গণমাধ্যম জনগণের শত্রু নয়: ইভাঙ্কা ট্রাম্প
নির্বাচনের প্রচারণা থেকে শুরু এই পর্যন্ত বিতর্কিত মন্তব্য করে নানা সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাবার ঠিক উল্টো পথে যেন হাঁটছেন ট্রাম্পকন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প। ২ আগস্ট বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, সাংবাদিকরা জনগণের শত্রু নয়। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট, সিএনএন।
একইসঙ্গে নিজেকে অভিবাসী পারিবারগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার সরকারি নীতির কঠোর বিরোধী বলে দাবি করেছেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প।
গত সপ্তাহে তার ফ্যাশন ব্র্যান্ড বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর এই প্রথমবারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম কন্যা ও জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জনসম্মুখে বলেন- ‘অভিবাসন সংকট নিরসনের ব্যাপারে বাবা যেভাবে চিন্তা করছেন সে ক্ষেত্রে আমার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি একেবারে ভিন্ন।’
অভিবাসন সংকট নিয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প তার উদ্বেগের কথাও ব্যক্ত করেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা উল্লেখ করে নিউজ ওয়েবসাইট এক্সিওস আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৩৬ বছর বয়সী ইভাঙ্কা ট্রাম্প বলেন- ‘এই নীতির কারণে হাজার হাজার শিশু তাদের অভিবাসী বাবা-মা’র কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আমি পরিবার, বাব-মা ও সন্তানদের বিচ্ছিন্নতার কঠোর বিরোধী। সুতরাং আমার অবস্থান বিচ্ছিন্নতা বিরোধী মনোভাবের পক্ষে।’
গণমাধ্যম জনগণের শত্রু এ ব্যাপারে ইভাঙ্কার মনোভাব জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘না, আমি এমনটা মনে করি না।’
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন ট্রাম্প। সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমস, সিবিএস নিউজের মতো সংবাদ মাধ্যমকে প্রায়ই তিনি ‘ফেক নিউজ’ বলে অভিহিত করেন। গণমাধ্যমকে এভাবে ‘শত্রুর’তকমা লাগানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসও।
আরও পড়ুন :
এপি/পি
মন্তব্য করুন