বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি সন্দেহে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভাননের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বেসরকারি সংস্থা ‘ইখলাস’।
মঙ্গলবার (২১ জুন) দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের ডাংওয়াঙ্গি থানায় এ মামলা করা হয়। মামলা দায়ের করেছেন সংস্থাটির সভাপতি মোহাম্মদ রিজোয়ান আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ২৫টি এজেন্সি নির্বাচন করেছেন সারাভানান।
মালয়েশিয়ান গণমাধ্যম মালয় মেইলের প্রতিবেদন উল্লেখ্য করে রিজোয়ান বেলন, ২৫টি এজেন্সির ব্যাপারে বাংলাদেশের মতামত নিয়ে সারাভানন যে দাবি করেছেন, তা সঠিক নয়। সারাভানন সকাল-সন্ধ্যায় তার মত পরিবর্তন করছেন। এ বিষয়ে সঠিক তদন্তের জন্য পুলিশে রিপোর্ট করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিনটি থানায় রিপোর্ট করা হয়েছে, প্রয়োজনে আরও রিপোর্ট করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর পুনঃরায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী আনতে চুক্তিবদ্ধ হয় মালয়েশিয়া। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর চুক্তি স্বাক্ষর হলেও কোন প্রক্রিয়ায় কর্মী আনা হবে এবং কোন কোন রিক্রুটিং এজেন্সি এ প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে এ নিয়ে বাধে বিপত্তি। দুই দেশের সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেয়া হয়।
পরে চলতি বছরের ২ জুন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান দাবি করেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জনশক্তি পাঠাতে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এরপরই বাংলাদেশের তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, সিন্ডিকেট প্রশ্নে মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর অভিযোগ সঠিক নয়। এমনকি স্বাক্ষরিত চুক্তিতেও এ ধরনের কোন শর্ত যুক্ত নেই।
এদিকে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সিন্ডিকেট জটিলতায় নিজ দল ও বিরোধিদের তোপের মুখে সারাভানন। এ অবস্থায় আবারও স্থবির হওয়ার শঙ্কায় দুই দেশের মধ্যকার স্বাক্ষরিত শ্রম চুক্তি।
মন্তব্য করুন