• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বিএনপির ভুল রাজনীতি ও জো বাইডেনের চিঠি

ড. মো. সাইদুজ্জামান রনি

  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০১
ড. মো. সাইদুজ্জামান রনি
সংগৃহীত

৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২৩টি আসন পেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় পায়।

৯ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। ১০ জানুয়ারি জয়ী সাংসদরা শপথ গ্রহণ করেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশী ও বিদেশী নানা মহলের বিভিন্ন তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়। নির্বাচনের আগে পশ্চিমারা বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দফায় দফায় বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিনিধি পাঠায় এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে তৎপর থাকতে দেখা যায়। যদিও তার তৎকালীন রাজনৈতিক তৎপরতা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বিরুদ্ধ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্যরা যখনই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন ততবারই বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

যখন ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এবং স্বতন্ত্রভাবে অংশ নেওয়া প্রায় ৬২ জন প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হলেন। শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতন সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করলেন। এ অবস্থায় আবার ও প্রশ্ন থেকে যায় বিএনপি কি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে আবার ও রাজনৈতিক কোন ভুল করল কিনা?

বিএনপি ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে যে ভুল করেছিলো, একই ভুল আবার এক দশক পর ২০২৪ সালে করেছে বলে মনে হয়।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার ভিন্ন কোন রাস্তা নেই। একমাত্র দেশের জনগণই পারে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সরকার নির্ধারণ করতে এবং এটাই গণতান্ত্রিক নিয়ম।

বিএনপির বিদেশী শক্তি বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অতি নির্ভরশীলতা এবং তাদের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার তৎপরতা তাদেরকে আরও দুর্বল করেছে এবং ভুল পথে পরিচালিত করেছে বলেই মনে হয়।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর পৃথিবীর অন্যতম পরাশক্তি ভারত, চীন ও রাশিয়াসহ পৃথিবীর বহু দেশ তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি বললেও ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নতুন সরকারের সাথে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান এবং সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চিঠিতে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় জানান।

জো বাইডেন তার চিঠিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাজের অংশীদারত্বের কথা উল্লেখ করেন এবং সফলভাবে একসাথে কাজ করার ইতিহাসের কথাও বলেন।

শুরুতেই আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, জ্বালানী, পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করার আগ্রহ জানান।

শুধু তাই নয় বাইডেন বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সমর্থন এবং বিশেষ করে একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ও ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

জো বাইডেনের চিঠিতে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা না থাকলেও বর্তমান সরকারের সাথে একসাথে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষেই যাচ্ছে বলে মনে হয়।

তাই সারা পৃথিবীর শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো যখন বর্তমান সরকারের সাথে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ভিন্ন পথে যাবে বলে মনে হচ্ছে না। তাই বিএনপির অতি বিদেশী শক্তির উপর নির্ভরশীলতাকে রাজনৈতিক আরেকটি ভুল বলেই মনে হচ্ছে।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে চীন : ব্লিঙ্কেন
১৩ বছর পর ভোটগ্রহণ চলছে লক্ষ্মীপুরের ৫ ইউপিতে
উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে কঠোর পদক্ষেপ 
১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুরের ৫ ইউপিতে রোববার ভোট, প্রস্তুতি সম্পন্ন
X
Fresh