ফ্রান্সে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বিক্ষোভ, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট
ফ্রান্সে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরি অবস্থা জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির সরকারের মুখপাত্র বেনজামিন গ্রিভেয়ক্স।
রোববার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসি। এদিকে জি২০ সম্মেলন থেকে দেশে ফিরেই একটি নিরাপত্তা বৈঠকে বসেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
গত ১২ মাসে ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়িয়েছে ফরাসি সরকার। দেশটির অনেক গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে এখনও ডিজেল ব্যবহার করা হয়। তাই সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশটির প্রায় সব অঞ্চলেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
জ্বালানি তেলে মূল্যবৃদ্ধিতে জীবনযাপনের ব্যয়ও বেড়েছে বলে বিক্ষোভকারীদের পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করছে দেশটির সাধারণ জনগণও। পুলিশ জানিয়েছে, দুই সপ্তাহেরও আগে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে এ পর্যন্ত তিনজন নিহত হন।
শনিবার রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু আর্ক দ্য ট্রাম্ফে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, স্টান গ্রেনেড এবং জল কামান ছুড়লে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীতে নিরাপত্তা বাহিনীর ২৩ সদস্যসহ ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। ৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ রোববার সকালে জি২০ সম্মেলন থেকে দেশে ফিরে সরাসরি আর্ক দ্য ট্রাম্ফের পরিস্থিতি দেখতে যান। এখন তিনি তার প্রাসাদে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শীর্ষস্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
সরকারের মুখপাত্র বেনজামিন গ্রিভেয়ক্স জানান, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সবচেয়ে সম্ভাব্য উপায় ছিল জরুরি অবস্থা জারি করা। আমরা এটার কথাই ভাবছি যেন এই ধরনের ঘটনা আর ঘটতে না পারে।
আরও পড়ুন :
কে/পি
মন্তব্য করুন