সৌদি আরবের কয়েকটি শহরে হামলা
সৌদি আরবের তেল কোম্পানি আরামকোসহ বেশ কয়েটি স্থানে ১৪টি ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। হামলার জবাবে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সামরিক অভিযান পরিচালনার দাবি করেছে।
শনিবার (২০ নভেম্বর) সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস অ্যাজেন্সির এক প্রতিবেদনে এই হামলা-পাল্টা হামলার খবর দেওয়া হয়েছে।
সৌদির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল তোম্পানি সৌদি আরামকো শিগগিরই এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাবে।
হুথির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রিয়াদ, জেদ্দা, আভা, জিজান এবং নাজরান প্রদেশে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। জেদ্দায় সৌদি আরামকোর তেল শোধনাগারও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এফএ
মন্তব্য করুন
ওমরাহর সুযোগ আরও সহজ করল সৌদি
বিদেশিদের জন্য পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ আরও সহজ করেছে সৌদি আরব। এখন থেকে যেকোনো ধরনের ভিসায় সৌদি আরব গেলেই বিদেশিরা ওমরাহ পালনের অনুমতি পাবেন। লাগবে না কোনো বিশেষ ভিসা।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, যেকোনো দেশ থেকে এবং যেকোনো ভিসায় সৌদি আরবে আগতরা এখন থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্রানজিট, শ্রম ও ই-ভিসাসহ যেকোনো ভিসাধারী ব্যক্তি এ সুযোগ পাবেন।
এ ছাড়া ওমরাহ পালনের অনুমতি ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ের জন্য ‘নুসুক’ অ্যাপ ব্যবহার করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।
এদিকে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে হজ ও ওমরা পালনকারীদের ইবাদত সহজ করতে ‘ডিজিটাল ব্যাগ’ চালু করেছে সৌদি সরকার। দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ব্যাগ প্রোগ্রাম হজ ও ওমরাযাত্রীদের জীবনমান সহজ করবে। তাদের হজ ও ওমরা পালন সহজ করবে। মুসল্লিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে এর মাধ্যমে। বিশেষ করে কখন তারা কোন বিধান পালন করবে, সে বিষয়ে সতর্ক করা হবে।
বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দরে বছরে চলাচল করতে পারবে ২৬ কোটি যাত্রী
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ। নতুন এই বিমানবন্দরটি দিয়ে বছরে চলাচল করতে পারবে ২৬ কোটি যাত্রী।
দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের নামানুসারে নতুন এই বিমানবন্দরটির নাম রাখা হয়েছে আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। খবর আল জাজিরার।
প্রধানমন্ত্রী রশিদ আল মাকতুম জানিয়েছেন, বিমানবন্দরটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে তিন হাজার ৫০০ কোটি ডলার। বর্তমান দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেয়ে পাঁচগুণ বড় নির্মিতব্য এই বিমানবন্দরটি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, নির্মাণ শেষ হলে আসছে বছরগুলোতে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব কার্যকলাপ নতুন এই আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হবে।
এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে রশিদ আল-মাকতুম বলেন, যেহেতু দুবাই বিমানবন্দরের চারপাশে সম্পূর্ণ শহর তৈরি হয়েছে, তাই এই বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করেও একটি শহর তৈরি করা হবে। সেখানে অন্তত ১০ লাখ মানুষের আবাসন চাহিদা পূরণ হবে। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ছাড়াও বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোর অফিস তৈরি করা হবে নতুন শহরে।
নতুন বিমানবন্দরটির অবস্থান দুবাই শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে বিশাল এলাকাজুড়ে। এই বিমানবন্দর হবে পরিবেশবান্ধব ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ।
জানা গেছে, নতুন বিমানবন্দরে থাকবে চারশটি টার্মিনাল গেট এবং ৫টি রানওয়ে। স্থানীয় বৃহত্তম বিমান পরিবহণ সংস্থা এমিরেটস এবং এর ছোট অংশীদার ফ্লাই দুবাই এ বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হবে। এছাড়া, দুবাই থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশে যাতায়াত করা অন্য সব অংশীদার এয়ারলাইন্সও এখান থেকে পরিচালিত হবে।
তিন শর্তে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে সৌদি
সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আলোচনা চলছে। সৌদি যদি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে তাহলে সৌদিকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে তেল আবিবকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি শর্ত দিয়েছে রিয়াদ।
