পাকিস্তানে বাস-ট্রেন সংঘর্ষে নিহত ৩০
পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী বাস ও ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে মারা গেছেন অন্তত ৩০ জন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮০ জন। এদের অনেকের অবস্থাই গুরুত্বর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার রাতে সিন্ধুর সুক্কুর জেলার রোহরি রেল স্টেশনের কাছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানায়, স্টেশনের কাছে কান্ধরা রেল ক্রসিং অতিক্রম করছিল পাঞ্জাবগামী একটি বাস। ওই সময় করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডিগামী পাকিস্তান এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাসটিকে ধাক্কা দেয়।
এতে দুমড়ে-মুচড়ে প্রায় ২শ’ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে বাসটি। সংঘর্ষের তীব্রতা এতোই বেশি ছিল যে, বাসটি তিন টুকরা হয়ে ভেঙে যায়।
হতাহতদের সবাই বাসযাত্রী। আহতদের রোহরি ও শুক্কুর শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এসজে
মন্তব্য করুন
জঙ্গিবাদ নির্মূলের শপথ শাহবাজ শরীফের
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আত্মঘাতী হামলায় দুই সেনা সদস্যকে হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। গত শুক্রবারের ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নিশ্চিহ্ন করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মিডিয়া শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ডেরা ইসমাইল খান জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ি বহরের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। এতে হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে।
আরব নিউজ পাকিস্তান লিখেছে, ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ দায় স্বীকার করেনি। তবে একই অঞ্চলে এর আগের হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তান তালেবান। বোমা হামলার নতুন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শরীফ।
আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে জঙ্গিবাদের তৎপরতার মধ্যে এই হামলা হয়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি প্রত্যাহার করে পাকিস্তানি তালেবানরা। ওই ঘটনার পর থেকে সহিংসতা বেড়েছে। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে সাহসী হয়ে উঠেছে পাকিস্তানি তালেবান, বা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)।
পাকিস্তানে নতুন করে বেড়েছে সন্ত্রাসী হামলা
পাকিস্তানজুড়ে গত কিছুদিন ধরেই মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে। সবশেষ গত মঙ্গলবারও খাইবার পাখতুন খোওয়ার বিশাম এলাকায় বোমা হামলা চালানো হয়েছে। সন্ত্রাসের এসব ঘটনায় যে বিষয়টি স্পষ্ট তা হলো, পাকিস্তান বহুমাত্রিক সন্ত্রাস ও বিদ্রোহের মধ্যে রয়েছে।
ডন জানিয়েছে, বেলুচিস্তানের উপকূল ও এর অভ্যন্তর থেকে উত্তরের দুর্গম পাহাড় পর্যন্ত ভয়ঙ্কর সহিংসতা ঘটছে। এসব ঘটনার বেশিরভাগ ভুক্তভোগী বেসামরিক ও সামরিক নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। তবে সবশেষ বিশাম এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে চীনা নাগরিকদের লক্ষ্য করে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, আত্মঘাতী ওই বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজনই চীনা নাগরিক। তারা ইসলামাবাদ থেকে দাসু বিদ্যুৎ প্রকল্পে যাচ্ছিলেন। পথে একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি তাদের গাড়িতে ধাক্কা দেয়।
অপরদিকে তুরবাতে বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সোমবার রাতে পিএনএস সিদ্দিক নৌ-ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় এক এফসি জওয়ান নিহত হন। গত সপ্তাহে গোয়াদর বন্দর কর্তৃপক্ষ কমপ্লেক্সে বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আক্রমণ চালাতে গেলে নিরাপত্তা বাহিনী ওই পরিকল্পনা নস্যাৎ করে।
সবশেষ বিশাল এলাকায় চালানো হামলার ঘটনায় কেউ দায় স্বীকার করেনি। আইএসপিআর বলছে, পাকিস্তান-চীন বন্ধুত্বের বিরুদ্ধে যারা তারাই ওই সহিংসতার ঘটনায় দায়ী। বিশাম ও গোয়াদারে চালানো হামলা নিশ্চিতভাবেই দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট করতে চালানো হয়েছে।
গোয়েন্দাদের হস্তক্ষেপ নিয়ে পাকিস্তানি ৬ বিচারকের চিঠি
বিচার বিভাগের কাজে পাকিস্তানের একটি শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের ছয়জন বিচারক সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের (এসজেসি) দ্বারস্থ হয়েছেন। তাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসার নেতৃত্বাধীন এসজেসিকে বিচার বিভাগীয় সভা ডাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ বিচারিক কাজে গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপের নজিরবিহীন অভিযোগ তুলে সাড়া ফেলে দেন ছয় বিচারক। তারা হলেন বিচারপতি মহসিন আখতার কায়ানি, তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গিরি, বাবর সাত্তার, রদার এজাজ ইসহাক খান, আরবাব মুহাম্মদ তাহির ওসামান রাফাত ইমতিয়াজ।
চিঠিতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে বিভাগীয় বৈঠকের মাধ্যমে একটি অবস্থান গ্রহণের কথা বলা হয়। এসজেসি হল উচ্চ আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুমোদিত সর্বোচ্চ সংস্থা।
চিঠিতে বলা হয়, আমরা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছ থেকে নির্দেশনা চাওয়ার জন্য লিখছি, গোয়েন্দা সংস্থার অপারেটিভসহ কার্যনির্বাহী সদস্যদের কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে একজন বিচারকের দায়িত্ব কী হবে, কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে। একটি মামলার বিষয়ে বিচারকের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হাই কোর্টের একজন বিচারপতির শ্যালককে অপহরণ ও নির্যাতনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে চিঠিতে।
বিচারকরা বলেন, এসজেসি নির্দেশিত আচরণ বিধিতে এমন পরিস্থিতিতে বিচারকদের আচরণ কেমন হবে, সেই বিষয়ে কোনো গাইডলাইন নেই। বিচারকাজে হস্তক্ষেপ করে এমন ঘটনাগুলোতে জানানোর ব্যাপারেও বিচারকদের জন্য স্পষ্ট পরামর্শ নেই।
ইমরান ও বুশরার ১৪ বছরের সাজা স্থগিত
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির সাজা স্থগিত করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
সোমবার (১ এপ্রিল) ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে ১৪ বছর করে যে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা স্থগিত করার নির্দেশ দেন আদালত। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খানের আপিলের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে রায় স্থগিতের আদেশ দেন ইসলামবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব।
আদালতে ইমরানের আপিলের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আলী জাফর। বিপরীতে সরকারের পক্ষ থেকে কৌঁসুলি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমজাদ পারভেজ। তবে শুনানির সময় ইমরান খান বা তার স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন কি না তা জানা যায়নি।
এর আগে, গত ৩১ জানুয়ারি ইসলামাবাদের দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ আদালত ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের দুজনকে আলাদাভাবে ৭৯ কোটি পাকিস্তানি রুপি জরিমানা ও ১০ বছরের জন্য যেকোনো রাষ্ট্রীয় পদে দায়িত্ব পালনের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এর একদিন পর তাদের বিয়ে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে দুজনকে সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত।
কারাগারে বুশরাকে বিষ দেওয়া হয়েছে, দাবি ইমরান খানের
কারাগারে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির শরীরে বিষপ্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) আদিয়ালা কারাগারে বসা আদালতে শুনানির সময় ইমরান খান নিজেই এই অভিযোগ করেন।
বিচারকের উদ্দেশে পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা বলেন, সাব-জেলে বুশরা বিবির শরীরে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে। তার ত্বক ও জিহ্বায় বিষপ্রয়োগের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। আমি জানি, এর পেছনে কার হাত রয়েছে।
এসময় ইমরান খান আদালতের কাছে তার কারাবন্দী স্ত্রীকে বিষপ্রয়োগের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানান। একইসঙ্গে বুশরার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ চান। আদালত পিটিআই নেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো নির্দেশ জারি করেননি। তবে তার স্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য লিখিত আবেদন জমা দিতে বলেছেন।
এর আগে, আদালতে হাজিরা দেওয়ার ফাঁকে সাংবাদিকদের কাছে একই অভিযোগ করেছিলেন বুশরা বিবি। তিনি বলেছিলেন, শবে মেরাজের সময় কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া খাবার ও পানি খুবই তেতো ছিল। তখন তার খাবারে ‘তিন ফোঁটা টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো হয়েছিল।
বর্তমানে ইমরান খান রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী রয়েছেন। অন্যদিকে বুশরা বিবি এখন রাজধানী ইসলামাবাদে ইমরান খানের বানি গালার বাড়িতে বন্দী রয়েছেন। ওই বাড়িকেই সাব–জেল ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের প্রশাসন।
এপ্রিলেই কারামুক্ত হতে পারেন ইমরান খান!
