• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

টিকটক পাবজি ফ্রি ফায়ার বন্ধ নয়, ফিল্টারিং প্রয়োজন

অনলাইন ডেস্ক
  ১৭ আগস্ট ২০২১, ১৬:৫৯
টিকটক পাবজি ফ্রি ফায়ার বন্ধ নয়, ফিল্টারিং প্রয়োজন
ফাইল ছবি

বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় ইন্টারনেটভিত্তিক গেম পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বাংলাদেশে অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম তথা লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেম এবং অ্যাপস বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

তবে এগুলো বন্ধ না করে ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মনে করছেন প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা।


বর্তমান দুনিয়ায় ব্যক্তিগত ব্যবহার থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে সামাজিক-মাধ্যম। ভিডিও শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে গড়ে উঠছে লাখ লাখ কনটেন্ট ক্রিয়েটর। যা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দক্ষ ও উৎপাদনমূখী জনশক্তি হিসেবে কাজে লাগানো সম্ভব।

ফেসবুক বা ইউটিউবের মাধ্যমে এখন দেশে প্রতি মাসে লাখ লাখ ডলার আয় করছেন বাংলাদেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যেও বড় ভূমিকা রাখছে।

একইভাবে লাইকি, টিকটক বা ভিগোলাইভও কাজে লাগানো সম্ভব। মানসম্পন্ন ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েট করা জরুরি। এসব প্লাটফর্মে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। এছাড়া পাবজি ও লাইকির মতো গেমগুলো বন্ধ না করে বয়সভিত্তিক ফিল্টারিং করা যেতে পারে। যেসব গেমে কিশোর-তরুণরা আসক্ত হয়ে পড়ে সেগুলো ব্যবহারের বয়স নির্ধারণ করা যেতে পারে।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদ, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘সময় টিভি’র হেড অব আইটি সালাউদ্দীন সেলিম জানান, ‘টিকটক, লাইকি, বিগোলাইভের মতো অ্যাপগুলো বন্ধ নয়, ডিজিটাল কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করলেই কিন্তু সব সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তবে এই প্ল্যাটফর্মগুলোর সুবিধা নিয়ে অনেকেই ক্যারিয়ার গড়েছেন এবং এটার ভালো দিকগুলো ব্যবহার করেই আরও অনেক সুবিধা পাওয়া সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে কয়েক বিলিয়ন ব্যবহারকারী নিয়ে টিকটক এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোশ্যাল কমিউনিটি নেটওয়ার্ক। অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোর ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কম নয়। ভালো খারাপ দুটোই থাকবেই। তবে ডিজিটাল কনটেন্ট ফিল্টারিং পলিসি তৈরি করে সেগুলো মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ক্ষতিকর কনটেন্টগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ধীরে ধীরে একটা সময় আর ক্ষতিকর কনটেন্টও তৈরি হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাত্র গত কয়েক বছরেই দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মাধ্যমেই বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে এসেছে। তাই বন্ধ না করে পলিসি মেকার ও যারা আইডল কনটেন্ট ক্রিয়েটর তারা উদ্যোগী হয়ে তরুণ সমাজকে ভালো মানের কনটেন্ট তৈরিতে উৎসাহিত করতে পারেন। তাহলে সেটা হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।’

‘অন্যদিকে পাবজি, ফ্রি-ফায়ারের মতো অ্যাটাকিং গেমস বন্ধ করার ব্যাপারে যে সুপারিশ আসছে সেক্ষেত্রেও একটু ভাবার দরকার আছে। এগুলো বন্ধ না করে বয়সভিত্তিক বিবেচনায় আনা যেতে পারে। অর্থ্যাৎ এগুলো শুধু ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সের ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ম বেধে দিলে শিশুদের ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে না। অপরিণত বয়সেই যে সব শিশুরা আসক্ত হয়ে পড়ছে সেটা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।’

এ বিষয়ে ফেসবুক সার্টিফায়েড ডিজিটাল মার্কেটার ও আরটিভি অনলাইনের ইনচার্জ পলাশ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের কিশোর-তরুণরা দুর্দান্ত ক্রিয়েটিভ। কিন্তু আমরা তাদের সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারছি না। ফলে তারা নিজের মেধা, দক্ষতা বা সৃজনশীলতা উৎপাদনহীন পথে ব্যয় করছে। বর্তমান দুনিয়ায় ডিজিটাল কনটেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টিকটক বা লাইকির মতো অ্যাপের জন্য আমাদের লাখ লাখ তরুণ কনটেন্ট ক্রিয়েট করছে। এই প্লাটফর্ম থেকে সামনে ভালো করার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া তাদের যদি কোয়ালিটি কনটেন্ট তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করা যায় তাহলে দারুণ কাজে আসবে। বর্তমান যে বিদেশি মুদ্রা রেভিনিউ আসছে এটা বহুগুণ বেড়ে যাবে। ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটরের চাহিদা দেশে ও দেশের বাইরে সবসময় রয়েছে। এজন্য এগুলো বন্ধ করে দেওয়া সঠিক হবে বলে মনে হয় না। আপাতত সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে মনে হতে পারে। কিন্তু এটা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের জন্য ভালো হবে।’

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
টিকটক নিষিদ্ধে বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
আমেরিকার পর ইউরোপেও চাপের মুখে টিকটক
কুড়িগ্রামে নদীতে গোসল করতে নেমে কিশোরের মৃত্যু
টিকটক ট্রলে দুর্বিষহ যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি নারীদের জীবন
X
Fresh