বৃহস্পতিবার (২ মে) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় লেখা একটি কলামে এ তথ্য জানিয়েছেন কলামিস্ট থমাস ফ্রাইডম্যান।
তিনি লিখেছেন, দুই দেশের চুক্তিতে কিছু শর্তসাপেক্ষে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের বিষয় রয়েছে। রিয়াদের শর্ত মানলেই এমনটা হবে। সৌদির শর্তগুলো হলো, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ স্থগিত এবং ফিলিস্তিনি অধিকৃত অঞ্চলে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিন থেকে পাঁচ বছরের একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন।
তিনি আরও লিখেছেন, ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্থাপন হবে যদি শুধুমাত্র সৌদির শর্ত মেনে নেওয়া হয়। তাদের শর্ত হলো: গাজা থেকে সরে যেতে হবে, বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে এবং তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।
তবে এই কলামিস্ট জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অধীনে এই চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু যখনই সৌদির শর্ত মেনে নেয়ার মতো কোনো সরকার ইসরায়েলে আসবে তখনই চুক্তিটি হবে।
উল্লেখ্য, সৌদি আরব এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি এবং মার্কিন মধ্যস্থতায় ২০২০ সালের আব্রাহাম এ্যাকর্ডেও যোগ দেয়নি। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
যে কারণে মক্কায় প্রবেশে সৌদির বাসিন্দাদের অনুমতি লাগবে
হজ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এখন থেকে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের বাসিন্দাদেরও অনুমতি লাগবে।
শনিবার (৪ মে) সৌদি আরবের জননিরাপত্তা বিষয়ক অধিদপ্তর ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আরব নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হজ যাত্রীদের নিরাপত্তা ও হজের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের বাসিন্দাদেরও পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই অনুমতি নিতে হবে। পবিত্র স্থানগুলোতে যারা কাজ করবেন, মক্কার স্থায়ী বাসিন্দা, ওমরাহ ও হজের জন্য যাদের কাছে বৈধ অনুমতি থাকবে না তাদেরকে মক্কার প্রবেশদ্বার থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
২০২৪ সালের হজ পক্রিয়াকে আরও গতিশীল করার জন্য গত সপ্তাহে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় নুসুক অ্যাপ কার্ড দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যা ডিজিটাল এবং সাধারণ উভয় ফরমেটে পাওয়া যাবে। হজ যাত্রীরা তাদের হজ মিশন অথবা যাদের মাধ্যমে হজ করতে আসবেন তাদের কাছে কার্ডটি পাবেন। অপরদিকে ডিজিটাল ফরমেটটি পাওয়া যাবে নুসুক এবং তাওয়াকলানা অ্যাপে।
নুসুক অ্যাপ কার্ডের ফলে হজের প্রক্রিয়া খুবই সহজে করা যাবে। এটির মাধ্যমে সহজে সব ধরনের সেবা পাবেন হজ যাত্রীরা। এমনকি যাদের মাধ্যমে তারা হজ করতে আসবেন তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে এটির মাধ্যমে অভিযোগও জানানো যাবে। ফলে অনুমতি ছাড়া হজ করার প্রবণতা কমে আসবে এবং পবিত্র স্থানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস জাতিসংঘে
ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। একইসঙ্গে সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে পুনর্বিবেচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছে পরিষদের পক্ষ থেকে। খবর আল জাজিরার।
শুক্রবার (১০ মে) প্রস্তাবটির ওপর ভোট হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৩টি সদস্যদেশের মধ্যে ফিলিস্তিনকে নতুন সদস্য করার পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশসহ ১৪৩টি দেশ। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ৯টি। গাজায় হামলা বন্ধের জন্য তাগিদ দিয়ে এলেও বরাবরের মতো ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ভোটদানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ।
সাধারণ পরিষদে নিরঙ্কুশ সমর্থন পাওয়ার পরও অবশ্য জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদ পাচ্ছে না ফিলিস্তিন। তবে নিপীড়িত জাতিটিকে জাতিসংঘে যুক্ত করার পক্ষে এটি একটি বৈশ্বিক স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করবে। এর আগে গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে তোলা একই ধরনের প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগে।
