হিসেবে ডব্লিউইউএসটির সফলতার কথা উঠে আসে ডিস্ট্রিক সেভেনের ডেলিগেটস ক্যারেন কিইসের কথায়।  ডব্লিউইউএসটির কার্যক্রম নিয়ে অবগত আছেন জানিয়ে নিজের স্টেটে শিক্ষা সেবায় অসাধারণ ভূমিকা রাখায় ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপ ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ককে সাধুবাদ জানান গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিন। সাদরে গ্রহণ করেন ডব্লিউইএসটির স্বারক। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা কামনা করেন গভর্নর। ডিনারের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আয়োজন। তবে এমন সম্মাননা পাবার দিনটিকে সঠিক পথে চলার স্বীকৃতি হিসেবে ধরে নিয়ে নতুন উদ্যমে পথচলার উৎসাহ উদ্দীপনা হিসেবে নিয়ে রিচমন্ড থেকে ভার্জিনিয়ায় ফিরে আসে ডব্লিউইএসটি টিম।  ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিপের ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতিতে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। ঘটেছে দ্রুত প্রসার, শিক্ষার্থীদের কাছে হয়ে ওঠে জনপ্রিয়। তিন বছরের ব্যবধানে মাত্র ৩০০ থেকে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০০।  এখানে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যবসায়িক প্রশাসনের উপর ব্যাচেলর ও মাস্টার্স কোর্সে বর্তমানে লেখাপড়া করছে বিশ্বের ১২১ দেশের শিক্ষার্থী। আর এ সবকিছুর বিবেচনায় জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে টানা দ্বিতীয় বছরে মিলেছে এমন সম্মাননা।  
এডুকেশন এক্সপোর জমকালো আয়োজনে আত্মপ্রকাশ করছে এমএইচ গ্লোবাল গ্রুপ
এমএইচ গ্লোবাল গ্রুপ দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় গ্রুপ অব কোম্পানিজ যারা দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা এবং ক্যারিয়ার গঠন নিয়ে কাজ করছে। শনিবার (২ মার্চ) তাদের আয়োজনে এক ইন্টারন্যাশনাল ক্যারিয়ার অ্যান্ড এডুকেশন এক্সপো অ্যান্ড ইমারজিং লিডারস অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আয়োজনটি চলবে। বৃহৎ পরিসরে এই এডুকেশন এক্সপো এবং অ্যাওয়ার্ড আয়োজনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এমএইচ গ্লোবার গ্রুপের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে এদিন। আয়োজকরা জানিয়েছে, সবার জন্য উন্মুক্ত এই অনুষ্ঠানে থাকছে এডুকেশন এক্সপো যেখানে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সব ধরনের সহায়তা নেওয়া যাবে। থাকছে ক্যারিয়ার ফেয়ার যেখানে থাকছে ১৫০টিরও বেশি পদে চাকরির সুযোগ, নেটওয়ার্কিং, স্বীকৃতিসহ আরও অনেক সুযোগ সুবিধা। এমএইচ গ্লোবাল গ্রুপ শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষাগত এবং পেশাগত জীবনে ক্ষমতায়নের জন্য শিক্ষামূলক বৃত্তি এবং ক্যারিয়ার মেন্টরশিপ প্রোগ্রামসহ আরও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। এই সংস্থার লক্ষ্য বাংলাদেশ এবং এর বাইরে উচ্চশিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা। বৃহৎ পরিসরে আয়োজিত এই ইভেন্ট সম্পর্কে এমএইচ গ্লোবাল গ্রুপের চেয়ারম্যান এ কে এম গোলাম কিবরিয়া বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ক্যারিয়ার অ্যান্ড এডুকেশন এক্সপো অ্যান্ড ইমারজিং লিডারস এ্যাওয়ার্ড-২০২৪ এ আমাদের এই অফুরন্ত সুযোগগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তিনি আরও জানান, আমাদের লক্ষ্য হল তাদের একাডেমিক প্রচেষ্টায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করানো এবং সফল ক্যারিয়ার তৈরি করতে সহায়তা প্রদান করা। আমরা আমাদের উদ্যোগের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত ও ক্ষমতায়িত করার লক্ষ্য রাখি। তাই আমরা আপনাদের সকলকে শিক্ষা সাফল্য উদ্‌যাপন করতে এবং সুযোগগুলো গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ইভেন্টটি শুধু এমএইচ গ্লোবাল গ্রুপের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিশ্রুতিই প্রদর্শন করে না বরং অংশগ্রহণকারীদেরকে গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়ার, মূল্যবান সংযোগ করার সুযোগও দিচ্ছে।
