জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কালও চলবে অবরোধ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) তিন দফা দাবিতে পূর্ব ঘোষিত প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তুু প্রশাসন তাদের দাবি মেনে না নেয়ায় আগামী দু'দিন অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন।
সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি, আশিকুর রহমান বলেন, প্রশাসন এখন পর্যন্ত দাবি মেনে না নেওয়ায় আমরা আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার দু'দিন কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। এর পরেও কোনো সমাধান না হলে আলোচনা করে নতুন কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্বান্ত নিবো।
ছাত্র ইউনিয়ন নেতা রাকিবুল রনি বলেন, প্রশাসন অপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান বন্ধ না করে এবং দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে না দেখে স্বৈরাচারী মনোভাব পোষণ করছেন।
-------------------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কালও চলবে অবরোধ
-------------------------------------------------------------------------
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে। এতে কয়েকজন শিক্ষকসহ জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জাবি শাখার নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, অপরিকল্পিত মাস্টার প্লানের অধীনে তড়িঘড়ি করে ‘অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের’ কাজ শুরু করা হয়েছে এবং অপরিকল্পিতভাবে যে কয়েকটি স্থাপনার কাজ শুরু হয়েছে তাতেও ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জেনেছেন। এজন্য প্রকল্পে অপরিকল্পনা ও দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং তিন দফা দাবি আদায়ে তারা এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন।
দাবিগুলো হলো—বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের তিনটি হল স্থানান্তর করে নতুন জায়গায় দ্রুত কাজ শুরু করা, মেগাপ্রজেক্টের টাকার দুর্নীতির ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা, টেন্ডারের শিডিউল ছিনতাইকারীদের শাস্তি প্রদান ও মেগাপ্রজেক্টের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে সকল ব্যয়ের হিসেব জনসম্মুখে প্রকাশ করা এবং মেগাপ্রজেক্টের বাকি স্থাপনার কাজ স্থগিত রেখে সকল স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে মাস্টারপ্লান পুনর্বিন্যাস করা।
এদিকে অবরোধ কর্মসূচির বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বার্তা পাওয়া যায় নি।
এসজে
মন্তব্য করুন