সরকারি হলো আরও ৪৩ বিদ্যালয়
নতুন করে আরও ৪৩টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বুধবার পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এগুলো নিয়ে দেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হচ্ছে ৫৫১টি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব লুৎফুন নাহার সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারি করা হলো। আজ থেকে শিক্ষকরা সব প্রকার সরকারি সুবিধা পাবেন। জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনও শিক্ষক অন্যত্র বদলি হতে পারবেন না।
দেশে পুরনো মোট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ৩৩৩টি। চলতি বছরে ১৭৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে নুতন করে আরও ৪৩ বিদ্যালয় জাতীকরণে দেশে মোট সরকারি বিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫১টি।
এমসি/পি
মন্তব্য করুন
সারাহর কিডনি নেওয়া শামীমাও মারা গেলেন
সারাহ ইসলামের মরণোত্তর কিডনি নেওয়া শামীমা আক্তার মারা গেছেন। এর ফলে ‘ব্রেন ডেড’ ওই তরুণীর কিডনি নেওয়া দুই নারীরই মৃত্যু হলো।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে শামীমার মৃত্যু হয়। তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায়।
শামীমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউর ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল।
তিনি বলেন, শামীমা শেষ ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিলেন। কিছুদিন আগে তার ভাই আমাদের জানান, শামীমার ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে, একেবারে শুকিয়ে গেছে। পরে তিন সপ্তাহ আগে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কোনো উপায় না দেখে চার দিন আগে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরমধ্যে তার সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। আমরা তার ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম, কিন্তু উন্নতি হয়নি। সবশেষ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
গত বছরের ১৯ জানুয়ারি সারাহ ইসলাম নামে ২০ বছরের এক তরুণীকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করেন বিএসএমএমইউ চিকিৎসকরা। ওই রাতেই তার কিডনি শামীমা আক্তার এবং হাসিনা নামে দুই নারীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। সেসময় দেশে প্রথমবারের মতো এই ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্টকে সফল বলে দাবি করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এর মাত্র ৯ মাস পর অক্টোবরে হাসিনা মারা যান। তবে শামীমা আক্তার বেঁচে ছিলেন। এখন তিনিও না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রথমজন ফুসফুসের সংক্রমণে মারা গেছেন। এবার দ্বিতীয়জনও চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।
ঢাকাসহ ৪ বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি
ঢাকাসহ দেশের ৪ বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় আরও বাড়তে পারে। এ কারণে রাজধানীসহ এসব অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
বুধবার ( ৩ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ।
তিনি বলেন, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় আরও বাড়তে পারে। এ কারণে ঢাকাসহ এই ৪ বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
মো. বজলুর রশিদ বলেন, বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বরদীতে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুইদিন এই তাপপ্রবাহ বাড়ার শঙ্কা থেকেই হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এপ্রিলে ৬টির মতো তাপপ্রবাহের শঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে একটি হতে পারে অতিতীব্র। এতে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সন্ধ্যার মধ্যে ঝড় বইতে পারে যেসব জায়গায়
দেশের দুই অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে এদিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
চাঁদ দেখা নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তি
পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে মঙ্গলবার বৈঠকে বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার ৩০ রোজা পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
সৌদিতে কবে ঈদ, জানালেন জ্যোতির্বিদরা
সৌদি আরবে আগামীকাল মঙ্গল পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে কি না, তা জানা যাবে আজ। তবে সৌদি আরব ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে আগামী বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে বলে জানিয়েছে জ্যোতির্বিদরা। তাদের হিসাব–নিকাশ বলছে, এ বছর পবিত্র রমজান মাস ৩০ দিনের হতে পারে। সেই হিসাবে, সৌদি আরব ও প্রতিবেশী দেশগুলোয় আগামী বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদ।
সাধারণত চান্দ্রমাস ২৯ কিংবা ৩০ দিনের হয়। তাই ঈদ কবে হবে তা জানার জন্য মুসলমানদের ২৯ রমজানের ইফতারের পর অর্থাৎ সন্ধ্যার আকাশে চাঁদ দেখা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
সৌদি আরব ও আশপাশের দেশগুলোতে আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) শেষ হচ্ছে ২৯ রমজান। এ জন্য ইফতারের পর এসব দেশের মানুষ ঈদের চাঁদ দেখার জন্য পশ্চিম আকাশে চোখ রাখবেন। চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল মঙ্গলবার সেসব দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। আর চাঁদ দেখা না গেলে মঙ্গলবার রোজা রাখতে হবে। আর ঈদ হবে বুধবার।
বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলো নিজস্ব পন্থায় চাঁদ দেখে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে থাকে। চাঁদ দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের রেডিও–টিভিতে তা প্রচার করা হয়। ঘোষণা করা হয় মসজিদে।
ঈদের দিন সকালে জামাতে ছয় তাকবিরের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসলিমরা। সাধারণত খোলামাঠ-ঈদগাহ বা মসজিদে এ নামাজ আদায় করা হয়। ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি করেন সবাই।
উল্লেখ্য, হিজরি বর্ষপঞ্জিতে রমজান মাসের পর শুরু হয় পবিত্র শাওয়াল মাস। বর্ষপঞ্জির দশম মাস এটি। এক মাসের সিয়াম সাধনার পর পশ্চিম আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখে ঈদ উৎসবে মেতে ওঠেন।
একমাত্র মুসলিম দেশ হিসেবে বৃহস্পতিবার যে দেশে ঈদ
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। এদিকে বিশ্বের সব মুসলিম দেশে বুধবার পালিত হলেও একমাত্র বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদ পালিত হবে।
জানা গেছে, সৌদি আবরসহ মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশ, পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ দেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তান ও ভারতের তিন অঞ্চলে বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। তবে ভারতের বেশিরভাগ অঞ্চল ও বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার ঈদ পালন করা হবে।
এক নজরে দেখে নিন মুসলিম দেশগুলোতে কতটা রোজা হয়েছে এবং কবে ঈদ পালিত হচ্ছে-
পাকিস্তান : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ২৯টি।
মালয়েশিয়া : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ২৯টি।
ফিলিস্তিন : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ৩০টি।
ইন্দোনেশিয়া : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ২৯টি।
সৌদি আরব : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ৩০ টি।
আরব আমিরাত : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ৩০টি।
কাতার : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা, ৩০টি।
ইয়েমেন : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ৩০ টি।
ওমান : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ২৯ টি।
জর্দান : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ২৯টি।
মিশর : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ৩০টি।
তিউনিসিয়া : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ৩০টি।
মরক্কো : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ২৯টি।
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি জায়েজ?
