• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঈদের রাতে ইবাদতকারীদের ৩ মর্যাদা

আরটিভি নিউজ

  ০২ মে ২০২২, ২২:২৪
ছবি : সংগৃহীত

রমজান মাসের পরের মাস শাওয়াল। এই শাওয়াল মাসের প্রথম রাতের মর্যাদা অনেক বেশি। এ রাতকে 'ঈদের রাত' বা 'চাঁদ রাত' বলা হলেও এ রাতের মর্যাদা ভিন্ন। এ রাতে ইবাদতকারীদের জন্য নবী মোহাম্মদ (স.) ৩টি বিশেষ মর্যাদার কথা ঘোষণা করেছেন।

শাওয়াল মাসের প্রথম রাত অর্থাৎ ঈদের আগের রাতের ফজিলত রমজানের তুলনায় কম নয়।

এ রাতের ইবাদতকারীর জন্য জান্নাত ওয়াজিব। এ রাতের ইবাদতকারীর কোনো দোয়া আল্লাহ ফেরত দেন না। এ রাতের ইবাদতকারীর অন্তর কখনো মরবে না। তাই রোজাদার, ইতিকাফকারী, ইবাদতকারী বান্দারা এ রাতটিও ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দেন। একাধিক হাদিসে এসেছে-

চাঁদ রাতের ইবাদতে জান্নাত ওয়াজিব। অন্য এক হাদিসের বর্ণনায় ঈদের আগের রাত তথা চাঁদ রাতের ইবাদতকারীর জন্য আল্লাহ তা‘আলা জান্নাত ওয়াজিব করে দেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। হাদিসের এক বর্ণনায় ওঠে এসেছে- হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত (ইবাদতের মাধ্যমে) জেগে থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। তাহলো-
১. জিলহজ মাসের ৮ তারিখের রাত৷
২. জিলহজ মাসের ৯ তারিখের রাত (আরাফার রাত)
৩. ঈদুল আজহার রাত।
৪. ঈদুল ফিতরের রাত এবং
৫. অর্ধ শাবানের রাত।’ (আত তারগিব ওয়াত তারহিব)

চাঁদ রাতের ইবাদতকারীর অন্তর মরবে না। চাঁদ রাতের ইবাদতকারীদের সম্পর্কে একটি বিশেষ মর্যাদা ঘোষণা করা হয়েছে। এ রাতের ইবাদতকারীদের অন্তর মরবে না। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে-
১. হজরত আবু উমামা বাহেলি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে আল্লাহর কাছে সাওয়াব পাওয়ার নিয়তে ইবাদত করবে, তার অন্তর সেদিনও জীবিত থাকবে, যেদিন সকল অন্তরের মৃত্যু ঘটবে।’ (ইবনে মাজাহ)

২. হজরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার রাতকে (ইবাদতের মাধ্যমে) জীবিত রাখবে, তার অন্তরও সেই দিন মরবে না, যেদিন অন্যদের অন্তর মরে যাবে।’ (আল মুজামুল আওসাত)

চাঁদ রাতের দোয়া ফেরত দেবেন না। আল্লাহ তা‘আলা এ (চাঁদ) রাতের ইবাদত-বন্দেগি এবং কোনো দোয়াই ফেরত দেন না। এ রাতে বান্দা যা চায়; তা-ই পায়। হাদিসের বর্ণনা থেকে তা সুস্পষ্ট। হাদিসে এসেছে- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) এর সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘(দুনিয়াতে) পাঁচটি রাত এমন আছে; যে রাতগুলোতে বান্দার দোয়া আল্লাহ তা‘আলা ফেরত দেন না। অর্থাৎ বান্দার দোয়া কবুল করেন। রাতগুলো হলো-
১. (সপ্তাহিক) জুমার রাত;
২. রজব মাসের প্রথম রাত;
৩. শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত,
৪. ঈদুল ফিতরের রাত এবং
৫. ঈদুল আজহার রাত।’ (মুসান্নেফে আবদুর রাজ্জাক)

সুতরাং এই রাতে ইবাদত-বন্দেগি করার অনেক ফজিলত। তাহাজ্জুদ, নফল নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, তাওবাহ-ইস্তিগফার, জিকির-আজকার এবং দোয়া-দরূদ পড়ার মাধ্যমে অতিবাহিত করলেই সফলতার আশা রাখা যায়।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যে কারণে আল্লাহ বৃষ্টি বন্ধ করে দেন
রাসুল (সা.) যেভাবে ঘুমাতে নিষেধ করেছেন
শাওয়াল মাসের ৬ রোজার ফজিলত
‘আ.লীগের মতো ককটেল পার্টিতে বিশ্বাসী নয় বিএনপি’
X
Fresh