তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে সরে আসতে হবে: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, যুদ্ধ থেকে দূরে থাকতে এবং হুমকির অবসান ঘটাতে সব ক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শক্তিশালী হতে হবে। সেনাবাহিনীর বিমান ইউনিটের কমান্ডার ও সদস্যদের এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমরা দুর্বল থাকলে শত্রুরা আমাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত হবে। আমরা কোনও দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে হুমকি হতে চাই না বরং আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নিজ দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হুমকি মোকাবেলা করা।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টরা তাদের শয়তানি লক্ষ্য-উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাখঢাক করলেও এখন আর কোনও রাখঢাক করছে না। ইরানের শত্রুদের এই ভ্রান্ত পন্থা নিশ্চিতভাবে ব্যর্থ হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধমূলক তৎপরতার অংশ। তাদের হুমকি-ধমকিকে সুযোগে পরিণত করা হবে। এই অন্যায় নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলা করে জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরতা থেকে দেশকে মুক্তি দেওয়াসহ বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
তিনি বলেন, মার্কিন শাসক গোষ্ঠীর কোনও কোনও বুদ্ধিমান ব্যক্তি এই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তারা বলছেন ইরানকে জ্বালানি তেল ছাড়াই অর্থনীতি সচল রাখার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে দেয়া যাবে না। তাদের মতে, এমন একটি রাস্তা খোলা রাখতে হবে যাতে ইরানের অর্থনীতি তেলের ওপর নির্ভরতা থেকে পুরোপুরি সরে না আসে।
তিনি বিমান বাহিনীর কমান্ডার ও সদস্যদের সমাবেশে বলেন, বিপ্লবের আগে রাজতান্ত্রিক সরকারের খুব কাছের বাহিনী হিসেবে পরিচিত ছিল বিমান বাহিনী। কিন্তু এই বাহিনীই ইসলামি বিপ্লবের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করলে রাজতান্ত্রিক সরকার বিস্মিত হয়ে যায়। কারণ তাদের কাছে এটা ছিল অপ্রত্যাশিত।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার একটি শিক্ষা হলো, রাজতান্ত্রিক শক্তি এমন জায়গা থেকে আঘাতপ্রাপ্ত হয় যা তাদের কাছে অকল্পনীয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে বিপ্লবের চূড়ান্ত সাফল্যের কয়েক দিন আগে অর্থাৎ ৮ ফেব্রুয়ারি বিমান বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কমান্ডার, পাইলট ও সদস্যরা ইসলামি বিপ্লবের স্থপতি ইমাম খোমেনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই প্রতি বছর এ দিনে বিমান বাহিনীর লোকজন সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসছেন।
এ
মন্তব্য করুন