শ্রীলঙ্কায় নৌবাহিনীর প্রধানকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
শ্রীলঙ্কার একটি আদালত শুক্রবার দেশটির নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল রাভিন্দ্র বিজেগুনারত্নেকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। তামিল গৃহযুদ্ধের সময় ১১ জন ব্যক্তিকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। খবর খালিজ টাইমসের।
শ্রীলঙ্কা আর্মড ফোর্সেসের চিফ অব ডিভেন্স স্টাফ অ্যাডমিরাল রাভিন্দ্র বিজেগুনারত্নেকে এর আগের দফায় আটক করতে ব্যর্থ হওয়ায় পুলিশের তদন্তকারীদের তিরস্কার করেন কলম্বো ফোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট রাঙ্গা দিসানায়েকে।
আদালতের একজন কর্মকর্তা বলেন, আদালত আগামী ৯ নভেম্বরের আগে অ্যাডমিরালকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। যদি পুলিশ এটা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এই মামলার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ম্যাজিস্ট্রেট চাইছেন শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের সময় ওই ১১ জন ব্যক্তিকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত একজন নৌ কর্মকর্তাকে রক্ষার চেষ্টার কারণে চিফ অব ডিভেন্স স্টাফ বিজেগুনারত্নকে গ্রেপ্তার করা হোক।
এই মামলার শুনানিকালে পুলিশ আদালতকে জানান, ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের ভেতর ১১ জন ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন নৌবাহিনীর গোয়েন্দা কর্মকর্তা চন্দনা প্রসাদ হেত্তিয়ারাক্ষিকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন অ্যাডমিরাল।
নৌবাহিনী তাদের অবৈধভাবে আটক করার পর ওই ব্যক্তিদের হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হয়।
ওই ব্যক্তিদের মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি কিন্তু গেল আগস্টে হেত্তিয়ারাক্ষিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শ্রীলঙ্কার ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন্স ডিপার্টমেন্ট আদালতকে বলেন, তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে অভিযুক্ত হেত্তিয়ারাক্ষিকে গ্রেপ্তার এড়াতে সাহায্য করেছেন অ্যাডমিরাল বিজেগুনারত্নে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৬ সালে তামিল আইনপ্রণেতা নাদারাহ রাভিরাজকে হত্যার ঘটনার কারণেও হেত্তিয়ারাক্ষিকে খোঁজা হচ্ছিল।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের সময় বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সিনিয়র সেনা কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। এরইমধ্যে রাজাপাকসের বিরোধী একটি পত্রিকার সম্পাদককে হত্যা এবং অন্যান্য সাংবাদিদের বিরুদ্ধে হামলা সংঘটনের দায়ে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।
এদিকে ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতি ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজাপাকসে ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। কিন্তু গত সপ্তাহে রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর এসব তদন্তের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
আরও পড়ুন :
এ
মন্তব্য করুন