ঘোড়ামারা আজিজের রায় আজ
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা ও গাইবান্ধার সাবেক এমপি আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আজ বুধবার রায় ঘোষণা করা হবে।
তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলায় গণহত্যা, হত্যা, আটক, অপহরণ, লুণ্ঠন ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করবেন।
ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আমির হোসেন ও মো. আবু আহমেদ জমাদার।
এর আগে এই আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গেলো ২৩ অক্টোবর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। পরে গতকাল মঙ্গলবার রায় ঘোষণার জন্য এই দিন নির্ধারণ করেন আদালত। ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর এটি হবে ২৯তম রায়।
আব্দুল আজিজ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু (৬১), মো. আব্দুল লতিফ (৬১), আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী (৫৯), মো. নাজমুল হুদা (৬০) ও মো. আব্দুর রহিম মিঞা (৬২)। ছয় আসামির মধ্যে মো. আব্দুল লতিফ কারাগারে আছেন। বাকি পাঁচ আসামি পলাতক।
এর আগে বিচারিক কাজ শেষে মামলাটি গেলো ৯ মে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিল বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু গত ১৩ জুলাই বিচারপতি আনোয়ারুল হকের মৃত্যু হলে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম থমকে যায়।
পরবর্তীতে বিচারপতি শাহিনুরকে চেয়ারম্যান করে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী ট্রাইব্যুনাল থেকে হাই কোর্টে ফিরে যান। তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে নতুন যুক্ত হন বিচারপতি আমির হোসেন ও আবু আহমেদ জমাদার।
ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হওয়ায় বিচারকরা রায় দেয়ার আগে আবারও এ মামলার যুক্তিতর্ক শোনার সিদ্ধান্ত দেন গত ১২ অক্টোবর। সে অনুযায়ী ২২ অক্টোবর নতুন করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। দুই দিন শুনানির পর মামলাটি আবারও রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তিতর্কের শুনানি করেন সায়েদুল হক সুমন ও সৈয়দ হায়দার আলী। তাদের সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর শেখ মুশফিক কবির।
অন্যদিকে আসামিদের মধ্যে লতিফের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন খন্দকার রেজাউল এবং পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
আজিজসহ গাইবান্ধার এই ছয় জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর। এক বছরের বেশি সময় তদন্তের পর ছয় খণ্ডে ৮৭৮ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্ত সংস্থা ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ওই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করলে প্রসিকিউশন শাখা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর বর্তমান গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান আসামিরা। এর ওপর শুনানি নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গতবছর জুনে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
এর আগে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হওয়ায় তাদের পলাতক দেখিয়েই এ মামলার কার্যক্রম চলে।
আসামিদের বিরুদ্ধে তিন অভিযোগ :
প্রথম অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ৯ অক্টোবর সকালে আসামিরা পাকিস্তানের দখলদার সেনাবাহিনীর ২৫-৩০ জনকে সঙ্গে নিয়ে গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন মৌজামালি গ্রামে হামলা চালিয়ে চারজন নিরীহ, নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের মানুষকে আটক, নির্যাতন ও অপহরণ করে। পরে তাদের দাঁড়িয়াপুর ব্রিজে নিয়ে গিয়ে একজনকে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করে এবং বাকিদের ছেড়ে দেয়। আসামিরা আটকদের বাড়ির মালামাল লুণ্ঠন করেন।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে আসামিরা সুন্দরগঞ্জ থানার মাঠেরহাট ব্রিজে পাহারারত ছাত্রলীগের নেতা মো. বয়েজ উদ্দিনকে আটক করে মাঠেরহাটের রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করতে থাকে। পরদিন সকালে আসামিরা বয়েজকে থানা সদরে স্থাপিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যায়। তিন দিন আটক রেখে নির্যাতনের পর ১৩ অক্টোবর বিকেলে তাকে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ মাটির নিচে চাপা দেয়।
তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ১০ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত আসামিরা পাকিস্তান দখলদার সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সুন্দরগঞ্জ থানার পাঁচটি ইউনিয়নের নিরীহ-নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের ১৩ জন চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে অবৈধভাবে আটক করে। তাদের তিন দিন নির্যাতন করার পর পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পের কাছে নদীর ধারে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে এবং তাদের মরদেহ মাটিচাপা দেয়। সেখানে ওই শহীদদের স্মরণে একটি বধ্যভূমি নির্মিত হয়েছে।
এসএস
মন্তব্য করুন
একমাত্র মুসলিম দেশ হিসেবে বৃহস্পতিবার যে দেশে ঈদ
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। এদিকে বিশ্বের সব মুসলিম দেশে বুধবার পালিত হলেও একমাত্র বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদ পালিত হবে।
জানা গেছে, সৌদি আবরসহ মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশ, পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ দেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তান ও ভারতের তিন অঞ্চলে বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। তবে ভারতের বেশিরভাগ অঞ্চল ও বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার ঈদ পালন করা হবে।
এক নজরে দেখে নিন মুসলিম দেশগুলোতে কতটা রোজা হয়েছে এবং কবে ঈদ পালিত হচ্ছে-
পাকিস্তান : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ২৯টি।
মালয়েশিয়া : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ২৯টি।
ফিলিস্তিন : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ৩০টি।
ইন্দোনেশিয়া : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ২৯টি।
সৌদি আরব : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ৩০ টি।
আরব আমিরাত : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ৩০টি।
কাতার : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা, ৩০টি।
ইয়েমেন : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ৩০ টি।
ওমান : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ২৯ টি।
জর্দান : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ২৯টি।
মিশর : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ৩০টি।
তিউনিসিয়া : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ৩০টি।
মরক্কো : ১০ এপ্রিল, বুধবার, রোযা ২৯টি।
কোরবানির ঈদের সম্ভাব্য তারিখ
সৌদি আরবে চলতি বছরের কোরবানির ঈদ জুন মাসের ১৬ তারিখ উদযাপিত হতে পারে। দেশটির চাঁদ দেখা কমিটি এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌদি আরবের চাঁদ কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী, ঈদুল আজহা হতে পারে ১০ জিলহজ।
সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে গত ১০ এপ্রিল। ঈদুল ফিতরের দুই মাস দশ দিন পরে পালিত হয় ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ।
সাধারণত বাংলাদেশে সৌদি আরবের পরের দিন কোরবানির ঈদ পালন করা হয়। সেই হিসাবে আগামী জুন মাসের ১৭ তারিখ বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিমকে (আ.) স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানির আদেশ দেন মহান আল্লাহ। এরপর তিনি সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করার সিদ্ধান্ত নেন। এ ঘটনায় মহান আল্লাহ খুশি হয়ে যান এবং ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়।
মূলত এই ঘটনাকে স্মরণ করেই সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ পশু কোরবানি করেন। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১৩ তারিখ পর্যন্ত পশু কোরবানি করা যায়।
সূত্র : বিবিসি
সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জায়গায় শিলাবৃষ্টির আভাস
দেশের পাঁচ বিভাগের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
তাপপ্রবাহ কতদিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
আগামী তিন দিনের পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গরম নিয়ে নতুন তথ্য দিলো আবহাওয়া অফিস
তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। চলমান এই অবস্থা আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এ ছাড়া একই সময়ে ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে। তবে, এ সময়ে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই পাঠানো যাবে ছবি-ভিডিও-ডকুমেন্ট
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে মেটার হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের মেসেঞ্জার হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে উপলব্ধ ফ্রিওয়্যার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট্রালাইজড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং এবং ভয়েস-ওভার-আইপি পরিষেবা। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পাঠ্য এবং ভয়েস বার্তা পাঠাতে, ভয়েস এবং ভিডিও কল করতে এবং ছবি, নথি, ব্যবহারকারীর অবস্থান এবং অন্যান্য শেয়ার করতে দেয়। হোয়াটসঅ্যাপের ক্লায়েন্ট অ্যাপ্লিকেশন মোবাইল ডিভাইসে চলে এবং কম্পিউটার থেকে অ্যাক্সেস করা যায়।
