বাজারে বন্দুক উঁচিয়ে হুঙ্কার ‘শ্যুট করে দেব’
রাজনীতির বিভাজন দিনে দিনে আতঙ্কে রূপ নিচ্ছে। নির্বাচন কেন্দ্রীক সহিংসতা থেকে শুরু করে এলাকায় ত্রাস ছড়াতে অনেকেই রাজনীতির ছত্রছায়া ব্যবহার করেন। তাই তো ভারতের হুগলির চণ্ডীতলার নবাবপুর এলাকায় বাজারে প্রকাশ্যে বন্দুক উঁচিয়ে শ্যুট করার হুঙ্কার দিয়েছেন। প্রকাশ্যে বন্দুক উঁচিয়ে হুঙ্কার দেওয়ায় বাজারের দোকানি ও ক্রেতাদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল।
বাজারে প্রকাশ্যে ত্রাস ছড়ানোর দায় তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন এলাকার বিজেপি নেতা আসফার হোসেন।
ভর সন্ধ্যায় ভরা বাজারে ‘ত্রাস’ ছড়িয়ে স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের নাম ধরেন। ভয়ে দোকানদারদের ঘাড়নাড়া দেখে হুঙ্কার দিয়ে বলছে, ‘বলে দিস আমাকে শেখ মোশারফ আলি পাঠিয়েছে। ওদের কাউকে পেলেই শ্যুট করে দেব।’ এমন ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গত সোমবার সন্ধ্যায় নবাবপুর বাজারে শেখ শাকির নামে এক ব্যক্তিকে এ ভাবেই প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। বাজার জুড়ে দাপাদাপি শুরু করে শাকির। যার জেরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শাকিরের ‘দাদাগিরি’র দৃশ্য মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করেন ওই বাজারেরই এক ব্যবসায়ী। সেই ভিডিয়ো এখন ছড়িয়ে পড়েছে।
দলীয় কর্মীদের ‘শ্যুট করা’র হুমকি দেওয়া হচ্ছে শুনে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন এলাকার বিজেপি নেতা আসফার হোসেন। তার মতে, ‘ভর সন্ধ্যায় দুষ্কৃতী পিস্তল হাতে বাজারে দাপাচ্ছে এমনটা এর আগে দেখা যায়নি। রাজ্যের শাসক দল বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে এ সব করাচ্ছে।’ শাকির যে তৃণণূল নেতার নাম ধরে ‘হুমকি’দিচ্ছিলেন সেই মোশারফ আলি অবশ্য বলছেন, ‘আমি রাজনীতি করি। তাই কেউ আমার নাম করে শাকিরকে শিখিয়ে দিতে পারে। তবে ও দুষ্কৃতী নয়, নেশাগ্রস্ত। এর আগেও শাকিরকে গ্রামবাসীরা মারধর করেছে। তবে কিছুতেই শোধরানো যায়নি। ও যদি অন্যায় করে তবে প্রশাসন ব্যসস্থা নেবে।’ ভিডিয়োটি দেখে পুলিশের ধারণা, শাকিরের হাতে যা দেখা গিয়েছে তা আগ্নেয়াস্ত্র নয়, এয়ার গান, তাতেই ‘রজ্জুতে সর্পভ্রম’। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং শাকিরেরও খোঁজ চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। হুগলির পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) আমনদীপ বলেন, ‘ওই ভিডিয়ো আমাদের কাছেও এসেছে। এ নিয়ে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে পুলিশ ওই ভিডিয়ো খতিয়ে দেখছে।’
এফএ
মন্তব্য করুন