সাধারণ পরিষদের ভোটের মাধ্যমে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ অর্জিত না হলেও তুলনামূলক বাড়তি কিছু সুবিধা ভোগ করবে ফিলিস্তিন। যেমন চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে পরিষদের অধিবেশন কক্ষে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আসন পাবে তারা। তবে কোনো প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ মিলবে না তাদের।
ভোটের পর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও অধিকারের পক্ষে রয়েছে বিশ্ব। একইসঙ্গে তারা ইসরায়েলের দখলনীতির বিপক্ষে।
বিশাল ব্যবধানে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার এ প্রস্তাব পাসের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতিসংঘের ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাড এরডান। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ এখন ‘সন্ত্রাসী একটি রাষ্ট্রকে’ স্বাগত জানাচ্ছে।
রণক্ষেত্র রাফাহ, মুখোমুখি হামাস-ইসরায়েল
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ উপেক্ষা করে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শুক্রবার (১০ মে) রাফাহর পূর্বাঞ্চল ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি ট্যাংক। পূর্ব ও পশ্চিম রাফাহকে পৃথককারী মাঝামাঝি সড়কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দখলদার বাহিনী। তাদের প্রতিহত করতে এবার সর্বাত্মক লড়াইয়ে নেমেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসও।
ইসরায়েল জানিয়ে দিয়েছে, গাজার মাটি থেকে হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করতে হলে তাদের রাফাহতে অভিযান চালানো ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। আর হামাসও বলেছে, তারা ইসরায়েলকে যুদ্ধে পরাজিত করবে। এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিশরের শেষ চেষ্টাও ভেস্তে গেছে। হামাসের শেষ প্রস্তাবও মেনে নেয়নি ইসরায়েল।
রাফাহর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রায় সারাদিন রাফাহর পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে হামাস। রাফাহর সমরে হামাসের সঙ্গ দিচ্ছে ইরাক-সিরিয়াভিত্তিক ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারাও।
হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাফাহর পূর্বাঞ্চলে একটি মসজিদের কাছে একাধিক ইসরায়েলি ট্যাংকের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তাদের যোদ্ধারা। এতে বোঝা যাচ্ছে, রাফাহ সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি ট্যাংক।
এদিকে ইসরায়েলের এই রাফাহ অভিযানের কারণে পুরো গাজা উপত্যকায় ত্রাণ কার্যক্রম কয়েক দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। বেপরোয়া এ অভিযান থেকে সরে আসার জন্য নেতানিয়াহু প্রশাসনকে বিগত কয়েকদিনে বেশ কয়েক দফায় কঠোরভাবে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অন্য ঘনিষ্ঠ মিত্ররা। কিন্তু তাতেও অনড় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু; ঘোষণা দিয়েছেন, মিত্ররা পাশে না দাঁড়ালে প্রয়োজনে একাই রাফাহতে অভিযান চালিয়ে যাবে তার বাহিনী।
নেতানিয়াহু বলেন, আমাদেরকে যদি একাই দাঁড়াতে হয়, তাহলে আমরা একাই দাঁড়াব। প্রয়োজনে আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমরা জানি আমাদের আঙুলের নখের চেয়ে অনেক বেশি কিছু আছে। তার কথামতো ইতোমধ্যে রাফাহতে অভিযান এগিয়ে নেওয়ার সব আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলেছে দখলদার রাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বাহিনী।
টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশ থেকে পালিয়ে আসা দশ লাখেরও বেশি মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল ছিল এ রাফাহ শহর। কিন্তু যুদ্ধের এ দামামায় শেষ আশ্রয়স্থলটুকু ছেড়ে আবারও অনিশ্চিত গন্তব্যে ছুটতে শুরু করেছেন অসহায় ফিলিস্তিনিরা।
জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, এরই মধ্যে ত্রাণের মজুদ ও সরবরাহ কমে এসেছে। সেইসঙ্গে জ্বালানি ও খাদ্যের মজুদও কমে আসছে। ফলে কয়েক দিনের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয়কারী হামিশ ইয়াং বলেছেন, পাঁচদিন ধরে কোনো জ্বালানি ও মানবিক সাহায্য গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেনি এবং আমরা বন্দুকের নলের মুখে বসবাস করছি।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, গত সোমবার থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ থেকে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, হাজারে হাজারে ফিলিস্তিনিরা শহর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার (১০ মে) ইউএনআরডব্লিউএ এক্সে এক পোস্টে বলেছে, রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণ জোরদার হওয়ার পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি অব্যাহত রয়েছে। নিরাপত্তার খোঁজে লাখো মানুষ পালিয়ে গেলেও তাদের জন্য প্রকৃতপক্ষে কোথাও নিরাপদ জায়গা অবশিষ্ট নেই।
