সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধদের বৈধ হবার সুযোগ
সংযুক্ত আমিরাতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বৈধ হবার সুযোগ দিতে দেশটির সরকার আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে।
গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানান জেনারেল ডাইরেক্টরি অব রেসিডেন্সি ফর অফ্যায়ার দুবাই এর মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আল মারি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন- অবৈধভাবে যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থা করছে তাদের জন্য অ্যামেনেস্টি (রাজ ক্ষমা) হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে একটি উপহার।
এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জেনারেল ডাইরেক্টরি অব রেসিডেন্সি ফর অফ্যায়ার দুবাই এর মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আল মারি ও ডাইরেক্টর জেনারেল অ্যাসিসটেন্ট অব ফলোআপ সেক্টর অব ভাইলো টারস রেসিডেন্সি ফর অ্যাফ্যায়ার্স দুবাই এর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালাফ আল গাইত।
আরও পড়ুন :
এপি/পি
মন্তব্য করুন
ভারতের ৩ অঞ্চলে দেখা গেছে চাঁদ
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এবং কেরালায় পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে সেসব অঞ্চলে আগামীকাল বুধবার ঈদুল ফিতর পালিত হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ ও কেরালায় শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেছে। তবে দেশটির রাজধানী দিল্লিসহ বেশিরভাগ অঞ্চলে চাঁদ দেখা যায়নি। যেসব অঞ্চলে চাঁদ দেখা গেছে সেসব অঞ্চলে আগামীকাল বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যেসব জায়গায় চাঁদ দেখা যায়নি সেখানে ঈদ পালিত হবে বৃহস্পতিবার।
ভারতের রাজধানী দিল্লির জামে মসজিদের ইমামরা এবং ফতেহপুর মসজিদ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, যেহেতু চাঁদ দেখা যায়নি ফলে বৃহস্পতিবার ঈদ পালিত হবে।
এদিকে পাকিস্তানেও দেখা গেছে শাওয়ালের চাঁদ। ফলে আগামীকাল বুধবার দেশটিতে ঈদ উদযাপন করা হবে। পাকিস্তানে এবং ভারতের কিছু অঞ্চলে চাঁদ দেখা গেলেও বাংলাদেশে দেখা যায়নি। তাই বাংলাদেশের মুসলিমরা এবার ৩০টি রোজা পালন করবেন। আর ঈদ পালন করবেন আগামী বৃহস্পতিবার।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
বিমানের সিটে জড়িয়ে ধরে শুয়ে যুগল, ছবি ভাইরাল
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। সেখানে দেখা গেছে, বিমানের সিটে যুগলের দুই জোড়া খালি পা। সিটে উঠে একে অপরের উপর শুয়ে রয়েছেন তারা।
নিউ ইয়র্কের একটি বিমানে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলেছে এমনই কাণ্ড। বিমানের অন্য যাত্রীরা সেই দৃশ্য দেখে হতবাক। কিছু যাত্রী মোবাইল ফোনে ছবি তুলে সেগুলি পোস্ট করতেই ভাইরাল হয়ে যায় সেগুলি। ছবি পোস্ট করে বেবিআইবিমাজয়েন্ট নামের এক ইউজার লিখেছেন, ‘বিমানে অপরিচিত লাভবার্ডস। ৩০ হাজার ফুট উচ্চতাতেও একে অপরকে জড়িয়ে শুয়ে। প্রায় ৪ ঘণ্টার বিমানে এমন দৃশ্য দেখব ভাবতে পারিনি’।
মুহূর্তের মধ্যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বিমানের কর্মীরা কেন এমন কাণ্ড দেখেও বাধা দিলেন না। বিমানসেবিকারা কোথায় ছিলেন? অনেকেই তীব্র প্রতিবাদ করেছেন এমন ঘটনার। কেন অন্য যাত্রীদের এমন দৃশ্য দেখে যাতায়াত করতে হবে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা শুরু করেছে ইরান। শতাধিক ড্রোন ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি)। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইরানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে এ তথ্য।
রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক ড্রোন ছুড়তে থাকে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) সেনারা। এসব ড্রোন এখন ইসরায়েলের দিকে ছুটে যাচ্ছে। ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পৌঁছাতে ড্রোনগুলোর প্রায় ৯ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী শতাধিক ড্রোন শনাক্ত করেছে। ড্রোনের পাশাপাশি ইরান আরও বেশকিছু সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাবে এমন সম্ভাবনা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।
