এশা না পড়ে তারাবির নামাজ পড়া যাবে কী
তারাবির নামাজ রমজানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নামাজ হলো সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। অপারগতা ছাড়া তা পরিত্যাগকারী গুনাহগার হবে। রাসুল (সা.) নিজে তারাবির নামাজ আদায় করেছেন এবং সাহাবাদেরকেও তা আদায় করতে বলেছেন। রমজানে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে ২০ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়। এশার নামাজের পর থেকে ফজরের নামাজের আগ পর্যন্ত তারাবির নামাজ পড়া যায়।
তারাবির নামাজের ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে পুণ্য অর্জনের আশায় রমজানে তারাবির নামাজ শেষ করে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়। বুখারি, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন), হাদিস, ১৮৭৯
এশার নামাজ না পড়ে তারাবি পড়া প্রসঙ্গে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদরা বলেন, তারাবি নামাজ সহিহ হওয়ার জন্য আগে এশার ফরজ আদায় করা জরুরি। এশার ফরজ পড়ার আগে তারাবি পড়লে তা আদায় হয় না। তাই কেউ মসজিদে গিয়ে তারাবি নামাজ শুরু হয়ে গেছে দেখলে তার করণীয় হলো— আগে এশার ফরজ আদায় করা, এরপর তারাবির জামাত পেলে এতে শরীক হওয়া। -(আলফাতাওয়া মিন আকাবীলিল মাশায়েখ, পৃ. ৮৫; বাদায়েউস সানায়ে ১/৬৪৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৩৫; আল কাউসার অনলাইন, আলমুহীতুল বুরহানী ২/২৫২; রদ্দুল মুহতার ২/৪৪)
তাই কেউ যদি রমজান মাসে এশার নামাজে মসজিদে যেতে দেরি করে। এবং মসজিদে গিয়ে দেখে এশার জামাত শেষে তারাবি শুরু হয়ে গেছে। তখন খতম ছুটে যাবে ভেবে এশার নামাজ না পড়েই তারাবিতে শরীক হয়ে যায় এবং পরে মসজিদ বা বাসায় এসে এশা ও বিতির আদায় করে তাহলে তার তারাবি নামাজ আদায় হবে না।
মন্তব্য করুন