চলতি মাসেই কারাগার থেকে মুক্তি মিলতে পারে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানে—এমনটাই আশা করছেন তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতারা। দলটির সিনিয়র নেতা লতিফ খোসা এ বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
রোববার (৭ এপ্রিল) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
‘নয়া পাকিস্তান’ নামে সংবাদমাধ্যমটির একটি অনুষ্ঠানে লতিফ খোসা জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি এটি নিশ্চিত করে বলছি যে, পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতাকে (ইমরান খান) এই এপ্রিলেই মুক্তি দেওয়া হবে।’
ইমরান খানের মুক্তির বিষয়ে সরকার-সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো সমঝোতা হয়েছে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে পিটিআইয়ের এ সিনিয়র নেতা বলেন, ইমরান খানের মুক্তি কোনো সমঝোতার অংশ হিসেবে হচ্ছে—এমনটা ভাবা অন্যায়।
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর মধ্যে সাইফার মামলা ও ইদ্দত মামলার বিষয়ে খোসা জানান, এগুলোর আসলে ভিত্তি নেই। তিনি বলেন,‘সাইফার মামলায় আদালত ইতোমধ্যেই সেই কথিত ‘সাইফার কোথায় আছে’ সেই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। আর ইদ্দত মামলাটি একটি লজ্জাজনক বিষয়।’
এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে থাকা তোশাখানা মামলার ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ স্থগিত করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ঈদের পর এই মামলার শুনানির দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়।
তবে কারাদণ্ডে স্থগিতাদেশ এলেও ইমরান খান এখনো কারাগারে বন্দি। সাইফার মামলা, আরেকটি তোশাখানা মামলা ও সন্ত্রাসবাদী মামলার প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল আছে এখনও।
এদিকে ইমরান খানের কারামুক্তি নিয়ে লতিফ খোসার দৃঢ় প্রত্যাশা ব্যক্ত করার পর একই ধরনের দাবি করেছেন পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহার আলী খানও। তবে তিনি কোনো নির্দিষ্ট দিন-তারিখ উল্লেখ না করে জানিয়েছেন, শিগগিরই কারামুক্ত হবেন ইমরান খান।
উল্লেখ্য, অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় ইমরান খানকে। সে সময় ইমরান খান ও পিটিআই নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করেছে সেনাবাহিনী। পরে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ইমরান খানকে তোশাখানা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে সাইফার ও ইদ্দত মামলায়ও অভিযুক্ত করা হয়। এসব মামলায় বর্তমানে কারাভোগ করছেন ইমরান খান।
পাকিস্তানে কিশোরকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বিক্ষোভ
পাকিস্তানের শুক্কুর শহরে এক কিশোরকে যৌন নিপীড়নের পর হত্যা করা হয়েছে। শহরের মদিনা কলোনির প্রভাবশালী গ্যাং সদস্যদের হাতে খুনের ওই ঘটনায় নিহতের পরিবার, স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রতিবাদে রাস্তায় নামে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় তারা ওই কিশোরের মরদেহ মূল সড়কে রেখে বিক্ষোভ করেন বলে ডন জানিয়েছে।
১৩ বছরের ওই কিশোরের ময়নাতদন্তের পর স্বজনেরা লাশ গ্রহণ করেন। এরপর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন। অপরাধীদের ধরতে এবং এফআইআর দায়েরে পুলিশ দেরি করছে বলেও তারা স্লোগান দেন।
নিহতের বাবা গণমাধ্যমে বলেন, অপরাধীরা তার ছেলেকে তাদের গেস্ট হাউসে ডেকে নেয়। সম্ভবত তাকে যৌন নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়। যৌন হয়রানির বিষয়ে এর আগে তার ছেলে পরিবারের কাছে অভিযোগও করছিল। প্রভাবশালী চক্রটি তার ছেলেকে টার্গেট করেছিল বলে জানান তিনি।
যৌন নির্যাতনের ঘটনা কাউকে না জানাতে চক্রটি হুমকিও দিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এলাকার অন্য ছেলেদেরও ওই গ্যাং হুমকি দিয়েছিল, যাতে তারা ছেলেটির ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা না বলে। ঘটনা বলে দিলে অন্যদের সন্তানদেরও একই পরিণতি করার হুমকি দিয়েছিল চক্রটি।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী, আইজিপি, শুক্কুর ডিআইজি এবং এসএসপির কাছে ন্যায় বিচারের অনুরোধ জানিয়েছেন।