ভাজাভুজি খেলেই বুক জ্বালাপোড়া করে, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তির উপায়
সবারই কম-বেশি অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে। তবে অনেকেরই সামান্য ভাজাভুজি বা ফাস্ট ফুড খেলেই অ্যাসিড রিফ্লেক্স হয়ে থাকে। পেটের অ্যাসিডিক রসগুলো খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে উপরের দিকে উঠে আসাকেই অ্যাসিড রিফ্লেক্স বলে। অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে বেশ বেগ পোহাতে হয়।
অ্যাসিড রিফ্লেক্স-এর লক্ষণগুলো হচ্ছে- গলার কাছে দলা পাকিয়ে থাকার অনুভূতি। গলা জ্বালা বা বুক জ্বালা করা, বারবার ঢেকুর তোলা ও মুখ দিয়ে হজম না হওয়া খাবারের গন্ধ বের হওয়া।
অ্যাসিডিটির প্রবণতা কমানোর উপায়
ধূমপান : ধূমপান করলে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়বেই। গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তামাকের জন্য অ্যাসিডিক খাবার খাদ্যনালী থেকে নিচে নামতে অনেক বেশি সময় নেয়। এ কারণে ফুসফুসে ক্যানসার ছাড়াও অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়ে থাকে।
সোডা জাতীয় পানীয় : খাওয়ার পর কোমল পানীয় খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। বিশেষ করে পোলাও, বিরিয়ানি, খিচুড়ির মতো ভারী খাবার খাওয়ার পর কম-বেশি সকলেই পান করে থাকেন কোমল পানীয়। তাদের মতে, খাওয়ার পর কোমল পানীয় পানের ফলে ঢেকুর ওঠে গ্যাস বা অম্বলের সম্ভাবনা থাকে না। তবে গবেষণা বলছে, বিষয়টি বিপরীত। ক্যাফিনেটেড বা সোডাজাতীয় পানীয় পান করলে অ্যাসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
নিয়মিত শরীরচর্চা : হোম অফিস করায় অনেকের শারীরিক পরিশ্রম আগের থেকে তুলনামূলক কমে গেছে। হাঁটাহাঁটি বা সিঁড়ি ওঠার মতো পরিশ্রম নিয়মিত না করলে অ্যাসিডিটির প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এ কারণে প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করা উচিত। সম্ভব হলে যোগাসন বা ফ্রি-হ্যান্ড কার্ডিয়ো করতে পারেন। ছাদে বা রাস্তায় কিছুক্ষণ হাঁটতে পারেন।
ডায়েট : তৈলাক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। মাঝে মধ্যে সামান্য ভাজাভুজি খাওয়ার পরও সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা সাধারণ রাখাই ভালো। খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর শাক-সবজিসহ কাঁচা সালাদ রাখার চেষ্টা করুন।
ওজন : করোনাভাইরাসের ঘরবন্দী সময়ে অনেকেরই ওজন বেড়ে গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, স্থূলতার সঙ্গে অ্যাসিডিটির প্রবণতার যোগ রয়েছে। এ কারণে যা ওজন হওয়া উচিত সেটাই বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
এসআর/পি
মন্তব্য করুন