• ঢাকা সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১
logo

‘বাংলাদেশের সঙ্গে মিশরের বন্ধুত্বের দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে’

মিশর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৪ মে ২০২৪, ২০:০১

অভিন্ন মূল্যবোধ ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে মিশরের বন্ধুত্বের দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন মিশরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিস সামিনা নাজ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) কায়রোর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি হোটেলে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মিশর সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন দেশটির পরিবশে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. ইয়াসমিন সালাহ-আল- দীন ফুয়াদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত আহমেদ শাহীন এবং রাষ্ট্রাচার বিষয়ক সহকারী পরররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত নাবিল হাবাশি।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দূতাসের রাষ্ট্রদূতবৃন্দ, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, কূটনীতিকবৃন্দ, মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকেই।

রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে তার বক্তব্যের শুরুতেই স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একইসঙ্গে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতাসহ, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা।

রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ আমাদের স্বাধীনতা লাভে অবদান রাখার জন্য কূটনৈতিক কোরের সম্মানিত সদস্যবৃন্দের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মিশর এবং বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি অন্যতম প্রথম আরব দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি এবং পরবর্তীতে ওআইসি, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তিতে মিশরের ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সামিনা নাজ বাংলাদেশ এবং মিশরের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং এই সম্পর্ক জোরদারের জন্য একযোগে কাজ করার বাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, পর্যটন সহযোগিতা জোরদার, মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি বাস্তবায়ন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক উন্নয়েন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত ১৫তম ওআইসি সম্মেলনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ব্যাপারে আলোকপাত করেন এবং উক্ত বৈঠকে আলোচিত বিষয়সমূহ বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানান।

বক্তব্যের শেষে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত একটি সোনার বাংলাদেশ গড়ার। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে টেকসই উচ্চপ্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃত। আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিচু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার। রাষ্ট্রদূত দেশের তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিরামিক ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ব্যাপারে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মিশরের পরিবশে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. ইয়াসমিন সালাহ আল দীন ফুয়াদ মিসরের প্রধানমন্ত্রী ড. মোস্তফা মাধবৌলির পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন। মন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের এই আয়োজনে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে মিশরের দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে তিনি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দুই দেশের চ্যালেঞ্জসমূহের কথা তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে তিনি পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৭ জুন)
ওয়েস্ট ইন্ডিজে টাইগারদের ঈদ উদযাপন
মিশরে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রবাসীদের ঈদুল আজহা উদযাপন
নেপালকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিতের লক্ষ্য বাংলাদেশের