• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সংসদ সংবিধানের মূল স্তম্ভ পরিবর্তন করতে পারবে না

অনলাইন ডেস্ক
  ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৯:৪০

সংসদ সংবিধানের মূল স্তম্ভ পরিবর্তন করতে পারবে না। ৪৪ বছরে সংবিধান আইন ও পরিবেশকে যখনই বাঁকা পথে নেয়া হয়েছে তখনই তা আমরা সোজা পথে ফিরিয়ে এনেছি। সংবিধানকে লাইনচ্যুত হতে দেইনি। বললেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

তিনি বলেন, ১১৬ এবং ১১৬ (এ) সংবিধানের প্রিন্সিপালসের সঙ্গে কনফ্লিক্ট করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ দুই বিধান সংবিধানের পরিপন্থী। সংবিধান থেকে এ দু’টি অনুচ্ছেদ তাড়াতাড়ি সরাতে হবে।

শনিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদারের আইন পেশায় ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্ট কারো পক্ষপাতিত্ব করি না। আপনারা যারা আইনজীবী আছেন, তারাও কোনো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন না।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনের পেশা সম্মানের পেশা। ক্রিম অব দ্য সোসাইটি দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একটি অংশ চলে যায় আইন পেশায়, একটি ক্ষুদ্র অংশ চলে যায় বিচার বিভাগে। তারা দুই ভাগে ভাগ হলেও তাদের প্রত্যেকের উদ্দেশ্য হলো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। সে অর্থে আমরা একই পরিবারের সদস্য। আইনজীবীরা হলেন জাতির বিবেক। বিচারকরাও জাতির বিবেক।

তিনি বলেন, পার্লামেন্টের আইন করার যথেষ্ট ক্ষমতা আছে, পার্লামেন্ট সম্পূর্ণভাবে সংবিধানের সংশোধন করতে পারবে। এমনকি সংবিধানকে বন্ধ করে দিতে পারবে। সংবিধান আমাদের সুপ্রিম কোর্টকে বন্ধ করে দিতে পারবে। এটি অলরেডি সেটেল হয়ে গেছে, ভারতের সদানন্দের মামলায়। কিন্তু পার্লামেন্ট একটা জিনিস পারবে না, সেটি হলো, আজকে যদি সরকার বলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট থাকবে না, আমাদের কিছুই করার থাকবে না। পার্লামেন্টের এই ক্ষমতা আছে। কিন্তু পার্লামেন্টের এই ক্ষমতা নেই যে, মেইন পিলারস অব দ্য কনস্টিটিউশন। সংবিধানের মেইন পিলার যেটি আমরা পঞ্চম সংশোধনী,ষষ্ঠ সংশোধনীসহ সবগুলোতে বাতিল করেছি যে, বেসিক স্ট্রাকচার অব দ্য কনস্টিটিউশন চেঞ্জ করে কোনো সংবিধান বা কোনো আইন করা যাবে না।

এর আগে বিচার বিভাগ পৃথককরণের নবম বার্ষিকীতে দেয়া বাণীতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ১১৬ অনুচ্ছেদের ফলে অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি, বদলি এবং শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম নেয়া সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে এককভাবে সম্ভব হচ্ছে না। দ্বৈত শাসনের ফলে বহু জেলায় শূন্যপদে সময়মতো বিচারক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh