সন্তানকে যা বলা যাবে না
আমরা বাচ্চাদের শেখাই কী বলা উচিত, বড়দের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু আমরা নিজেরাই ওদের সঙ্গে আচরণের ব্যাপারে সতর্ক থাকি কি?
বাচ্চাদের বড়দেরকে সম্মান করতে শেখাই, কিন্তু নিজেরা ওদের সম্মান করি না।
তাহলে জেনে নিন কোন কথাগুলো সন্তানের সঙ্গে বলা উচিত না।
কেন তুমি এ রকম হতে পারো না : আমরা প্রায়ই বাচ্চাদের বলি কেন তুমি দিদির মতো, দাদার মতো বা কোনো বন্ধুর মতো হতে পারো না? এতে ওদের নিজেদের প্রতি হীনম্মন্যতা তৈরি হয় ও আত্মবিশ্বাস কমে যায়। প্রত্যেকটি শিশুরই একটি আলাদা জগত থাকে।সে তার নিজের মতো করেই গড়ে ওঠতে চায়।
আর তাই তাকে অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে তাকে তার মতো গড়ে ওঠতে দেয়া উচিত।
বাবা ফিরুক তারপর বলছি : বাচ্চারা যতই ভুল করুন না কেন সন্তানকে কখনো এভাবে বলবেন না। এতে ওরা মনের মধ্যে ভয় আরও কিছুটা সময়ের জন্য পুষে রাখে।
বাবা সম্পর্কেও তাদের মনে ভয় ঢুকে যায়। এভাবে কিন্তু সন্তানকে শৃঙ্খলা শেখানো যায় না।
কেঁদো না : বাচ্চাদের কাঁদতে বারণ করবেন না। তাদের প্রিয় কোনো জিনিস হারিয়ে যাওয়ার দুঃখ আপনার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। ওদের জিনিসের সঙ্গে জুড়ে থাকা আবেগকে মূল্য দিন। কাঁদতে বারণ করা মানে ওদের আবেগ প্রকাশে বাধা দিচ্ছেন। তাই এ সময় তাদের বকা-ঝকা না করে বোঝাতে হবে।
তুমি খুব লাজুক : অনেক সময়ই আমরা সন্তানকে বলি তুমি খুব লাজুক বা খুব অলস। কিন্তু বার বার সন্তানকে এভাবে বলতে থাকলে বাচ্চারাও নিজেদের সেভাবেই ভেবে নিতে থাকে। সেটা ভেঙে বেরোনো ওদের নিজেদের পক্ষেই সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই বাচ্চাদের সামনে বার বার এসব কথা বলা উচিত না।
আমি বলেছিলাম : বাচ্চারা একই ভুল দু’বার করলেও এভাবে বলবেন না। ওরা কিন্তু আপনার মতো পরিণত মস্তিষ্কের নয়। তাই ধৈর্য না হারিয়ে বলুন ‘ঠিক আছে। পরের বার আমরা ঠিক করে করার চেষ্টা করবো’।
আরকে/এমকে
মন্তব্য করুন