মেক্সিকোতে নির্বাচনী প্রচারণার মঞ্চ ভেঙে নিহত ৯
![মেক্সিকোতে নির্বাচনী প্রচারণার মঞ্চ ভেঙে নিহত ৯](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/23/image-274907-1716466775.jpg)
সংগৃহীত ছবি
মেক্সিকোতে একটি নির্বাচনী প্রচারণার মঞ্চ ভেঙে শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৩ জন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় দেশটির নুয়েভো লেওন রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে।
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রবল বাতাসের কারণে সিটিজেনস মুভমেন্ট পার্টির নির্বাচনি সমাবেশের মঞ্চটি ভেঙে পড়ে। এসময় নেতাকর্মীরা দৌড়ে পালান। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিটিজেনস মুভমেন্ট পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হোর্হে আলভারেজ মেনেজ। তিনি আপাতত নির্বাচনি প্রচারণা স্থগিত করেছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২ জুন মেক্সিকোতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জরিপে এই নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে আলভারেজ মাইনেজ তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
মসজিদে তালা দিয়ে অগ্নিসংযোগ, ১১ মুসল্লি নিহত
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় মসজিদের বাইরে থেকে তালা আটকে দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে ১১ মুসল্লিকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো প্রদেশের একটি মসজিদে এক ব্যক্তির হামলায় অন্তত ১১ জন মুসল্লি নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, এক ব্যক্তি মসজিদে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগানোর আগে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং এতে মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি আটকা পড়েন।
বিবিসি বলছে, উত্তরাধিকার তথা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হামলার সূত্রপাত হয়। পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কানো শহরে বোমা বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারী দলগুলোকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে হামলায় বোমা ব্যবহার করা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
কানো ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন লাগার পরপরই তাদের ডাকা হয়নি, আরও আগে জানানো হলে তারা আরও দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারতেন। কানো ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র সামিনু ইউসুফ বিবিসিকে বলেছেন, স্থানীয়রা আগুন নেভানোর পরেই তাদের জানানো হয়েছিল।
পুলিশ বলেছে, সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে বিরোধের অংশ হিসেবে এই ঘটনা ঘটানোর কথা স্বীকার করেছে সন্দেহভাজন ব্যক্তি।
![মসজিদে তালা দিয়ে অগ্নিসংযোগ, ১১ মুসল্লি নিহত](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/17/image-273922-1715923755.jpg)
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা / খোঁজ মিলছে না ইরানের প্রেসিডেন্টের
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর খোঁজ মিলছে না ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ তার সঙ্গীদের।
রোববার (১৯ মে) রাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
জানা গেছে, ইব্রাহিম রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নরসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।
এদিকে, ঘটনাস্থলে ৪০টি উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে। উদ্ধারকারীরা এখনও প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেননি। ভারী বৃষ্টিপাত ও কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। রাইসির জন্য ইরানজুড়ে দোয়া করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ৬৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইরানের রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী এই নেতাকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেখা হয়।
![খোঁজ মিলছে না ইরানের প্রেসিডেন্টের](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/19/image-274331-1716135294.jpg)
রাইসির বেঁচে থাকা নিয়ে যা জানাল দেশটির কর্মকর্তারা
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ তার সঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে এটি পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের কর্মকর্তারা।
রোববার (১৯ মে) দেশটির আজারবাইজান প্রদেশ সফর শেষে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইরানের এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও আমির আব্দুল্লাহিয়ানের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে যে খবর পাচ্ছি তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। তবুও তাদের বেঁচে থাকা নিয়ে আমরা আশাবাদী।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের আবহাওয়া প্রচণ্ড খারাপ হওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধার কর্মীদের। প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং ঠান্ডার কারণে উদ্ধার কর্মীরা পৌঁছাতে পারছে না।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে রাইসির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৬৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইরানের রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী এই নেতাকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেখা হয়।
![রাইসির বেঁচে থাকা নিয়ে যা জানাল দেশটির কর্মকর্তারা](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/19/image-274350-1716141148.jpg)
রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, যা বলল ইসরায়েল
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ তার সঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। আজারবাইজান প্রদেশ সফর শেষে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেছে ইসরায়েল।
সোমবার (২০ মে) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ানসহ রোববার ইরান থেকে আসা হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবরগুলো ইসরায়েল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পশ্চিমাদের মতো ইসরায়েল মনে করছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এ ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন। তবে অনানুষ্ঠানিক সূত্র স্পষ্ট করেছে যে, ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আজারবাইজান সীমান্তের নিকটবর্তী শহর জোলফার কাছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার সাথে দেশটি কোনও সংযুক্ত বা জড়িত নয়।
ইসরায়েলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরানের অভ্যন্তরে পরিবর্তন ছাড়া ইসরায়েলের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না, কারণ ইসরায়েলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনিই পরমাণু কর্মসূচি ও ইসরায়েলের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির ফ্লাইট ক্রুদের একজন সদস্যের মোবাইল ফোন থেকে সংকেত সনাক্ত করা গেছে। সোমবার পূর্ব আজারবাইজানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কমান্ডার আসগর আব্বাস ঘোলি জাদেহ তাসনিমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
