সাত কলেজের সমন্বয়কের দায়িত্ব পেলেন ঢাবি উপ-উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এস মাকসুদ কামাল।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী স্বক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪ জানুয়ারি উপাচার্য সরকারি সাত কলেজের পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) উপর অর্পণ করেছেন।
এফএ
মন্তব্য করুন
ঢাবির কোয়ার্টার থেকে ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আদ্রিতা বিনতে মোশারফ (২১) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে রাজধানীর দক্ষিণ ফুলার রোডে ঢাবির আবাসিক কোয়ার্টারের ১৯ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিহত আদ্রিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোশারফ হোসেনের মেয়ে। বাবা মায়ের সঙ্গে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকতেন। তাদের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মজলিশপুর গ্রামে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাজিরুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ওই বাসায় গিয়ে আমরা শিক্ষার্থীকে বিছানায় শায়িত অবস্থায় দেখতে পাই।
আদ্রিতার পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নিজের ওড়না ফ্যানের সঙ্গে পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কী কারণে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে পরিবার তেমন কিছুই জানাতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
বুয়েটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ছাত্রলীগের শ্রদ্ধা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের নেতৃত্বে একটি মিছিল প্রবেশ করে বুয়েট ক্যাম্পাসে।
এর আগে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে রাব্বির সিট ফেরত দিতে বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র সংগঠনটি।
এদিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাসহ নেতাকর্মীরা। ফুল দিয়ে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আবারও বুয়েট ত্যাগ করেন তারা। ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক স্থান ত্যাগ করলেও ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা এরপরও বুয়েট শহীদ মিনারে ফুল দেন এবং ছবি তোলেন। তবে তারা কোনো স্লোগান দেননি।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে এ সময় বুয়েটের মূল ফটক এবং বিভিন্ন হলগুলোর প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে, রোববার দুপুরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার জানিয়েছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্যাম্পাসে আবারও ছাত্ররাজনীতি চালু করা যেতে পারে।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ যেদিন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত শুক্রবার। ওই পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। তবে ঈদুল ফিতরের আগে ফল প্রকাশ সম্ভব হচ্ছে না।
রোববার (১ এপ্রিল) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হলেও ঈদের আগে খুব একটা সময় পাওয়া যাবে না। চলতি সপ্তাহ ছাড়া আগামী সপ্তাহে মাত্র দুদিন সময় পাওয়া যাবে। এ ছাড়া কয়েকটি জেলা থেকে উত্তরপত্র ঢাকায় পাঠাতে দেরি হবে। সেজন্য ঈদের আগে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। আশা করছি, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পরপরই তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করতে পারব।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুই বিভাগের ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এদিন। তৃতীয় ধাপে মোট প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ।
এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, কোন পরীক্ষা কবে
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। রুটিন অনুযায়ী আগামী ৩০ জুন থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আবুল বাশার স্বাক্ষরিত রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
রুটিন অনুযায়ী, প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
এ ছাড়া আগামী ১২ আগস্ট থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে ২১ আগস্ট পর্যন্ত। পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে। চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, করোনার আগে ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো। কিন্তু করোনার কারণে গত কয়েক বছর এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রুটিন দেখতে এখানে ক্লিক করুন...