আমাদের দেশে যে পা ছুঁয়ে সালাম করা বা কদমবুসি করার প্রথা প্রচলিত আছে তা ইসলামি সংস্কৃতি নয়। ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলা ইসলামের দৃষ্টিতে সালাম বলে।
হাদিসে মুসাফাহা-মুআনাকার কথা আসলেও কদমবুসির কথা আসেনি। আনাস (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি যখন তার কোনো ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, তখন সে কি মাথা ঝুঁকাবে বা তাকে জড়িয়ে ধরবে বা চুমু খাবে? তিনি বললেন, না। লোকটি বলল, তাহলে কি কেবল হাত ধরবে ও মুসাফাহা করবে? রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, হ্যাঁ। (তিরমিজি: ২৭২৮; ইবনে মাজাহ: ৩৭০২; আহমদ: ১৩০৪৪)
রাসুল (স.) মাথা ঝুঁকাতে নিষেধ করেছেন। বাস্তবতা হচ্ছে, পা ছুঁয়ে ‘সালাম’ করার সময় সাধারণত মাথা ঝুঁকে যায়। আর ‘রুকুর কাছাকাছি হয়ে সালামের জন্য ইশারা করা, ঝুঁকে পড়া এসব মাকরুহ।’ (সাকবুল আনহুর: ৪/২০৫)
আরেক হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘যখন দুজন মুসলিমের সাক্ষাৎ হয়, তারপর তারা মুসাফাহা করে, তাহলে তারা পরস্পর আলাদা হওয়ার আগেই তাদের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (মুসনাদে আহমদ: ১৮৫৪৭, ইবনে মাজাহ: ৩৭০৩, আবু দাউদ: ৫২১২, তিরমিজি: ২৭২৭)
হজরত আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের লক্ষ করে বললেন, হে বৎস! তুমি গৃহে পরিবার-পরিজনের কাছে প্রবেশকালে সবাইকে সালাম করবে। এতে তোমার এবং তোমার গৃহের সবার জন্য কল্যাণ হবে।’ (তিরমিজি: ২৬৯৮, আলমুজামুল আওসাত: ৫৯৯১)
তবে কেউ কেউ কদমবুসি বা পদচুম্বনকে সম্মানসূচক জায়েজ বলেছেন। তবে সেই সঙ্গে শর্তও দিয়েছেন।
শর্ত হচ্ছে, ‘যদি রুকু বা সেজদার সুরত হয়, তাহলে তা জায়েজ হবে না। (আলমুজতাবা: ৪/২০৫, আলমুহিতুল বুরহানি: ৮/১১৮, ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৫/৩৬৯)
ইসলামে উত্তমভাবে সালাম ও সালামের উত্তর দেওয়ার কথা রয়েছে। সাহাবায়ে কেরামরা রাসুল (সা.)-কে আসসালামু আলাইকুম বলেই সালাম দিয়েছেন। হাদিসে লক্ষণীয়, যত উত্তমভাবে সালাম দেওয়া যায় তত বেশি সওয়াব। আবার উত্তমভাবে সালামের জবাব দিতেও বলা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যখন তোমাদের সালাম দেওয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়ে পূর্ণ হিসাবকারী।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর নিকট এসে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম’। রাসুলুল্লাহ (স.) তার সালামের উত্তর দিলে লোকটি বসল। তারপর রাসুল (স.) বললেন ‘দশ’। তারপর অপর এক ব্যক্তি এসে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।’ রাসুল (স.) তার সালামের উত্তর দেয়ার পর লোকটি বসল। তার সম্পর্কে রাসুল (স.) বললেন ‘বিশ’। তারপর অপর এক ব্যক্তি এসে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু’, রাসুল (স.) তার সালামের উত্তর দিয়ে বললেন ‘ত্রিশ’। (আবু দাউদ: ৫১৯৫; তিরমিজি: ২৬৮৯)