হামিশ ইয়ং আরও বলেন, রাফাহর লোকজন খুব ক্লান্ত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধের ফলে গাজার বাসিন্দাদের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে হেঁটে হেঁটে স্থানান্তরিত হওয়ার মতো যথেষ্ট শক্তি তাদের শরীরে নেই। হেঁটে যাওয়া ছাড়া বেশিরভাগের ক্ষেত্রে আর কোনো উপায়ও নেই। এদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে, রয়েছে ইসরায়েলি বোমার আঘাতে পঙ্গুত্ব বরণ করা এবং অপুষ্টিতে ভোগা অসংখ্য মানুষ।
রাফাহর পশ্চিমে তেল আল-সুলতানের বাসিন্দা আবু হাসান রয়টার্সকে বলেন, আমাদের জন্য আর কোনো নিরাপদ জায়গা নেই, কারণ সব জায়গায় ট্যাংকের গোলা এসে পড়ছে। আমি চলে যাওয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু আমার পরিবারের জন্য একটি তাঁবু কিনতে আমি দুই হাজার শেকেল জোগাড় করতে পারছি না।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো ইতোমধ্যে দক্ষিণ থেকে পূর্ব রাফাহ বন্ধ করে দিয়েছে, গাজা ও মিশরের মধ্যে একমাত্র ক্রসিংটিও দখল করে বন্ধ করে দিয়েছে তারা। শুক্রবার সালাহউদ্দিন রোডের দিকে গাজা উপত্যকাকে ভাগ করে ‘রেড জোন’ ঘেরাও সম্পন্ন করেছে দখলদার বাহিনী। ফলে রাফাহ থেকে বাসিন্দাদের বের হয়ে যাওয়ার প্রায় সব পথ আক্ষরিক অর্থে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, হামাস নির্মূলের নামে গত সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন অবরুদ্ধ গাজায়। নিহতদের বেশির ভাগই নিরীহ নারী ও শিশু। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। এরই মধ্যে গাজায় দখলদার ইসরায়েলের এই নির্বিচার আগ্রাসন ও ধ্বংসযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সব বাসিন্দাই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
দুবাইয়ে বিশ্বের ধনকুবেরদের পাহাড়সম সম্পদের নথি ফাঁস, কার কত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোপনে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন দেশের ধনী ব্যক্তিরা। একটি বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্প এসব সম্পদের নথি ফাঁস করে দিয়েছে। ফাঁস হওয়া নথিতে রয়েছেন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীরাও। প্রকাশ্যে এসেছে তাদের নাম ও সম্পদের পরিমাণ।
মঙ্গলবার ‘দুবাই আনলকড’ নামের ওই নথি প্রকাশ করা হয়। এতে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মতো ব্যবসায়ীর সম্পদের হিসাবও রয়েছে।
অনুসন্ধানী এই সাংবাদিকতা প্রকল্পের সমন্বয় করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর। এতে অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
দুবাইয়ের ভূমি দপ্তরসহ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। এতে বিশেষ করে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল নাগাদ দুবাইয়ে এসব ব্যক্তির মালিকানায় থাকা ও ব্যবহার করা সম্পদের বিস্তারিত চিত্র উঠে আসে।
ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ (সিফোরএডিএস)। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সংঘাত নিয়ে গবেষণা করে থাকে। পরে এসব তথ্য-উপাত্ত ই-টোয়েন্টিফোর এবং ওসিসিআরপির সঙ্গে ভাগাভাগি করে প্রতিষ্ঠানটি। এ অনুসন্ধানে অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসও।
ফোর্বস ২২ ধনকুবের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের ৭৬টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। বিশ্বের চারটি মহাদেশের ১০টি দেশ থেকে এসেছেন তারা।
১০ ধনকুবের ও তাদের সম্পদ
ফোর্বসের প্রতিবেদনে ১০ ধনকুবেরের নাম, তাদের নিট সম্পদ ও দুবাইয়ে থাকা সম্পদের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
মুকেশ আম্বানি
ফোর্বসের প্রতিবেদনের শুরুতেই রয়েছে ভারতীয় নাগরিক মুকেশ আম্বানির নাম। তার নিট সম্পদ ১১ হাজার ২০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস হিসেবে ‘বিভিন্ন খাত’ উল্লেখ করা হয়েছে। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ কৃত্রিম দ্বীপে তার আনুমানিক ২৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। মুকেশ আম্বানি একজন ভারতীয় বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী। তিনি ভারতীয় কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তিনি প্রায় ১১ হাজার ৭৮০ কোটি ডলারের মালিক, এছাড়াও তিনি এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং বিশ্বের নবম ধনী ব্যক্তি।
