ভারতের পাশে দাঁড়াতে চীনের বার্তা
ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় বিরোধ লাগলেও করোনা মহামারি এ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে দাঁড়াতে চায় চীন। সেজন্য শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন। বার্তায় ভারতে বেড়ে যাওয়া করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
বার্তা পাঠানোর বিষয়টি শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি নিশ্চিত করেছেন। চীনে উৎপাদিত করোনা সংক্রমণ বিরোধী যন্ত্রপাতি ভারতে দ্রুত প্রবেশ করছে বলেও জানান তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে দেয়া বার্তায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বলেন, মহামারির এই পরিস্থিতিতে ভারতকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছে চীন। করোনা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সংহতি ও সমন্বয় প্রয়োজন।
এফএ/পি
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচনকেন্দ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে যে মন্তব্য করল জাতিসংঘ
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর দেশটির নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছে জাতিসংঘ।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। এ সময় কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারসহ ভারতের লোকসভা নির্বাচন ঘিরে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে প্রশ্ন করা হয় তাকে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘে স্টিফেন ডুজারিককে কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত প্রশ্নে কংগ্রেসের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার বিষয়টিও উত্থাপন করা হয়।
তার সামনে প্রশ্ন রাখা হয়, ভোটের ঠিক আগে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কংগ্রেসের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। নাগরিক অধিকার আন্দোলনকর্মীরা মনে করছেন, এভাবে বিরোধীদের দমন করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি জাতিসংঘ কীভাবে দেখছে?
জবাবে ডুজারিক জানান, ভোটের সময় অন্যসব দেশের মতো ভারতেও রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের প্রত্যেকের অধিকার রক্ষিত হবে বলে আশা করছে জাতিসংঘ।
তিনি বলেন, আমরা খুব আশাবাদী যে, ভারতের নির্বাচনে রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকারসহ সবার অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং ভোটাররা অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পারবে।
এর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের পর ভারতে নিযুক্ত মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে নয়াদিল্লি। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
মার্কিন কূটনীতিককে তলব এবং ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের ব্যাংক একাউন্ট জব্দের অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, কেজরিওয়াল ইস্যুতে ‘নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ’ করছে যুক্তরাষ্ট্র। দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন ডেপুটি রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টিও তাদের নজরে আছে।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩০০ ফুট খাদে বাস, নিহত ১০
ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে গেছে একটি যাত্রীবাহী বাস। এ ঘটনায় ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। নিহতরা সবাই অভিবাসী শ্রমিক বলে জানা গেছে। হাইওয়ে ধরে শ্রীনগরে যাচ্ছিলেন তারা।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদন বলছে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং গাড়িটি রামবান জেলার ব্যাটারি চেশমানামক স্থানে ৩০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়।
এনডিটিভি বলছে, নিহতরা অভিবাসী শ্রমিক এবং তারা শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিলেন। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য কাশ্মিরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশও সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
আরও একটি জাহাজ ছিনতাই করল সোমালি দস্যুরা
এমভি রুয়েন ও এমভি আবদুল্লাহর পর আরও একটি জাহাজ ছিনতাই করেছে সোমালি জলদস্যুরা।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুকত্রা থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণপশ্চিমে আরব সাগরে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছে ইরানি ফিশিং জাহাজ ‘আল-কাম্বার ৭৮৬’। জাহাজটি মাত্র ৯ জন দস্যু ছিনতাই করেছে। তবে দস্যুদের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের নৌবাহিনী। শুক্রবার ভারতের দুটি জাহাজ পাঠানো হয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পাঠানো ওই দুই যুদ্ধজাহাজ শুক্রবার ছিনতাই হওয়া ইরানি জাহাজের কাছে চলে যায়। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত নাবিকসহ ছিনতাই হওয়া জাহাজটি উদ্ধার করা যাবে।
এর আগে গত ডিসেম্বরে ছিনতাই হওয়া এমভি রুয়েন’ জাহাজটি গত ১৫ মার্চ ৪০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। এ সময় ৩৫ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে ভারতে আনা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জাহাজে ১০ লাখ ডলার মূল্যের ৩৭ হাজার টন কার্গো ছিল।