বাংলাদেশিদের জন্যে স্কলারশিপসহ সুবর্ণ সুযোগ দিলো যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের শিক্ষার্থীদের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য ২১০টি গ্রেট স্কলারশিপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের ৭১টি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়। যুক্তরাজ্যে (ইউ.কে) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে ইচ্ছুকদের জন্যে ‌‘গ্রেট স্কলারশিপ’ নামের বিশেষ মেধাভিত্তিক বৃত্তিগুলো দেওয়া হবে।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। জানা গেছে,  এক বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর কোর্সের জন্য প্রতিটি মেধাবৃত্তির সর্বনিম্ন অর্থ ধরা হয়েছে ১০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ লাখ টাকার সমান। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক ইত্যাদি দেশের যোগ্য প্রার্থীরা সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া নির্বাচিত স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামগুলির সাথে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি বৃত্তি যৌথভাবে যুক্তরাজ্য সরকারের গ্রেট ব্রিটেন ক্যাম্পেইন এবং অংশগ্রহণকারী যুক্তরাজ্যের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্রিটিশ কাউন্সিল অর্থায়ন করবে। গ্রেট ক্যাম্পেইন যুক্তরাজ্য সরকারের একটি উদ্যোগ। যা উচ্চ শিক্ষার সুযোগের মাধ্যমে ১৫টি দেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। এটি কর্মসংস্থানের সুবিধা দেয়, সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক দর্শক, ছাত্র, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বাসিন্দা এবং পেশাদারদের শেখার পরিবেশ বৃদ্ধি করে। কীভাবে আবেদন করতে হবে এবং কীভাবে ব্রিটিশ কাউন্সিল এই স্কলারশিপের সুযোগ দিচ্ছে একটি বিশেষ সাক্ষাতকারে, ব্রিটিশ কাউন্সিলের এডুকেশন ইন্ডিয়ার পরিচালক এবং গ্রেট স্কলারশিপের শীর্ষ কর্মকর্তা ভারতের রিত্তিকা চন্দ পারুক বিস্তারিত জানিয়েছেন। প্রতিবেদনটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন। আবেদন সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভারত থেকে বিশ্বমানের ডিগ্রির স্বপ্ন পূরণ
বাংলাদেশের বিশাল শিক্ষার্থী জনগোষ্ঠীর শিক্ষাগত ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণের সেরা আয়োজন ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো’। ভারতের শীর্ষ সারির কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির দুয়ার খুলে দিতে, অ্যাফেয়ার্স এক্সিবিশন অ্যান্ড মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এ বছরও পুনরায় ভারতীয় শিক্ষা নিয়ে তাদের জনপ্রিয় মেলা আয়োজন করতে যাচ্ছে চার বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীতে। এ বছর মেলা অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের দ্য পেনিনসুলা চিটাগংয়ে ৪ ও ৫ জুন ২০২৪, ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে ৭ ও ৮ জুন, খুলনার সিটি ইনে ১০ জুন এবং রাজশাহীর গ্র্যান্ড রিভারভিউ হোটেলে ১২ জুন ২০২৪। মেলায় একই ছাদের নিচে আসবে ভারতের ৩০টিরও বেশি শ্রেষ্ঠ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।  এর ফলে ভর্তি বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মুখোমুখি আলাপ এবং সব দ্বিধা দূর করা সহজ হবে। এই মেলা সারা বাংলাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ করে দেবে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ ও কথা বলার এবং তাদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।   এ ছাড়া এই মেলা শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে অন-স্পট আবেদন করার এবং মেধার ভিত্তিতে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি পাওয়ার অনন্য সুযোগ করে দেবে।  