জামিন মিললো সানির
তরুণীর আপত্তি না থাকায় জামিন পেলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানি। ওই তরুণীই সানিকে স্বামী বলে দাবি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল ইসলাম মোল্লা এ মামলায় তার এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
সানির আইনজীবী জুয়েল আহমদ সাংবাদিকদের জানান, জামিন পেলেও এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি। তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে আরো একটি মামলা রয়েছে। সানির বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনেও আরেকটি মামলা রয়েছে।
তিনি জানান, আদালতের বাইরে ওই তরুণীর সঙ্গে সানির সমঝোতা হওয়ায়, জামিনে আপত্তি করেননি তরুণী।
গেলো ২২ জানুয়ারি সানিকে সাভারের আমিনবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে সানি কারাগারে আটক আছেন।
জেএইচ
মন্তব্য করুন
প্রতীক্ষিত সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস
তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। কখনো তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চলতি মাসে ২৪ দিনের মতো তাপপ্রবাহ বইছে, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এ অবস্থায় এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছেন দেশবাসী। অবশেষে বৃষ্টির খবর জানালেন আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।
তিনি জানান, তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। ১৯৪৮ সাল থেকে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড ভেঙেছে। গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ বইছে বাংলাদেশে। অর্থাৎ ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে। এছাড়া চলতি বছর দেশের ৭৫ ভাগ এলাকা দিয়ে টানা তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যেমনটি আগে কখনোই ছিল না।
এ সময় বৃষ্টির সুখবর দিয়ে ওমর ফারুক বলেন, তবে আসছে মে মাসের শুরুতে কমবে তাপমাত্রা। মে মাসের দুই তারিখ থেকে দেশের বেশিরভাগ জায়গায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলাসমূহের উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
জানা গেল এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তপন কুমার সরকার বলেন, ‘ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৯, ১০ ও ১১ মে-এই তিনটি তারিখের মধ্যে যে কোনো এক দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।’
সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সে হিসাবে, মে মাসের ১১ তারিখের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
এবার সারা দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল। তাদের মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ৯২ হাজার ৮৭৮জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৩১ হাজার ৩১৪ জন। দেশের ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় এ বছর মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। ছাত্র ১ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫২৬ জন। সারাদেশের ৯ হাজার ৬৭৯টি মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীরা ৭১৮টি কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষা দেয়।
এছাড়া বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ২০২৪ সালে মোট পরীক্ষা দিয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজার ৮৩১ জন, ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৩২ জন। সারা দেশের ২ হাজার ৮৭৭টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৭০৯টি কেন্দ্রে ভোকেশনাল পরীক্ষা দিয়েছে।
সকালের মধ্যেই ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস
সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে রোববার সকালের মধ্যেই ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা
তীব্র গরমের কারণে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাহবুবুর রহমান বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
এর আগে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে আদালতের নির্দেশ মেনে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাত ১টার মধ্যে যে অঞ্চলে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আভাস
সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকাসহ ৫ বিভাগে ঝোড়ো বৃষ্টির আভাস
এপ্রিলজুড়ে তাপপ্রবাহের পর ইতোমধ্যে দেশের কয়েক জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। এখনো পর্যন্ত সিলেট, চট্টগ্রাম, ফেনী ও রাঙ্গামাটিতে বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। এ ধারাবাহিকতায় (আজ বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকায়ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে পাঁচ বিভাগে বৃষ্টির আভাস মিললেও দেশের পশ্চিমাঞ্চলে এখনও তাপপ্রবাহ চলছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। সেইসঙ্গে প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা।