ইতোমধ্যে সংবাদ সম্মেলনে ইরানি ড্রোন হামলার কথা নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। তিনি বলেছেন, ড্রোনগুলোর গতিপথে নজর রাখছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। ড্রোনগুলো প্রতিহত করতে জিপিএস প্রযুক্তিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ইসরায়েলি আকাশসীমায় ড্রোনগুলো প্রবেশ করলেই কেবল সাইরেন বাজানো হবে। যত দ্রুত সম্ভব ড্রোনগুলো প্রতিহত করার চেষ্টা করবে তাদের সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালালো ইরান। তবে এই হামলার লক্ষ্যবস্তু এখনও স্পষ্ট নয়। দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরেই বেশিরভাগ ড্রোনকে ভূপাতিত করার পরিকল্পনা তাদের। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও আরও কয়েকটি দেশ সহযোগিতা করবে তাদেরকে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আমোস ইয়াদলিন দেশটির চ্যানেল ১২ নিউজকে বলেছেন, ইরানি ড্রোনগুলো প্রতিটি ২০ কেজি করে বিস্ফোরক দিয়ে সজ্জিত।
এদিকে এ ঘটনায় নির্ধারিত সফর সূচি বাতিল করে ওয়াশিংটন ফিরছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইরানের এই হামলা নিয়ে হোয়াইট হাউজে জাতীয় নিরাপত্তা টিমের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, মার্কিন নিরাপত্তা টিমের সদস্যরা নিয়মিত ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। পাশাপাশি অপর অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্পষ্ট করে বলেছেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি মার্কিন সমর্থন লৌহদৃঢ়। ইসরায়েলি জনগণের পাশেই থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
হামলার প্রেক্ষিতে নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। আকাশসীমা বন্ধের পাশাপাশি সবধরনের বিমান চলাচল স্থগিত ঘোষণা করেছে ইরাক এবং জর্ডানও।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আইআরজিসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান ইরানের সাতজন সামরিক কর্মকর্তা। সেই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এই আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে বিবৃতি দিয়েছে আইআরজিসি।
ইসরায়েলে ইরানের হামলা নিয়ে যা বলল ভারত
সিরিয়ায় নিজেদের দূতাবাসে হামলার জবাবে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। হামলার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান। এবার প্রতিক্রিয়া জানালো ভারত।
ভারত বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধির বিষয়ে তারা ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। এই সংঘাত পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
রোববার (১৪ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
ইসরায়েলে ইরানের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর দেওয়া এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে (উভয় পক্ষকে) সংঘাত বন্ধ, সংযম অনুশীলন, সহিংসতা থেকে সরে আসা এবং কূটনীতির পথে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের দূতাবাসগুলো ভারতীয় কমিউনিটির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করছে। এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অত্যাবশ্যক বলেও মনে করে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি।
এর আগে, গাজায় আগ্রাসনের পাশাপাশি গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে নিহত হন বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
ওই হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ নেওেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন ইরানের কর্মকর্তারা।
গত বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদের খুতবায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, ইরানি দূতাবাসে হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
ইরানি হামলার আশঙ্কায় গত কয়েকদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এদিকে শনিবার (১৩ এপ্রিল) পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালি থেকে একটি ইসরাইলি পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ আটক করে ইরান।
জাহাজটিতে ২৫ জন নাবিকের ১৭ জনই ভারতীয়। নাবিকদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে এরই ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েকশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর তথা আইআরজিসি। এছাড়া ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও রকেট হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েল বলছে, তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
ইরানের হামলা রুখতে যেসব দেশকে পাশে পেল ইসরায়েল
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান।
