বিশ লাখ টাকা ঘুষ নেয়া দুই ইবি শিক্ষককে অব্যাহতি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েরর শিক্ষক নিয়োগের ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছে প্রশাসন। অডিও ফাঁসের পর আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফও আরটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অব্যাহতি পাওয়ার শিক্ষকের একজন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাকী বিল্লাহ বিকুল। অন্যজন ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ। এর মধ্যে বাকী বিল্লাহ টিএসসিসির পরিচালক ছিলেন। তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে প্রশাসন।
এছাড়াও ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, শিক্ষক নিয়োগ দিতে প্রার্থীর সঙ্গে ২০ লাখ টাকার চুক্তি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দিতে এক প্রার্থীর সঙ্গে চুক্তি করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও টিএসসির পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক বাকী বিল্লাহ বিকুল, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ।
সূত্রে আরো জানা গেছে, প্রভাষক পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য বিকুল ও আজাদ ২০ লাখ টাকা নেন। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকা ইসলামী ব্যাংকের চেক দেওয়া হয়। চেক নম্বর ০৫৬৯৩১৪ এবং হিসাব নম্বর ২৪৩১৬। এ ছাড়া ১০ লাখ টাকা নগদ দেন প্রার্থী। গত বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়ায় বিকুলের বাসার সামনে এ টাকা লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকা ছাত্রলীগকে দেওয়ার কথা বলে নেওয়া হয়।
বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে চারটি প্রভাষক পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রশাসন। চারটি বিজ্ঞাপিত পদের বিপরীতে ৭৪ জন প্রার্থী আবেদন করেন। তবে প্রবেশপত্র পান ৪২ জন।
গত বৃহস্পতিবার ওই বিভাগের নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন ১৯ জন। এর মধ্যে টাকা লেনদেনকারী প্রার্থীও পাস করেন। এই প্রার্থীর ক্রমিক নম্বর ১৫। তবে মৌখিক সাক্ষাৎকার শেষে তাঁকে বাছাই করেনি নিয়োগ বোর্ড।
আরও পড়ুন :
এসজে
মন্তব্য করুন