এম এ ইউসুফ আলী
তিনিও ভারতীয় নাগরিক। তার পারিবারিক সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। পাম জুমেইরাহ, দুবাই মেরিনা ও ইন্টারন্যাশনাল সিটিতে তাদের ৭ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে।
শামশীর ভায়ালিল
আরেক ভারতীয় শামশীর ভায়ালিলের সম্পদ ৩৫০ কোটি ডলারের। সম্পদের উৎস ‘স্বাস্থ্যসেবা’ খাত। দুবাই হিলস ও দুবাই প্রোডাকশন সিটিতে তিনি ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক।
সুহাইল বাহওয়ান
তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের নাগরিক। ১৯০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক সুহাইল বাহওয়ান। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। জুমেইরাহ বে আইল্যান্ড, মেদান ও ডাউনটাউন দুবাইয়ে তার সাড়ে ৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।
আন্দ্রেই মোলচানভ
রাশিয়ার নাগরিক আন্দ্রেই মোলচানভ ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ১৩০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘নির্মাণসামগ্রী’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাদের ২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।
বিনোদ আদানি
তিনি সাইপ্রাসের নাগরিক। ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক এই বিনোদ আদানি। তার সম্পদের উৎস দেখানো হয়েছে ‘অবকাঠামো ও পণ্যদ্রব্য’। এমিরেটস হিল, জুমেইরাহ লেক টাওয়ারস, জুমেইরাহ পার্ক, ডাউনটাউন দুবাই, দুবাই মেরিনা, ইন্টারন্যাশনাল সিটি ও দুবাই সিলিকন ওয়েসিসে তার ২ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। অবশ্য ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে বিনোদ আদানিকে ভারতীয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
চ্যাংপেং ঝাও
কানাডার নাগরিক চ্যাংপেং ঝাও ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘ক্রিপ্টো মুদ্রা বিনিময়’। ডাউনটাউন দুবাইয়ে তার ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।
সকেট বর্মন
তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তার সম্পদের পরিমাণ ১৫০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘ভোগ্যপণ্য’। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ দ্বীপে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে সকেট বর্মনের।
ইগর মাকারভ
সাইপ্রাসের নাগরিক ইগর মাকারভ। তিনি ২১০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক। সম্পদের উৎস ‘বিনিয়োগ’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তিনি ১ কোটি ১০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক।
নগিব সাবিরিস
তিনি মিশরের নাগরিক। নগিব সাবিরিস ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৩৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘টেলিকম’ খাত। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাদের ১ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।
দারিদ্র্যপীড়িত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অন্তত সাত নাগরিকের নামও রয়েছে দুবাইয়ে গোপনে সম্পদ গড়া ব্যক্তিদের তালিকায়। তাদের মধ্যে ছয়জনকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও একজনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের পত্রিকা ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানি সম্পদের মালিক। তবে তথ্য-উপাত্ত ও অতিরিক্ত সূত্র ব্যবহার করে এ সংখ্যা ২২ হাজারের মতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
ওই তালিকায় নাম রয়েছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, বাখতাওয়ার ভুট্টো জারদারি ও আসিফা ভুট্টো জারদারি; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভির স্ত্রী মিসেস আশরাফ; সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলে হুসাইন নওয়াজ এবং আলোচিত সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলে সাদ সিদ্দিক বাজওয়ারের।
এছাড়াও তালিকায় চীন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকদের পাশাপাশি ইয়েমেন, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার মতো দেশের নাগরিকদের নামও রয়েছে। রয়েছে নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা মিয়ানমারের একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর নামও। সূত্র: ফোর্বস, ওসিসিআরপি