এসএসসির ফল কবে, জানাল বোর্ড
আগামী মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
বুধবার (৩ এপ্রিল) আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের এ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সময় দেওয়ার ওপর।
তপন কুমার সরকার বলেন, মূল পরীক্ষা ও তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। এবারও একই সীমার মধ্যে ফল প্রকাশিত হবে। ফলে ১১ মের মধ্যে ফল প্রকাশ করার প্রস্তুতি চলছে। তবে তারিখ নির্ধারিত করতে হলে প্রধানমন্ত্রী সময়সূচির প্রয়োজন।
আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের এক সদস্য বলেন, গত ১২ মার্চ এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে, তাই ১২ মে’র মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষকরা খাতা মূল্যায়ন শুরু করেছেন। মূল্যায়ন শেষে তারা তা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠাবেন। এরপর ফল প্রকাশের প্রস্তাবনা পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা চিন্তা করেছি ৯, ১০ অথবা ১১ মে ফল প্রকাশের প্রস্তাবনা পাঠাব। ফল তৈরি হয়ে গেলে এর আগেও ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২০ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হলো ৯ কলেজ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা রাজশাহী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৯টি সরকারি কলেজকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধিভুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা ও অনুশাসন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত কলেজগুলোকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার জন্য এ বিভাগ হতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
অধিভুক্ত কলেজ চারটি হলো- রাজশাহী সরকারি কলেজ, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ ও নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ, রাজশাহী।
এ ছাড়া এ প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচটি সরকারি কলেজকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছে। পাঁচটি কলেজগুলো হলো- চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি কলেজ, স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, সরকারি কমার্স কলেজ ও সাতকানিয়া সরকারি কলেজ।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, এমতাবস্থায় উক্ত অনুশাসন যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ যেমন, বিদ্যমান বিধি-বিধান সংশোধন (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে) ও অপরাপর করণীয় বিষয় সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিভাগে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে ২০১৭ সালে ঢাকার ৭টি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।
মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের যে বার্তা পাঠাল হিযবুত তাহরীর
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের ইমেইল দিয়েছে নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠন হিজবুর তাহরীর।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাতে এ মেইল পাঠানো হয়।
মেইলটির শিরোনামে লেখা রয়েছে, ছাত্রলীগের আগ্রাসন থেকে আমাদের মেধাবী সন্তানদের কে নিরাপত্তা দেবে?
সেখানে আরও বলা হয়, বর্তমানে বুয়েট ক্যাম্পাস সরকারের গুন্ডাবাহিনী দ্বারা পদদলিত হচ্ছে। সরকার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার আভাস দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিকে দমন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইমেইলের শেষে হিজবুত তাহরীরের পক্ষ থেকে এ সরকারের বিরুদ্ধে সেনা হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়, যা এই উগ্রবাদী সংগঠনটি নিয়মিতই করে আসছে।
এ প্রসঙ্গে এক ফেসবুক পোস্টে বুয়েটে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় আহমেদ লেখেন, কিছুক্ষণ আগে রাত ১২ টায় বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীদের হিজবুততাহরীরের খিলাফত প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে মেইল। একই সঙ্গে আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিশ্চিত করেছে হিজবুত তাহরীর।
বুয়েট শিক্ষার্থীদের কাছে হিজবুত তাহরীরের ইমেইল নতুন কিছু নয়। অভিযোগ রয়েছে, বুয়েটে নীরবে জঙ্গি কার্যক্রম বা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে হিবুজত তাহরীর। এর আগেও এই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনটির পক্ষ থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক আউটলুক ইমেইলে পাঠানো হয়েছে হিযবুত তাহরীরের ইমেইল। প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইলে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার বার্তা পাঠানো হলেও সর্বশেষ তথ্য অনুসারে সকল শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর ধরে একাধারে প্রেরণ করা হয় এসব ইমেইল।
এছাড়া বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির পক্ষে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্যাম্পাসের ভেতরে বেশ কিছু স্থানে হিজবুত তাহরীর কিউআর কোডসহ তাদের জিহাদি বার্তার পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছে যা নিয়ে কোন প্রতিবাদ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
গত ২৯ মার্চ থেকে ফের ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বুয়েটে আন্দোলন শুরু হয়। এ আন্দোলনের বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। যেখানে উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই।
এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয় গত ২৮ মার্চ। ছাত্রলীগের সভাপতি বুয়েটে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের কমিটি দিচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তার সঙ্গে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়। তবে তাদের পক্ষ থেকে বুয়েটে জামায়াতে ইসলামির ছাত্র সংগঠন শিবির ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের কার্যক্রম নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। পরে গণমাধ্যমে একপাক্ষিক আন্দোলন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন ও মৌলবাদী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে একাত্মতা প্রকাশ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের শুরুর দিকে গণমাধ্যমে প্রচারিত হিজবুত তাহরীর ও ছাত্র শিবির নিয়ে প্রকাশিত খবরকে অপপ্রচার বলে চালানোর চেষ্টা করেন বুয়েটের বর্তমান ও সাবেক কিছু শিক্ষার্থী। তারা এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যও করে।