স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো এক ছাদের নিচে ভারতের নেতৃস্থানীয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দুই শতাধিক কোর্স অফার করবে, যার অনেকগুলো NAAC-স্বীকৃত এবং NIRF ও QS-রেটপ্রাপ্ত। এসব কোর্সের মধ্যে আছে প্রচলিত জনপ্রিয় কোর্স যেমন- ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল, সায়েন্স, ফার্মেসি, ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। পাশাপাশি আছে নতুন যুগের কোর্স যেমন AI, ML, রোবটিক্স, ক্লাউড-কম্পিউটিং, AR, VR এবং আরও অনেক কিছু। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও এডমিশন টিম আগ্রহী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরবেন, পরামর্শ জানাবেন এবং তাদের শিক্ষা ও পেশাগত ভবিষ্যতের জন্য সঠিক পথ বাছাইয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন। অনুষ্ঠানস্থলে পেশাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতারাও উপস্থিত থাকবেন। তারা শিক্ষার্থীদের সঠিক কোর্স বাছাইয়ে নির্দেশনা দেবেন এবং ভর্তি বিষয়ে পরিপূর্ণ ও সঠিক তথ্য জানাবেন। মেলায় অন-স্পট মূল্যায়ন ও আবেদনের ফলে ভর্তি কার্যক্রম হবে দ্রুত ও সহজ। অ্যাফেয়ার্স স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো-২০২৪ আয়োজনে অনেক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান উপস্থিত থাকবে। যেমন- বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি বারাণসী, ভেল্লোর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ভিআইটি), এসআরএম ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চেন্নাই, কলিঙ্গা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি, (কেআইআইটি) ইউনিভার্সিটি হিসেবে বিবেচিত ভুবনেশ্বর, লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি পাঞ্জাব, অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি, এনআইটিটিই (ইউনিভার্সিটি হিসেবে বিবেচিত) মাঙ্গলুরু, সপ্তগিরি এনপিএস ইউনিভার্সিটি বেঙ্গালুরু, অ্যালায়েন্স ইউনিভার্সিটি বেঙ্গালুরু, আইইএম-ইউইএম গ্রুপ কলকাতা।  অ্যাফেয়ার্স এক্সিবিশন অ্যান্ড মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্জীব বোলিয়া বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ভারতে বিদ্যমান বিশাল ও বিবিধ উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সহজলভ্য করা। প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করতে অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত স্টাডি ইন ইন্ডিয়া শুধুমাত্র একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে না। এই মেলা শিক্ষার্থীদের অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ শিক্ষা, একাডেমিক অংশীদারত্ব এবং ভারতে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সক্ষম করে তুলবে। আমাদের লক্ষ্য হলো সঠিক উৎস থেকে সব নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদান করে ভর্তি প্রক্রিয়াটিকে সহজ ও স্বচ্ছ করা। ভারতে উচ্চশিক্ষার সেরা সুযোগগুলো এক ছাদের নিচে খুঁজে দেখতে স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপোতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এমনকি কর্মরত পেশাজীবীরাও অংশ নিতে পারবেন। আবেদন করুন এবং পেয়ে যান চমকপ্রদ বৃত্তি। মেলায় প্রবেশ মূল্য ফ্রি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা নিবন্ধন করতে পারেন এখানে। https://studyinindiaexpo.com/bangladesh
আইইএলটিএস ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে ফেলোশিপে মাস্টার্সের সুযোগ
