• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দেশে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১০ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:১৬

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট সোফিয়াকে বিশ্বব্যাপী ও দেশজুড়ে উচ্ছ্বাস। কিন্তু বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট ডি-বোট। রোবটটি ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে পারে। রোবটটি কোনরকম ইন্টারনেট সহায়তা ছাড়া মানুষের ভাষা গ্রহণ করে নিজেই কথা বলতে সক্ষম বলে জানালেন রোবটটির আবিষ্কারক মো. হাফিজুল ইমরান।

তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) এ স্নাতক শেষ করে এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) এ মাস্টার্স করছেন।

তিনি জানান, রোবটটি তৈরিতে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে তার। প্রায় দেড়বছর চেষ্টা করে তিনি এ রোবটটি তৈরি করেন। ২০১৬ সালে রোবটটি সফল পরীক্ষা চালান তিনি। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় রোবটটি তৈরিতে কিছুটা সহায়তা করেছেন। তবে হাফিজুল জানান, যদি রোবটটি তৈরি ও গবেষণায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যায় তাহলে সোফিয়ার চেয়ে বেশি কর্মক্ষম করে তোলা সম্ভব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা রোবট তৈরি করেন তারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রস্তুতকারীদের চেয়ে ভাল তৈরি করতে পারেন। কিন্তু সরকার বা কোন সংস্থার উপযুক্ত সহায়তা না পাওয়ার কারণে গবেষণা বেশি দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে রোবট তৈরি বা গবেষণায় বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। এছাড়া কারিগরি সহায়তা বা যন্ত্রাংশ সন্ধানে রোবট তৈরিতে অনেক বেগ পেতে হয়।

তিনি আরো বলেন, ৩১টি মটর ব্যবহার করে রোবটটি তৈরি করা হয়েছে। যাতে মানুষের মতো চলাফেরা করতে পারে। মানুষের ভাষা বোঝার জন্য এ রোবটটিতে দুই ধরনের ভয়েজ রিকোগনাইজিং সিস্টেম রাখা হয়েছে, যাতে মানুষের সাথে কথা ভালভাবে বুঝতে পারে। ব্যালেন্স জায়রোসেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে যাতে মানুষের মতো চলাচল করতে পারে। ১৫ কেজি ওজনের এ রোবটটি উচ্চতায় ৪ ফুটের চেয়েও বেশি।

হাফিজুল বলেন, রোবটটি গান গাইতে পারে। পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রকাশ করতে পারে। শিক্ষকের ভূমিকায় কাজ করতে পারে। এছাড়া বিজ্ঞাপনের মডেলের ভূমিকায় অভিনয়ও করতে পারে।

ডি রোবটটি তত্ত্বাবধায়ন করেছিলেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার ড. তৌহিদ ভুঁইয়া। তিনি আরটিভি অনলাইনকে জানান, রোবটটি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে তৈরি করা হয়েছে। রোবটটি তৈরিতে আর্থিক ও সার্বিকভাবে সহায়তা করেছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়। রোবটটি খুবই কর্মক্ষম। যদি রোবটটি নিয়ে আরো গবেষণা ও বিনিয়োগ করা যায় তাহলে রোবটটির আরো কর্মক্ষমতা বাড়ানো যাবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের প্রচুর তরুণ রোবট তৈরিতে গবেষণা করছে। কিন্তু আর্থিক সক্ষমতা ও বহির্বিশ্বের মতো উন্নতমানের গবেষণার ল্যাব না থাকায় অনেক উদ্যোগ মুকুলে ঝরে পড়ছে। তাই দেশে যারা রোবট বানাচ্ছেন তারা যদি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পায় তাহলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশও রোবট উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে খ্যাতি পাবে।

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অস্ত্র নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোবটের সাহায্যে সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার অস্ত্র, বিস্ফোরক
লজিস্টিক্সের ক্ষেত্রে মানুষের জায়গা নিচ্ছে রোবট
মডেলিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মাসে আয় ১২ লাখ টাকা
X
Fresh