• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হাসপাতাল ছেড়েছে সবচেয়ে কম ওজনের শিশুটি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪৯

সম্প্রতি জাপানের টোকিওতে জন্ম নেয়া একটি বড় পেঁয়াজের সমান ওজনের শিশু সুস্থাবস্থায় হাসপাতাল ছেড়েছে। এতো ছোট আকৃতির কোনও শিশুর সুস্থাবস্থায় হাসপাতাল ছাড়ার ঘটনা এটি একটি রেকর্ড।

জন্মের সময় ছোট ওই ছেলে শিশুটির ওজন ছিল মাত্র ২৬৮ গ্রাম, যা ১০ আউন্সের চেয়েও কম। মাতৃগর্ভে তার বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মাত্র ২৪ সপ্তাহে ওই শিশুর ডেলিভারি করানো হয়।

জন্মের পর শিশুটি এতোটাই ছোট ছিল যে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি তার দুহাত একসঙ্গে মোনাজাতের মতো করে ধরলে শিশু ফিট হতো।

কিন্তু পাঁচ মাসের চিকিৎসার পর ওই শিশুটির ওজন এখন তিন কেজি ২৩৮ গ্রাম। কেইও বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল জানিয়েছে, সে স্বাভাবিকভাবে খাদ্য গ্রহণ করতে পারছে বলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

ওই শিশুর মা বলেন, আমার ছেলে বড় হয়ে ওঠায় আমি খুবই খুশি। কারণ সত্য বলতে কী, ও বাঁচবে কিনা তা নিয়ে আমি অনিশ্চিত ছিলাম।

‘যদি কোনও শিশু ছোট অবস্থায়ও জন্ম হয় তাহলেও তারা সুস্থ্য অবস্থায় হাসপাতাল ছাড়ার একটি সম্ভাবনা রয়েছে’; এটাই বিশ্বকে বলতে চেয়েছি বলে জানান ওই শিশুর চিকিৎসাকারী ডাক্তার তাকেশি আরিমিৎসু।

কেইও ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল জানিয়েছে, এতো কম ওজন নিয়ে জন্ম নিয়ে সুস্থাবস্থায় হাসপাতাল ছাড়ার রেকর্ডটি সম্ভবত এখন থেকেই এই শিশুটিরই।

আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সবচেয়ে ছোট জীবিত জন্ম নেয়া শিশুদের যে রেজিস্ট্রি তৈরি করেছে, সেটি ঘেঁটে হাসপাতালটি জানায়, ২০০৯ সালে জার্মানির এক নারী মাত্র ২৭৪ গ্রাম ওজনের একটি ছেলে শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন।

ওই রেজিস্ট্রি অনুযায়ী সবচেয়ে কম ওজনের জীবিত জন্ম নেয়া শিশুটি ছিল একটি মেয়ে। মাত্র ২৫২ গ্রাম ওজনের মেয়ে শিশুটি ২০১৫ সালে জার্মানিতে জন্মেছিল।

এদিকে ছোট ওজনের শিশুদের মধ্যে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বাঁচার হার অপেক্ষাকৃত বেশি। তবে কেন এমনটা ঘটে সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা।

যদিও কেইও হাসপাতাল জানিয়েছে, সম্ভবত মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের শ্বাসযন্ত্র কিছুটা ধীরগতিতে বিকাশ ঘটার কারণে এমনটা ঘটে।

জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই শিশুটিকে গত সপ্তাহে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইউনিসেফের তথ্য মতে বিশ্বে যেসব দেশে শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম, জাপান তাদের একটি।

এ/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আমার ঘুম ভাঙাইয়া গেলো গো মরার কোকিলে
হাসপাতালে ভর্তি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড তেভেজ
হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ
লক্ষ্মীপুরে তাপদাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
X
Fresh