এছাড়া আগামী ১০ মে-এর পর থেকে বৃষ্টিপাতের ফলে সারাদেশে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পরবর্তী ৫ থেকে ৬ দিন দমকা হাওয়া, ঝড়ো বাতাস ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আবারও আসতে পারে তাপপ্রবাহ।
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়। যদি একান্তই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হয় তাহলে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত তাপদাহের সময়ে ক্লাসের সময় সকাল শিফট ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা এবং ডে শিফট সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চালু রাখা দরকার। পাশাপাশি প্রচলিত পেপার পেন্সিল পরীক্ষার পরিবর্তে শুধু অ্যাসাইনমেন্ট, প্রকল্পভিত্তিক কাজ, অনুসন্ধানমূলক কাজ এর মাধ্যমে মূল্যায়নের বিষয়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লিখিত নির্দেশনা জারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে। ফলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে ২৪ এপ্রিল প্রকাশ করা ‘তাপপ্রবাহ: বাংলাদেশ, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন অনুসারে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯০ শতাংশ এলাকা তীব্র তাপপ্রবাহের বিপদে রয়েছে। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমাদের গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ বলছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের কিছু অংশে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হলেও মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে। তিনি আরও বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট অঞ্চল, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলে কিছু স্বস্তির বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে সারা দেশে চলমান দাবদাহ হ্রাসের সম্ভাবনা কম।
প্রথমবারের মতো আবহাওয়াবিদরা জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাক্টিভিস্টদের সঙ্গে একমত হয়েছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করছে এবং এর ফলে ধীরে ধীরে তাপদাহের অঞ্চল প্রসারিত হচ্ছে। তারা বলছেন, দাবদাহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অংশ এবং আংশিকভাবে পূর্ব এশিয়ার দেশ ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামকে প্রভাবিত করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমস এর তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েক মিলিয়ন মানুষ প্রবল তাপদাহে ভুগছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, কৃষি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে এবং হিট স্ট্রোক ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বেড়েছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও বিশেষভাবে স্বীকার করা হয়েছে যে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত আর্দ্রতা তাপমাত্রাকে আরও অসহ্য করে তুলেছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ১-৭ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়েছে। তাপমাত্রার পাশাপাশি জলীয় বাষ্পের আধিক্য রয়েছে। একদিকে তীব্র গরম, অপরদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য। এ কারণে মানুষের শরীরে প্রচুর ঘাম হচ্ছে। আর্দ্রতা বেশি থাকায় শরীরের ঘাম সহজেই শুকচ্ছে না।
পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল–কলেজ খোলার কথা থাকলেও দেশজুড়ে হিট অ্যালার্ট ও তাপপ্রবাহের কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। তীব্র তাপপ্রবাহ আর হিট অ্যালার্টের মধ্যেই গত ২৮ এপ্রিল স্কুল-কলেজ চালু হয়। তবে প্রচণ্ড গরমে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়। গরমে অসুস্থ হয়ে শিক্ষকসহ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত সোমবার হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এরপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে চলমান তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অথচ শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমে আরও বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাংবিধানিক এখতিয়ার আছে, সেখানে এ বিষয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত (আদালতে) হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আমরা তার উপরের আদালতে, আপিল বিভাগে যাব। একটু আগে শুনেছি, আদালত একটা নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী হাইকোর্ট জনদুর্ভোগ বিবেচনায় কোনো আদেশ দিলেই কথায় কথায় আপিল বিভাগে চলে যান এবং সেখানে উন্নত দেশের বিভিন্ন উদাহরণ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। অথচ একেক দেশের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেই দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং পরিবেশ পরিস্থিতি অনুসারে। এটি কি শিক্ষামন্ত্রী আসলে বুঝতে চান না, নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করেন? আমেরিকা, কানাডা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত দেশগুলোতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পার্টটাইম কাজ করে নিজের গাড়ি, বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সম্পন্ন করার আগেই করে ফেলে। