ফ্রান্সের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধর্মঘট
ফ্রান্সের জনগণ বৃহস্পতিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর বিতর্কিত পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে ধর্মঘট শুরু করেছে। দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধর্মঘট এটি। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
লে মন্ডে নামের একটি স্থানীয় দৈনিক জানায়, পুলিশ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, শিক্ষক, আইনজীবী, ট্যাক্সি ও মালবাহী যানবাহন চালক, ডাক বিভাগের কর্মকর্তা, কৃষক, সরকারি কর্মচারী, শোধনাগার কর্মী ও শিক্ষার্থীসহ সব পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে।
জাতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ফ্রান্স, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পারিসিয়ান গণপরিবহন অপারেটর আরএটিপি ও রেলওয়ে ফার্ম এসএনসিএফ, সরকার পরিচালিত বিদ্যুৎ কোম্পানি ইডিএফ, অটোমোবাইল নির্মাণকারী কোম্পানি রেনল্টের কর্মীরাও এই ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করেছে।
বেশ কিছুদিন এই ধর্মঘট চলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ধর্মঘটের ফলাফল কী হতে পারে তা অনিশ্চিত কিন্তু এর লক্ষ্য হলো সংস্কার পরিকল্পনাটি থামানো। দেশজুড়ে বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও সরকার পেনসন সংস্কার বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়ার পর এই ধর্মঘটের আহ্বান করা হয়।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: ভারতে স্টেশনারি ট্রাককে বাসের ধাক্কা, নিহত ৯
---------------------------------------------------------------
ফ্রান্সের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যাটিস্টিকস অ্যান্ড ইকোনোমিক স্টাডিজের মতে, ম্যাখোঁ আবার তার অর্থনীতির মাধ্যমে জনগণকে তাদের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে খেপিয়ে দিয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে হলুদ পোশাকধারীদের বিক্ষোভের পর থেকে একের পর এক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন ম্যাখোঁ।
এই সংস্কারের ফলে সরকারি কর্মকর্তাদের দেয়া সুযোগ-সুবিধা তুলে নেয়া হবে এবং ধীরে ধীরে অবসর নেয়ার বয়স বাড়িয়ে ৬২ থেকে ৬৪ বছর করা হবে। যারা ৬২ বছর বয়সে অবসর নেবে নতুন সংস্কারের ফলে তাদের পেনশনের অর্থ ও সুযোগ-সুবিধা কমে যাবে।
অসংখ্য শ্রমিক ও পুলিশ ইউনিয়ন এবং হলুদ পোশাকধারীরা এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছে। এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এই ধর্মঘটের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য তার বিদেশ সফর স্থগিত করেছেন বলে সংবাদ সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কে/সি
মন্তব্য করুন