জর্জিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সের সাবেক রাষ্ট্রদূত
জর্জিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সালোমে জুরাবিশভিলি, যিনি এর আগে দেশটিতে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিবিসি’তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় সব ভোট গণনা শেষে দেখা যায় তিনি ৫৯ শতাংশ ভোটে জিতেছেন। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রিগোল ভাশাদজে পেয়েছেন ৪০ শতাংশ ভোট।
এই নির্বাচনে জুরাবিশভিলিকে দেশটির ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি এবং ভাশাদজে’কে সম্মিলিত বিরোধী দল সমর্থন দেয়। দেশটির নতুন সংবিধান অনুসারে, রাষ্ট্রপতির পদটি মূলত আলংকারিক।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন ৬৬ বছর বয়সী জুরাবিশভিলি। তৎকালীন সোভিয়েত সৈন্যরা জর্জিয়া দখল করে নেয়ার পর ১৯২১ সালে তারা বাবা-মা জর্জিয়া থেকে পালিয়ে ফ্রান্সে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
তিনি পড়াশোনা শেষে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র দপ্তরে যোগদান করেন। ২০০৩ সালে তাকে জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসিতে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে তিনি এই পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং জর্জিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিখেইল সাকাশভিলি তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।
জুরাবিশভিলি বলেছেন, আমি রাশিয়া ও পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশগুলোর সঙ্গে জর্জিয়ার সম্পর্কে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করবো। নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ভাশাদজে ছিলেন অধিকতর পশ্চিমপন্থী। তিনিও এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিরোধী দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, নির্বাচনে অনিয়ম এবং তাদের প্রচারণায় হামলা করা হয়। কিন্তু তাদের এই প্রত্যাখ্যান করেছে ক্ষমতাসীন দল। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বের ভোটের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না।
কে/এমকে
মন্তব্য করুন