Based on the inputs on a potential piracy incident onboard the Iranian Fishing Vessel 'Al Kamar 786' late evening on 28 March, two Indian Naval ships, mission deployed in the Arabian Sea for maritime security operations were diverted to intercept the hijacked fishing vessel. The pic.twitter.com/B2zAcgDK73— JAMMU LINKS NEWS (@JAMMULINKS) March 29, 2024
বড় পরিবর্তনের হাওয়া, সড়কে টোল কাটবে স্যাটেলাইট
বিভিন্ন সড়ক ও সেতু নির্মাণের পর টোল প্লাজাও স্থাপন করা হয় সেগুলোতে। ওইসব সড়ক ও সেতুতে যানবাহন থেকে টোল আদায় হয় এইসব টোল প্লাজার মাধ্যমেই। উন্নয়নশীল থেকে উন্নত বিশ্বের প্রায় সবখানেই এমন পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত মোটামুটি সবাই। কিন্তু এবার বড় ধরনের পরিবর্তনের হাওয়া লাগছে দীর্ঘদিনের প্রচলিত এ পদ্ধতিতে।
সড়কে টোল আদায় পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে চলেছে ভারত সরকার। স্যাটেলাইট ভিত্তিক টোল কালেকশন সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে দেশটির কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ, এবার টোল আদায়ের জন্য সড়ক-মহাসড়কে টোল বুথের সামনে লম্বা লাইনের ঝামেলা পোহাতে হবে না যানবাহন চালক ও যাত্রীদের। জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্যাটেলাইটই কেটে রাখবে নির্ধারিত টোল।
পরিকল্পনাটিকে বাস্তব রূপ দিতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতের সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়। কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে টোল সংগ্রহ করা হবে দেশটিতে। কীভাবে কাজ করবে এই সিস্টেম সেই তথ্যও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি।
তিনি জানিয়েছেন, নতুন টোল সিস্টেমে জিপিএস এবং ক্যামেরার ব্যবহার করা হবে। এর ফলে টোল বুথ ও ব্যারিয়ারগুলোর প্রয়োজন পড়বে না। জিপিএস ও ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে গাড়ি। সরাসরি গাড়ি চালকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে যাবে টোল ট্যাক্স। কত কিলোমিটার ভ্রমণ করেছে সেই গাড়ি, তার উপর নির্ভর করবে টোল ট্যাক্সের পরিমাণ।
টোল আদায়ে বর্তমানে সর্বাধুনিক যে ব্যবস্থা দেখতে পাওয়া যায় তা কাজ করে আরএফআইডি (RFID) প্রযুক্তির ভিত্তিতে। এটি হল রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ। যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে গাড়িগুলো শনাক্ত করতে এবং ট্র্যাক করতে সাহায্য করে। বাংলাদেশেও এই সিস্টেম চালু আছে।
এ পদ্ধতিতে একটি ক্যামেরা বসানো থাকে টোল প্লাজায়। যা গাড়ির ফাস্ট্যাগ আইডি ট্র্যাক করে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা কেটে নেয়। তবে নতুন জিপিএস ভিত্তিক সিস্টেম বসলে এই আইডির প্রয়োজন কমে যাবে। ভারত সরকারের মতে, নতুন টোল সিস্টেম টোল সংগ্রহ প্রক্রিয়া দ্রুত এবং স্বচ্ছ করে তুলবে।
এই মুহূর্তে প্রত্যেক টোল প্লাজাতে ট্যাক্সের পরিমাণ নির্ধারিত রয়েছে। যত কিলোমিটারই ভ্রমণ করেন না কেন যে টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেটাই জমা দিতে হয়। তবে নতুন ব্যবস্থা যোগ হলে এই টাকার অঙ্কে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে।
কেজরিওয়ালকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ
ভারতে আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির মামলায় গ্রেপ্তার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১ এপ্রিল) কেজরিওয়ালের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে এ রায় দেন দিল্লির রোজ এভিনিউ আদালত।
এর আগে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ ভারতের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের (ইডি) হাতে গ্রেপ্তার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে অবশ্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ বার তলব করেছিল ইডি। কিন্তু কোনোবারই সাড়া দেননি তিনি।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২১ সালে দক্ষিণ ভারতের একটি মদ প্রস্তুতকারী কোম্পানির সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছিলেন কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়া এবং দলটির কেন্দ্রীয় নেতা সঞ্জয় সিং। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, দিল্লিতে ওই কোম্পানির ব্যবসার সুবিধার জন্য সরকারি মদবিক্রয় নীতিতে পরিবর্তন আনবে দিল্লির রাজ্য সরকার এবং তার বিনিময়ে ১০০ কোটি রুপি ঘুষ দেবে ওই কোম্পানি।
এ অভিযোগে গত বছর মনীষ সিসোদিয়া এবং সঞ্জয় সিংকে গ্রেপ্তার করে ইডি। পরে জিজ্ঞাসাবাদকালে তাদের বয়ানে উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের নাম।
আম আদমি পার্টির (এএপি) অভিযোগ, কেজরিওয়ালকে যে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটি সাজানো এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তবে ইডির অভিযোগ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তদন্তে সহযোগিতা করছেন না এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এদিকে সোমবার রায়ের পর আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে নিজের এ অবস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি দায়ী করেছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যা করছেন, তা দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।’
প্রসঙ্গত, ভারতের ইতিহাসে অরবিন্দ কেজরিওয়ালই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যাকে পদে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আম আদমি পার্টি জানিয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে কেজরিওয়ালই থাকবেন এবং কারাগার থেকে তিনি সরকার পরিচালনা করবেন।
ভারতে মিলল অদ্ভুত গাছ!