তুমুল জনপ্রিয় হওয়ায় একের পর এক ফিচার এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ। সম্প্রতি সাড়া ফেলা বেশ কয়েকটি ফিচারের পর এবার অফলাইনে শেয়ারের করার ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে আপনি চাইলে ইন্টারনেট ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপে ছবি, ভিডিও ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করতে পারবেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। গত ২২ এপ্রিল এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ নতুন এক ফিচার নিয়ে কাজ করছে। এই ফিচারের মাধ্যমে অফলাইনে ফাইল ও ডকুমেন্ট ট্রান্সফার করা যাবে। এই সুবিধা আসতে চলেছে শিগগিরই, পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে মেটা।
এতে আরও বলা হয়েছে, অফলাইনে শেয়ার হওয়া ফাইল সম্পূর্ণ অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপটেড থাকবে অর্থাৎ প্রাইভেসি নিয়েও নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। তা জানতে পারবেন না অন্য কেউ। ব্যভহারকারীদের ভরসা পেতে এনক্রিপট হওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। এই ফিচার সম্পর্কিত একটি স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। তবে ফিচারের ছোট্ট একটি টুইস্ট রয়েছে। সেটি আবার কী? জানা গেছে, আপনার কাছাকাছি সেই ডিভাইস থাকতে হবে এবং তাতে অফলাইন ফাইল-শেয়ারিং ফিচার চালু থাকতে হবে। তবেই এই ফিচার কাজ করবে। ফাইল শেয়ারিং ফিচার বর্তমানে সব অ্যানড্রয়েড ফোনেই পাওয়া যায়।
যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই ফাইল ও ছবি শেয়ার করবেন
স্ক্যান করে ব্লুটুথ ও শেয়ার ইট অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত এক ফাইল যেমন এক ফোন থেকে আর এক ফোনে চলে যায়। অফলাইন ফাইল শেয়ারিং ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে কোনো রকম ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়ে না। সেই ফিচার কাজে লাগিয়েই হোয়াটসঅ্যাপের এই সিস্টেম কাজ করবে। এটি অন অথবা অফ ও করা যাবে, তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপকে আপনার ফোনের গ্যালারি, ফাইল ও ডকুমেন্ট অ্যাক্সেস করার অনুমতি না দিলে এই ফিচার কাজ করবে না।
হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ইউজারের নম্বর গোপন থাকবে এবং শেয়ার করা ফাইলগুলো এনক্রিপট করা হবে। ফিচারটি ইউজারদের অনেক ডেটা এবং সময় বাঁচাবে।
বর্তমানে ফিচারটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং বেটা ভার্সনে চালু হয়েছে। দ্রুত সব অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইসে ফিচারটি চালু হবে এজন্য অবশ্যই হোয়াটসঅ্যাপ সবশেষ ভার্সনে আপডেট করে নিতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
দেশে চলমান তাপপ্রবাহ কমার খবর নেই আবহাওয়া অফিসের। বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর। তবে তাপপ্রবাহ আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইনে ক্লাস চালু হতে পারে।
আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) শেষ হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তাপপ্রবাহজনিত ছুটি। তবে সিলেবাস শেষ না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা করছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একই চিন্তা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
জানা গেছে, দুয়েক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে আগের মতো ছুটি চান না অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ছুটি বাড়ালে সিলেবাস শেষ করতে সমস্যায় পড়তে হবে। এ অবস্থায় একেবারে ছুটি না দিয়ে অনলাইনে ক্লাস বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
ছুটির বাড়ানোর বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে ক্লাস বন্ধ না রেখে অনলাইন কিংবা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে কীভাবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ভেতর রাখা যায়, সেই চিন্তা চলছে। তবে অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, আগামী রোববার থেকে ক্লাস খুলছে নাকি ছুটি বাড়ছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। যদি তাপপ্রবাহ না কমে তবে অনলাইন ক্লাস চালুর ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এতে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথাও বলা হয়েছে।