• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভিপি নুরসহ সব আসামির গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাবির সেই ছাত্রীর আল্টিমেটাম

আরটিভি নিউজ

  ০৮ অক্টোবর ২০২০, ২১:৪৮
VP, rape,
অনশনের সেই ছাত্রী

এবার ঢাকাসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছেন মামলার বাদি ঢাবির ইসলামীক স্ট্যাডিজ বিভাগের সেই ছাত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে, অনতিবিলম্বে ধর্ষণের সাথে জড়িত অপরাধী ও পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেফতার করতে হবে, সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নিপীড়নবিরোধী অবস্থান কর্মসূচী’ লেখা ব্যানারের প্যান্ডেলে বসে তিনি এই দাবি জানান।

সেই ছাত্রী বলেন, আমি একজন ভুক্তভোগী। আমি ভিপি নুরসহ অন্য যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি, তাদের কেউই আজ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। এমনটা চললে কিভাবে ধর্ষণ বন্ধ হবে? আমি নুরসহ অন্য সকল আসামিদের গ্রেপ্তারে দাবি জানাচ্ছি। ধর্ষণকারীরা প্রভাবশালী এবং প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ হওয়ার কারণে পুলিশ তাদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। যতোক্ষণ না পর্যন্ত নুরসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে ততোক্ষণ পর্যন্ত আমি রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান করব এবং অনশন চালিয়ে যাবো। এসব ওই ছাত্রীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আরো কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলনে অবস্থান নিয়েছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা (নং-২৮) দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। ওই মামলায় ৬ জন এজহারনামীয়ের মধ্যে নুর ৩ নম্বর আসামি। মামলায় নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়। এজহার অনুযায়ী মামলার আসামিরা হলেন- হাসান আল মামুন, নাজমুল হাসান, নুরুল হক নুর, মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকি।

এরপরের দিন, ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর কোতয়ালী থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় ধর্ষণ ও ডিজিটাল অ্যাক্টে মামলা দায়ের করেন (নং ৩৪) সেই ছাত্রী। লালবাগ থানায় তিনি যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন কোতয়ালী থানাতেও তাদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেন। দুই মামলাতেই ভিপি নুর ৩ নম্বর আসামি এবং তার বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।

লালাবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় মূল অভিযুক্ত বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন (২৮)। অন্যদিকে কোতয়ালী থানায় দায়ের করা মামলায় মূল অভিযুক্ত বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮)।

২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্যতম যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে নুরুল হক নুর আলোচনায় আসেন। এরপর ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।

নুরুল হক নুরের গ্রামের বাড়ি বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নে। তার বাবা ইদ্রিস হাওলাদার একজন ব্যবসায়ী ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য। মায়ের নাম নিলুফা বেগম। তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে নুর দ্বিতীয়। ঢাকার উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০১২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ২০১৩–১৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন।

কেএফ/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ক্যাম্পাস এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মেয়েকে ধর্ষণে বাবার মৃত্যুদণ্ড
ঢাবির সুইমিং পুলে ছাত্রের মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন
প্রেমিকাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রেমিক গ্রেপ্তার
মাদক সেবনে বাধা, বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যা
X
Fresh