মিশরের প্রেসিডেন্ট থাকায় ট্রাম্পের টেবিলে খেতে বসেননি এরদোয়ান
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেবিলে মধ্যাহ্নভোজন করেননি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই কথা জানায় তুরস্কের গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।
এরদোয়ান জাতিসংঘের (ইউএন) সাধারণ পরিষদের এ দিনের অধিবেশন শেষে ট্রাম্পের সঙ্গে একই টেবিলে মধ্যাহ্নভোজন করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু ট্রাম্পের টেবিলে মিশরের প্রেসিডেন্ট থাকায় তিনি এবং তার প্রতিনিধিরা অন্য একটিতে গিয়ে বসে মধ্যাহ্নভোজন করেন।
এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘের প্রতি মিশরের একমাত্র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরুর আহ্বান জানান।
তিনি মুরসির মৃত্যুর জন্য সিসিকে দায়ী করে বলেন, মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মৃত্যুর ২০ মিনিট আগেই অসুস্থতা অনুভব করেছিলেন কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এরদোয়ান বলেন, মুরসির মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। এমনকি তার ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে নিজের শহরেও দাফন করতে দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, সিসি গণতান্ত্রিক নয়, একজন অত্যাচারী শাসক। আমরা জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ড যেমন কাউকে ভুলে যেতে দিইনি, তেমনি মুরসির মৃত্যুর বিষয়টি ভুলতে দেবো না।
মিশরে ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রেসিডেন্ট হন মুরসি। কিন্তু এক বছর পরই সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে তাকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়।
মুরসির পরিবারের মতে, তিনি ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন কিন্তু সঠিক চিকিৎসা পাননি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ কিছু মানবাধিকার সংস্থাও তার মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
কে/সি
মন্তব্য করুন