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, সব শিক্ষার্থী ভাতা পান, অনলাইন ও অফলাইন দুই ব্যবস্থাতেই শিক্ষা নেয়ার সুযোগ আছে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পড়া শেষ করার পাশাপাশি পরীক্ষাও নেয়া হয় ওপেন বুক পদ্ধতিতে। উন্নত দেশগুলোতে কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়া হয় ফলে কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষ করে বেকার থাকে না। উন্নত দেশগুলোর আবহাওয়াও আমাদের দেশের মতো নয় এবং উন্নত দেশগুলোর কোনো শিক্ষা কারিকুলাম ও সুবিধা বাংলাদেশে বিদ্যমান নেই। তাই কথায় কথায় আপিল করার অভ্যাস আর উন্নত দেশের উদাহরণ দেওয়া বন্ধ করে স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট এডুকেশন কীভাবে চালু করা যায়, কীভাবে স্কুল-কলেজে থাকতেই উন্নত দেশের বাচ্চাদের মতো বাংলাদেশের বাচ্চারাও আয় করতে পারে সেই রকম শিক্ষা কার্যক্রম চালু করুন।
এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, ইংলিশ মিডিয়ামের ক্লাস চলবে আর বাংলা মিডিয়াম সব বন্ধ থাকবে। এটা বৈষম্যমূলক। ইংলিশ মিডিয়ামের সব কার্যক্রম ব্রিটিশ কারিকুলামে পরিচালিত হয় এবং পরীক্ষাও হয় ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে। ইংলিশ মিডিয়ামে অতি ধনী পরিবারের সন্তানেরা পড়াশোনা করে, যারা এসি গাড়িতে চলে এবং ক্লাসও করে এসি রুমে। সুতরাং সেই শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমের তুলনা করার কোনো মানেই হয় না।
আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। একইসঙ্গে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও সবার আগে মাথায় রাখতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে, একটা শিশু যদি কোনো কারণে মারা যায়, এর পুরো দায়ভার সরকার ও সমগ্র জাতির উপর এসে বর্তাবে। দাবদাহ ও হিট অ্যালার্ট একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখাটাই উচিত। করোনার সময়েও দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল। একইভাবে ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও সবাই সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেয়, স্কুল বন্ধ থাকে। এমন দুর্যোগ যদি দেশব্যাপী হয়, তাহলে এর আগামীর ভাবনাটা আমাদের ভাবতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন অনেক করেছি আমরা। কিন্তু এটা ভাবিনি যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। গ্রামের বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কারণ, লোডশেডিং হচ্ছে। খাবার পানি, লোডশেডিংয়ের মতো বিষয়গুলো মাথায় রেখেই স্কুল-কলেজ খোলা রাখার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস নিয়ে পরবর্তীতে তা অন্যভাবে পুষিয়ে নিতে হবে। আগে শিশুদের বাঁচাতে হবে। তারপর লেখাপড়া, চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া সবকিছু। শিক্ষক মারা গেলেন, শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে গেল স্কুল থেকে আসার পথে এই অবস্থায় স্কুল-কলেজ কি করে খোলা থাকে? এটা কোনো অবস্থাতেই যুক্তিসঙ্গত না। এই গরমে স্কুলে আসলে লেখাপড়া হয় না। শিক্ষকও পড়াতে পারেন না, শিক্ষার্থীরাও মনোযোগ দিতে পারে না। বরং তাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। শিশুদের বিষয় এটা। বড়দের ব্যাপার না যে কোনোরকমে সইয়ে নেবে।
শিক্ষামন্ত্রী এর আগেও চলতি বছরের রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের ধর্মীয় কার্যক্রম পালনে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছিলেন। আবারও প্রচণ্ড দাবদাহ ও হিট অ্যালার্টের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের অবর্ণনীয় কষ্ট ও ভোগান্তি প্রদান করছেন। শিক্ষামন্ত্রী নিজে এসি অফিসে কাজ করেন, এসি বাসায় থাকেন, এসি গাড়িতে চলাচল করেন তাই আপনার কাছে হয়তো দাবদাহ কোনো সমস্যা বলে মনে হয় না।
একবার এসি বন্ধ রেখে সাধারণ মানুষের মতো বাস, রিকশায় চলাচল করে দেখুন তাহলে বুঝতে পারবেন দাবদাহ কাকে বলে। আপনার জায়গায় আমি শিক্ষামন্ত্রী হলে ৬ মাসের মধ্যে পুরো বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিণত করার পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর মতো শিক্ষার্থীদের আয়ের ব্যবস্থাও চালু করতাম। যা আপনার মতো সনাতন চিন্তাধারার শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে বাস্তবায়ন কোনো দিনই সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের শিক্ষা কার্যক্রম হিটলারের স্টাইলে চালানোর চেষ্টা করে শিক্ষার্থীদের মনে পড়ালেখা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভীতি তৈরি করছেন।
আপনার কার্যক্রমে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার বিরুদ্ধে প্রচুর লেখা হচ্ছে। অনেকে লিখেছেন স্বাধীন বাংলাদেশে আপনার মতো অযোগ্য শিক্ষামন্ত্রী আর কেউ ছিল না। আপনার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিতর্কিত হচ্ছে। তাই আপনি ১ নাম্বার নোটিশ গ্রহীতা উন্নত দেশগুলোর মন্ত্রীদের মতো জনমনে আপনার বিষয়ে যে ক্ষোভ আছে তা নিরসনে তথা জনদুর্ভোগ অনুধাবন করতে আপনি ব্যর্থ সেই দায়ভার কাঁধে নিয়ে অনতিবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।