• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে চায় জান্তা

আরটিভি নিউজ

  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৫৫
রোহিঙ্গা
সংগৃহীত

রাখাইনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) কাছে পরাস্ত হয়ে ভিন্ন পথে এগুতে চাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সেই ছকেই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চল মিয়ানমারের মংডু অঞ্চলের মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জান্তা বাহিনীর কমান্ডাররা। বৈঠকের এক পর্যায়ে তাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, যদি তারা জান্তা বাহিনীর হয়ে কাজ করেন; তাহলে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে।

তবে বেশিরভাগ নেতা এতে দ্বিমত পোষণ করেছেন।

বৈঠকে উপস্থিত এক মুসলিম নেতার বরাত দিয়ে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ নিয়ে এক প্রতিবেদন করে রাখাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ।

এতে বলা হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মংডুর ময়ো থু গি গ্রামের ৫নং বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নে বৈঠকটি হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জান্তার ডিভিশন কমান্ডার থুরেন তুন এবং বিভাগীয় প্রশাসক নায়ো ও। তাদের আয়োজিত এ বৈঠকে স্থানীয় মুসলিমদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের তিন বছরের মাথায় সম্প্রতি দেশটির জান্তা সরকার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের যোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে বর্তমানে দিশেহারা জান্তারা। এর পরেই এ বৈঠক করলো তারা।

নারিনজারা নিউজকে এক মুসলিম নেতা বলেছেন, বৈঠকে কমান্ডার থারুন তুন আমাদের বলেছেন, রাখাইনের মানুষের (বৌদ্ধ আরাকান আর্মি) কারণে আমরা মুসলিমরা ভুগছি। ফলে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অস্ত্র তুলে নেওয়া উচিত। এমনকি এই কমান্ডার আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন, যদি আমাদের গ্রামের কাছে যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে সেনারা আমাদের গ্রামে হামলা চালাবে না। তারা শুধুমাত্র রাখাইনের গ্রামে হামলা চালাবে। এজন্য আমরা যেন জান্তার হয়ে কাজ করি।

তবে বৈঠকে উপস্থিত মুসলিম নেতাদের একটি অংশ বলেছেন, যদি তাদের সত্যিকার অর্থে মিয়ানমারের নাগরিকের মর্যাদা দেওয়া হয়; তাহলে তারা এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখবেন। তবে বেশিরভাগ নেতা এতে রাজি হননি।

ওই নেতা নারিনজারাকে আরও বলেছেন, কিছু নেতা আমাদের সত্যিকার নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে রাখাইনের মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বেশিরভাগ নেতা। তা সত্ত্বেও সেনা কমান্ডার তাদের আহ্বান জানিয়েছেন, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে।

এদিকে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতীর প্রতিবেদনে জানা যায়, মিয়ানমারের পুরানো রাজধানী শহর ইয়াঙ্গুন ও অন্যতম বড় শহর মান্দালয়সহ জাতিগত বামার সংখ্যাগরিষ্ঠ শহরগুলোতে জাতিগত রোহিঙ্গাবিরোধী পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

এসব পোস্টার ও লিফলেটের মাধ্যমে জাতিগত রোহিঙ্গাদের বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। রোহিঙ্গা মালিকানাধীন দোকানপাট, হোটেল-রেস্তোঁরায় না যেতে বলা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এইসব শহরে যেসব জাতিগত রোহিঙ্গা বসবাস করেন তাদেরকে তাদের নিজ রাজ্য রাখাইনে ফিরে যেতে বলা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা: এফএসআইএন
রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকা চান হাইকোর্ট
ভাসানচরে রোহিঙ্গা নাগরিককে গলা কেটে হত্যা
৫ মাসের শিশু চুরির ৫ দিন পর উদ্ধার, ২ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
X
Fresh