সন্তানকে বাঁচাতে কুমিরকে কামড়ালো বাবা
এক ব্যক্তি তার সন্তানকে বাঁচাতে ক্ষুধার্ত কুমিরকে কামড়ে দিয়েছেন। ফিলিপিন্সের পালাওয়ান অঞ্চলের বালাবাক শহরে এমন ঘটনা ঘটেছে।
তেজাদা আবুলহাসানের ১২ বছর বয়সী ছেলে ডিয়েগো আবুলহাসান তার ছোট ভাইকে নিয়ে নদীতে সাঁতার কাটছিল। এসময় হঠাৎ করে একটি ক্ষুধার্ত কুমির ডিয়েগোকে আক্রমণ করে তাকে নদীর নিচে নিয়ে যায়।
সন্তানের এমন ঘোরতর বিপদের কথা শুনে আর থাকতে পারেননি তেজাদা। তিনি তড়িঘড়ি করে দৌঁড়ে আসেন এবং কোনও কিছু চিন্তা না করেই খালি হাতে কুমিরের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন।
তেজাদা নদীতে নেমেই প্রথমে কুমিরটিকে ঘুষি দিতে থাকেন। পরে যখন দেখলেন ঘুষিতে কাজ হচ্ছে না, তখন তিনি কুমিরের পা কামড়ে ধরেন।
কয়েক মিনিট ধরে কুমিরটির পা কামড়ানোর পর ডিয়েগোকে ছেড়ে দেয় ওই ভয়াবহ শিকারি। পরে নিজের আহত সন্তানকে নদীর তীরে নিয়ে আসেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করান তেজাদা।
পুলিশকে তেজাদা বলেন, আমি নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়তে ও কুমিরটির সঙ্গে লড়াই করতে মোটেও ‘দ্বিধা করিনি’।
তিনি বলেন, আমার চিন্তা করার কোনও সুযোগ ছিল না। আমি কুমিরটিকে আঘাত করছিলাম, কিন্তু এটা আমার ছেলেকে ছাড়ছিল না। আমি কুমিরটির সঙ্গে লড়াই করছিলাম। এসময় আমাদের উভয়ের মধ্যে চোখাচোখি হয়।
‘তখন হঠাৎ করে আমার মাথায় কুমিরটিকে কামড়ে দেয়ার বুদ্ধি আসে। আমি কুমিরটির পা ধরে যতটা জোরালোভাবে পারা যায়, ততটা জোরালোভাবে কামড়ে দেই।’
ডিয়েগোকে দুই রাত হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে। বেশ কয়েকটি ক্ষত হয়েছে কিন্তু তার আঘাত গুরুতর নয়।
আঞ্চলিক পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা সুপারইন্টেডেন্ট সোক্রেটেস ফালটাডো বলেছেন, সৌভাগ্যবশত এবং তেজাদার সাহসিকতার কারণে, কুমির ডিয়েগোকে পানির নিচে নিয়ে যেতে পারেনি। তাই ডিয়েগো শুধু কুমিরের কামড়ের কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন
এ
মন্তব্য করুন