ইরানের হামলা রুখতে যেসব দেশকে পাশে পেল ইসরায়েল
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান।
ইরানের ছোড়া বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশে পথে ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন রুখতে বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছে দেশটি। তাদের এ বন্ধু রাষ্ট্রের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জর্ডান। খবর বিবিসির।
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইরানের হামলা শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করতে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাজ্যের যুদ্ধবিমানও হামলা ঠেকিয়েছে। ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের অনেকগুলো আকাশেই ধ্বংস করে দেয় সিরিয়ায় থাকা যুক্তরাজ্যের রয়েল এয়ারফোর্সের জঙ্গি বিমান।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে ‘আন্তর্জাতিক সমন্বিত প্রচেষ্টায়’ অংশ নিয়েছে যুক্তরাজ্য। তাই ওই অঞ্চলে বিমান পাঠিয়েছিল রয়েল এয়ারফোর্স।
ফ্রান্স ও ইরানের হামলা থেকে ইসরায়েলের সুরক্ষায় কাজ করেছে বলে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে জর্ডান বলেছে, ইরানের হামলার পর তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার গ্রিনিচ মান সময় রাত আটটার দিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা জানায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কোর (আইআরজিসি)। এটি ছিল ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের প্রথম সরাসরি হামলা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তিন শতাধিক কিলার ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই ইসরায়েলের আকাশসীমায় ধ্বংস করা হয়েছে।
তবে দক্ষিণাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিসহ কয়েকটি জায়গা আক্রান্ত হয়েছে। সেখানকার অবকাঠামো সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন