• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ফসলে কী পরিমাণ সার প্রয়োজন এবার জানাবে অ্যাপ

আরটিভি নিউজ

  ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৯
নিউট্রিয়েন্ট ব্যালেন্স
ছবি : সংগৃহীত

নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং সালফার উদ্ভিদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক পুষ্টি উপাদান। ফসলে এই উপাদানগুলোর অভাবপূরণ করতে অজৈব সার জমিতে প্রয়োগ করা হয়। এই উপাদানগুলোর অভাব যেমন ফসলের পুষ্টিহীনতার কারণ তেমনি অতিরিক্ত প্রয়োগ ফসলের জন্য ক্ষতির কারণ। তাই ফসলের সঠিক উৎপাদন নিশ্চিত করতে পরিমিত অনুপাতে সারের ব্যবহার যেকোনো ফসলের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ফসল অনুযায়ী জমিতে অজৈব সারের পরিমিত অনুপাত নির্ণয়ের জন্য ‘নিউট্রিয়েন্ট ব্যালেন্স’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। তাদের উদ্ভাবিত এই অ্যাপটির মাধ্যমে আলু, বোরো ধান, রোপা আউশ ধান, রোপা আমন এবং ভূট্টা এই পাঁচটি ফসলের ক্ষেত্রে জমিতে সারের পরিমাণ কম বা বেশি আছে সেটি জানতে পারবেন কৃষক।

অ্যাপটি বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায়ই ব্যবহার করা যাবে। ‘নিউট্রিয়েন্ট ব্যালেন্স’ অ্যাপটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান প্রকল্পের প্রধান গবেষক বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর।

তিনি আরও জানান, ‘ডেভেলপমেন্ট অফ এ ফিল্ড লেভেল স্কেল নিউট্রিয়েন্ট ব্যালেন্স ক্যালকুলেটর ফর ক্রপস অফ অ্যান ইনটেনসিভলি ম্যানেজড এগ্রিকালচারাল সিস্টেম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়। সহকারী গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. জহির উদ্দীন। তিন বছরের ওই গবেষণা প্রকল্পের অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি (বিএএস) এবং ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)।

উদ্ভাবিত মোবাইল অ্যাপটির কার্যকারিতা সম্পর্কে তিনি বলেন, সারের হিসাব করে এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে। কিন্তু অন্য অ্যাপের সঙ্গে আমাদের তৈরি অ্যাপের বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। সারের হিসাব দেওয়ার পাশাপাশি এই অ্যাপ আরও জানাবে কতোটুকু সার গাছ গ্রহণ করলো, কতোটুকু সার ভূগর্ভস্থ ও নদীর পানিতে অপচয় হলো, কতোটুকু সার অ্যামোনিয়া গ্যাস হিসেবে বায়ু দূষণে যুক্ত হলো এবং কতোটুকু সার নাইট্রাস অক্সাইড হিসেবে গ্রিনহাউজ গ্যাস তৈরি করলো।

গবেষক আরও জানান, এ পর্যন্ত দেশের তিনটি স্থানে (বগুড়ার শেরপুর, কুমিল্লার চান্দিনা, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা) এই অ্যাপ দিয়ে প্রাথমিক গবেষণা করা হয়েছে। তিনটি স্থানেই আশানুরূপ ফলাফল দিয়েছে অ্যাপটি। অ্যাপটির এখনো উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। এটি সম্পূর্ণ কৃষকবান্ধব করে কৃষক পর্যায়ে প্রচারণা করা হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো দেশের সবগুলো জেলার কৃষকদের কাছে এই অ্যাপটি পৌঁছে দেওয়া। বর্তমানে প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের তৈরি এই অ্যাপটি স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট কৃষক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের হুঁশিয়ারি মেটার
হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই পাঠানো যাবে ছবি-ভিডিও-ডকুমেন্ট
আজ থেকে ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট শুরু
আইফোনকে টপকে শীর্ষে স্যামসাং
X
Fresh