আইইএলটিএস ছাড়াই মাস্টার্স করার জন্য ফেলোশিপ প্রদান করছে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গের গ্লোবাল স্টাডিজ সেন্টার। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই ফেলোশিপ দেওয়া হয়। এই ফেলোশিপের পোশাকি নাম ‘এইচজে হেইনজ ফেলোশিপ’। এটি এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর মেয়াদি ফেলোশিপ, যা শুরু হয় আগস্টে এবং শেষ হয় জুনে। এই ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীকে ২০ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার দেওয়া হবে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২ লাখ ২০ হাজার টাকা। ফেলোশিপের জন্য আবেদনকারীদের অবশ্যই মাস্টার্স প্রোগ্রামে (যে শিক্ষাবর্ষের শুরুতে তারা হেইনজ ফেলোশিপ চান) ভর্তি হতে হবে। মাস্টার্সের বিষয় হবে পাবলিক হেলথ, আইন, পাবলিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, শিক্ষা অথবা নার্সিং থেকে যেকোনো একটি। আবেদনকারীকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি বলা, পড়া ও লেখায় দক্ষ হতে হবে। কর্মজীবনের প্রাথমিক বা মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে এমন আবেদনকারীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বর্তমানে কর্মরত অথবা পলিসি ডোমেইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, এমন ব্যক্তিবিশেষের জন্য এই ফেলোশিপ দেওয়া হয়। মৌলিক একাডেমিক গবেষণা, একাডেমিক সাবাটিক্যাল বা চিকিৎসা গবেষণার জন্য এই ফেলোশিপ দেওয়া হয় না। মাস্টার্সে আবেদনের সময় এই ফেলোশিপের কথা উল্লেখ করতে হয়। তবে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ক্ষেত্রে আবেদনের সময় ভিন্ন হতে পারে, শিক্ষার্থীকে নিজ বিষয়ের ব্যাপারে খোঁজ নিতে হবে। ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিতদের নাম মে মাসে প্রকাশ করা হবে। আবেদনের বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উচ্চশিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উচ্চশিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ ও ল্যাব সুবধিা বৃদ্ধি এবং দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ‌‘ইরাসমাস প্লাস স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ’ নিয়ে ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন,  ইরাসমাস প্লাস মোবিলিটি প্রোগ্রামের আওতায় বৃত্তি নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স ও জয়েন্ট মাস্টার্স প্রোগামে পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীরা নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিশ্ব দরবারে নিজেদের মেলে ধরার বড় সুযোগ পাচ্ছেন।  ইরাসমাস প্লাস মোবিলিটি প্রোগ্রাম উচ্চতর গবেষণা, নতুন নতুন দেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় এবং বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত, জানান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। দেশের চাকরির বাজারে দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে, ইরাসমাস প্লাস প্রোগ্রামের আওতায় যারা বৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শেষে দেশে ফিরবে তাদেরকে উচ্চশিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের কাউন্সিলর ও টিম লিডার (শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন) উরাতে এস মার্ভেলি। শিক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে উরাতে এস মার্ভেলি বলেন, ইরাসমাস প্লাস স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ দক্ষ জনবল তৈরিতে সফল। এর মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রোগামটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নতুন আইডিয়া বিনিময় করতে পারবে। ইউজিসি সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মামুনের সঞ্চালনায় সভায় বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।  উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে শুরু হওয়া ইরাসমাস প্লাস প্রোগ্রামটি গত তিন যুগ শিক্ষার্থী ও গবেষকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং সম্মানজনক শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এতে জয়েন্ট মাস্টার্স প্রোগ্রামে ৪টি সেমিস্টার ভিন্ন দেশে ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। এর আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, সব ধরনের টিউশন ফি, লাইব্রেরি ফি, পরীক্ষা ফি, গবেষণা সংক্রান্ত ফিসহ বিভিন্ন ধরনের কনফারেন্স, সেমিনার, সামার স্কুল, উইন্টার স্কুল প্রভৃতি সুবিধা পাওয়া যায় বিনামূল্যে।