জাদেহ তাসনিম বলেন, ‘আমরা এখন সব সামরিক শক্তি নিয়ে ওই এলাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছি এবং আমি আশা করি আমরা জনগণকে সুসংবাদ দিতে পারব। ওই এলাকায় এখন আর বেশি সেনা মোতায়েনের সক্ষমতা নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইরানি কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেছেন, হেলিকপ্টার থেকে সংকেত পাওয়ার পর বিশেষায়িত দলগুলো দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
আমরা প্রেসিডেন্ট এবং তার সঙ্গে যারা ছিলেন তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য নিশ্চিত করতে পারছি না এবং তল্লাশি জোরকদমে চলছে।
এদিকে ইরানে পাহাড় উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছে তুরস্ক। তুরস্কের জরুরি ত্রাণ সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সন্ধানে ইরানকে সহায়তা করতে তুরস্ক ৩২ জন পর্বত উদ্ধার বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছে।
এএফএডি এক্স-এ এক পোস্টে জানিয়েছে, পূর্ব তুরস্কের কেন্দ্রগুলো থেকে দলটি এবং ৩২টি গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে। ইরান নাইট ভিশনযুক্ত হেলিকপ্টার ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছিল।
এর আগে রোববার (১৯ মে) ইব্রাহিম রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নরসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।
![রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, যা বলল ইসরায়েল](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/20/image-274366-1716159019.jpg)
রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান পাওয়া গেছে
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের সন্ধান পাওয়া গেছে।
ইরানি সেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে সোমবার (২০ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
রেড ক্রিসেন্ট এক বিবৃতিতে জানায়, রেড ক্রিসেন্টের তল্লাশি ও উদ্ধারকারী দল প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানে পৌঁছেছে। তবে, প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সফর সঙ্গীরা বেঁচে আছেন কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
এর আগে সংস্থাটি জানিয়েছিল, হেলিকপ্টারের সম্ভাব্য দুর্ঘটনাস্থলে ৭৩টি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকারীরা তুরস্ক ড্রোনের মাধ্যমে চিহ্নিত এলাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যেখানে রাইসির হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় রোববার (১৯ মে) ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নরসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৬৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইরানের রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী এই নেতাকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেখা হয়।
![রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান পাওয়া গেছে](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/20/image-274374-1716173917.jpg)
যা ঘটেছিল রাইসির হেলিকপ্টারে
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটিতে কী হয়েছিল আর কেনই বা হঠাৎ এমন দুর্ঘটনা ঘটল, সে প্রশ্ন এখন সবার মুখে। প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে বলে জানা গেছে। এতে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই।
সোমবার (২০ মে) বিবিসি ও রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে আলোচনায় এসেছে হেলিকপ্টারটির নির্মাণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রও। ইরানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
রাইসি যে হেলিকপ্টারটিতে যাত্রা করেছিলেন সেটির মডেল সম্পর্কে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিওগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ছিল বেল ২১২ মডেলের, যা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই হেলিকপ্টারটি মাঝারি আকারের যেখানে ১৫টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে পাইলটের জন্য একটি আসন এবং যাত্রীদের জন্য বাকি ১৪টি।
জানা যায়, রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
দুর্ঘটনার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি উদ্বিগ্ন না হতে ইরানের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রপরিচালনায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।’
কে এই ইব্রাহিম রাইসি?
ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালে উত্তর-পূর্ব ইরানের শহর মাশহাদে। সে হিসেবে বর্তমানে তার বয়স ৬৩ বছর। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত রাইসি তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। তাকে দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির স্বাভাবিক উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন করে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইব্রাহিম রাইসি।
![যা ঘটেছিল রাইসির হেলিকপ্টারে](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/20/image-274398-1716184767.jpg)
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মরদেহ উদ্ধার
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধারের পর দেশটির উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সোমবার (২০ মে) ইরানি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (আইআরসিএস) প্রধানের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা।
রেড ক্রিসেন্ট প্রধান পিরহোসেন কুলিভান্দ রাষ্ট্রীয় টিভিকে জানান, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার সহযাত্রীদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা নিহতদের মরদেহ তাবরিজে স্থানান্তরের কাজ শুরু করেছি।
কোলিভান্দ আরও জানান, গতকাল থেকে উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে থাকলেও বৈরি আবহাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যহত হয়।
সোমবার দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। এরপর দেশটির বিভিন্ন বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি কেউই আর বেঁচে নেই।
ইরানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।
এর আগে রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি।
বলা হচ্ছে, আজারবাইজানে একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে যাচ্ছিলেন তারা। ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের খবরে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা গেছে সেটি থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের কেউ ওই ফোন করেছিলেন। দুর্ঘটনার পরপরই প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের উদ্ধারে অংশ নেয় ৪০টি দল। উদ্ধাকারী দল এসেছে তুরস্ক ও রাশিয়া থেকেও। তবে দুর্ঘটনাস্থলে ভারি বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। এ ছাড়া এ অঞ্চলটি পাহাড়-পর্বতে ভরপুর হওয়ায় দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাইসির হেলিকপ্টারের খোঁজ পান উদ্ধার কর্মকর্তারা।
![ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মরদেহ উদ্ধার](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/20/image-274410-1716191540.jpg)