ইরানের ছোড়া বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশে পথে ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন রুখতে বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছে দেশটি। তাদের এ বন্ধু রাষ্ট্রের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জর্ডান। খবর বিবিসির।
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইরানের হামলা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করতে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাজ্যের যুদ্ধবিমানও হামলা ঠেকিয়েছে। ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের অনেকগুলো আকাশেই ধ্বংস করে দেয় সিরিয়ায় থাকা যুক্তরাজ্যের রয়েল এয়ারফোর্সের জঙ্গি বিমান।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে ‘আন্তর্জাতিক সমন্বিত প্রচেষ্টায়’ অংশ নিয়েছে যুক্তরাজ্য। তাই ওই অঞ্চলে বিমান পাঠিয়েছিল রয়েল এয়ারফোর্স।
ফ্রান্স ও ইরানের হামলা থেকে ইসরায়েলের সুরক্ষায় কাজ করেছে বলে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে জর্ডান বলেছে, ইরানের হামলার পর তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার গ্রিনিচ মান সময় রাত আটটার দিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা জানায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কোর (আইআরজিসি)। এটি ছিল ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের প্রথম সরাসরি হামলা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তিন শতাধিক কিলার ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই ইসরায়েলের আকাশসীমায় ধ্বংস করা হয়েছে।
তবে দক্ষিণাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিসহ কয়েকটি জায়গা আক্রান্ত হয়েছে। সেখানকার অবকাঠামো সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
ইরানের এক রাতের হামলা ঠেকাতে যত খরচ ইসরায়েলের
রাতভর ইরানের বিশাল ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকিয়ে দেওয়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করতে ইসরায়েলের ১০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিম আমিনোচ।
রোববার (১৪ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে মিডলইস্ট আই। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়ানেত নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ খবর অনুমান করে জানান রিম আমিনো।
তিনি বলেন, রাতারাতি ইরানের বিপুল সংখ্যক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখে দেওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করতে ইসরায়েলের ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ হয়েছে।
অ্যামিনোচ বলেন, ইসরাইলে আক্রমণ পরিচালনার জন্য ইরান খুবই স্বল্প পরিমাণে ব্যয় করেছে। এই রাতে তাদের ব্যয় ইসরায়েলের ব্যয়ের ১০ শতাংশেরও কম।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হত্যা করে ইসরায়েল। সেই থেকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা চরম পর্যায়ে ওঠে। এরপর প্রতিশোধ হিসেবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েকশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর তথা আইআরজিসি। এছাড়া ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও রকেট হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েল বলছে, তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
ওমরাহ ভিসার মেয়াদে পরিবর্তন
ওমরাহ ভিসার মেয়াদে পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব। এখন থেকে ভিসা ইস্যুর দিন থেকে ৯০ দিন গণনা শুরু হবে। যদিও আগে ওমরাহ ভিসার ৯০ দিন মেয়াদ গণনা শুরু হতো সৌদিতে প্রবেশের পর থেকে।
সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয় নতুন এ নির্দেশনা দিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, আগে ওমরাহ ভিসার ৯০ দিন মেয়াদ গণনা শুরু হতো সৌদিতে প্রবেশের পর। বর্তমানে এ নিয়ম পরিবর্তন করে ভিসা ইস্যুর দিন থেকে ৯০ দিন সৌদিতে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে বর্তমানে যারা অবস্থান করছেন তাদের আগামী ১৫ জিলকদ তথা ২৩ মে’র আগেই দেশটি ত্যাগ করতে হবে। সৌদিতে আসার পর ৯০ দিন পূর্ণ হোক বা না হোক। এ সময়ের পরেও যারা ৯০ দিন পূর্ণ হয়নি বলে রয়ে যাবেন তারা আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওমরাহ ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করায় গত কয়েক বছর ধরেই ওমরা পালনকারীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। চলতি বছরের পবিত্র রমজান মাসে প্রায় তিন কোটি মুসলমান ওমরাহ পালন করেছেন।
সূত্র : সৌদি গ্যাজেট