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের আলুরি সীতারামা রাজু জেলার পাপিকোন্ডা ন্যাশনাল পার্কে বন কর্মকর্তারা ইন্ডিয়ান লরেন্স নামের একটি গাছের ছাল কেটে ফেলেন, তখন সেখান থেকে ফিনকি দিয়ে পানি বের হতে থাকে। এই গাছটিকে ইন্ডিয়ান লরেল ট্রি বলা হয়, যেটি গ্রীষ্মকালে নিজের ভিতরে পানি জমা করে রাখে। বৌদ্ধ ধর্মের লোকেরা গাছটিকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। বিশেষ করে গোদাবরী অঞ্চলের পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী উপজাতি গোষ্ঠী কোন্ডা রেড্ডি সম্প্রদায় এই গাছ সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিল। তারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এর বাকল কেটে তৃষ্ণা মেটাচ্ছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) একটি ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ছাল কাটার সঙ্গে সঙ্গে তা থেকে পানি বেরোতে শুরু করেছে। ওই সময় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি জি নরেন্দ্রন বন বিভাগের দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নরেন্দ্রন বলেন, ‘যখন আমরা জাতীয় উদ্যানে ভারতীয় লরেল গাছের ছাল কেটে ফেলি, তখন সেখান থেকে পানি বেরিয়ে আসে। কোন্ডা রেড্ডি উপজাতি গাছটি সম্পর্কে তাদের আদিবাসী জ্ঞান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শেয়ার করেছিল। গ্রীষ্মকালে, ভারতীয় লরেল গাছে পানি জমে যা তীব্র গন্ধযুক্ত এবং টক স্বাদযুক্ত। ভারতীয় বনের গাছগুলোতে একটি আশ্চর্যজনক অভিযোজন দেখা গেছে।’
উল্লেখ্য, ভারতীয় লরেলের কাঠ সিলভার ওক নামেও পরিচিত। এর উচ্চ বাণিজ্যিক মূল্য রয়েছে। যে কারণে বন কর্মকর্তারা এসব গাছের প্রজাতি সংরক্ষণের ব্যবস্থা হিসেবে গাছগুলোর সঠিক অবস্থান প্রকাশ করেননি। সহজ ভাষায় একে কুমিরের ছাল গাছও বলা হয়। এই গাছের উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট লম্বা হতে পারে এবং এটি বেশির ভাগ শুষ্ক ও আর্দ্র বনাঞ্চলে পাওয়া যায়। এই গাছের সবচেয়ে বিশেষ বিষয় হলো এর কাণ্ড পানিতে ভরা, যেখানে অন্যান্য গাছের তুলনায় এর কাণ্ড ফায়ার প্রুফ। এই গাছের অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকেরা একে বোধিবৃক্ষ নামেও ডাকে। তারা বিশ্বাস করে যে, এই গাছের নিচে তপস্যা করার সময় বোধিসত্ত্ব জ্ঞান লাভ করেছিলেন।
যোগগুরু রামদেবকে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের কড়া হুঁশিয়ারি
নিজের প্রতিষ্ঠিত আয়ুর্বেদিক পণ্যের সংস্থা পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি শুনেছেন ভারতীয় যোগগুরু বাবা রামদেব। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সেলিব্রিটি এ যোগগুরুকে কঠিন পদক্ষেপের জন্য তৈরি থাকতে বলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন রামদেবের সঙ্গে আদালতে হাজিরা দেন তার সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণও। এর আগে ভুল বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত মামলায় আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণকে। কিন্তু কোনও জবাব না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ২ এপ্রিল তাদের দুজনকে হাজিরা দিতেই হবে জানিয়ে কড়া নির্দেশ দেন আদালত। সেই নির্দেশ মেনেই আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দেন তারা।
প্রসঙ্গত, ভুল বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত উক্ত মামলায় পতঞ্জলির বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ ছিল, অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং চিকিৎসকদের অপমান করেছে রামদেবের সংস্থা। এছাড়া কোভিড ১৯-এর ভ্যাকসিন নিয়েও এই সংস্থা ভুল প্রচার করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, পতঞ্জলির করা দাবিগুলো আদৌ সত্য বলে প্রমাণিত নয় এবং তা ১৯৫৪ সালের ড্রাগস অ্যান্ড আদার ম্যাজিক রেমেডি আইন এবং ২০১৯ সালের উপভোক্তা সুরক্ষা আইনের মতো আইনগুলোকে সরাসরি লঙ্ঘন করে।
সঠিক সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পুরো বিষয়টি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারেরও সমালোচনা করেন সুপ্রিম কোর্ট।