• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

৩০ বছর ধরে মসজিদের দেয়ালে কুরআনের আয়াত লিখেন অনীল কুমার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২৯ জুন ২০২১, ২২:২১
India’s Hindu calligrapher whose art adorns more than 200 mosques
সংগৃহীত

নিজে নিজেই ক্যালিগ্রাফি শিখেছেন অনীল কুমান চৌহান। এরপর থেকেই ২০০-র বেশি মসজিদে গত ৩০ বছর ধরে কুরআনের আয়াত লিখে চলেছেন তিনি। ভারতীয় এই ব্যক্তি হায়দরাবাদের বাসিন্দা। খবর আল জাজিরার।

অনীলের বয়স ৫০ বছর। ক্যালিগ্রাফি তার নেশা। কিন্তু কোনও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যালিগ্রাফি শেখেননি অনীল। বরং হায়দরাবাদে উর্দু ভাষায় বিভিন্ন দোকানের সাইনবোর্ড পেইন্ট করতে গিয়ে তিনি ক্যালিগ্রাফির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যান।


আরও পড়ুন... লকডাউন-শাটডাউন কিছুই না, আসছে কড়া বিধি-নিষেধ!

অনীলের ভাষায় আমি একজন গরিব হিন্দু পরিবারের ছেলে। পরিবারকে সাহায্য করতে ১০ম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করতে পারিনি। আমি ভালো আঁকতে পারতাম। তাই আমি সাইনবোর্ড পেইন্টার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার পরিকল্পনা করি।

তিনি বলেন, আমি ৩০টি মন্দিরে হিন্দু দেব-দেবীর ছবিও এঁকেছি। অনেক দরগা এবং মঠ-আশ্রমেও ছবি এঁকেছি। ১০০টির বেশি মসজিদে আমি টাকার বিনিময়ে ক্যালিগ্রাফি করেছি। তবে আরও ১০০টি মসজিদে কাজ করেছি বিনা পয়সায়।

অনীল বলেন, আমি এসব জায়গার গেলে এক ধরনের আত্মিক টান অনুভব করি। তাই টাকা-পয়সার প্রতি খুব একটা মন টানে না। দেশজুড়ে ঘুরে ঘুরে মাসে প্রায় ২৬ হাজার রুপি আয় করেন অনীল।

তবে উর্দু ভাষা শেখার জন্য কোনও ধরনের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেননি অনীল। আবার কোনও ধর্মীয় স্কুলেও পড়াশোনা করেননি তিনি।

আরও পড়ুন... ১ জুলাই থেকে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ, ঘরের বাইরে বের হলেই শাস্তি

তিনি বলেন, আমি পেইন্টিং করতে গিয়ে উর্দু পড়া ও লেখা শিখি। মানুষজন আমার কাজে মুগ্ধ হয়ে যায়। তারা আমাকে শহরজুড়ে বিভিন্ন স্থাপনায় কুরআনের আয়াত লেখার কাজ দিতে থাকে।

৩০ বছর আগেও হায়দরাবাদে উর্দুর ব্যাপক প্রচলন ছিল। কারণ সেখানকার অধিকাংশ মানুষ এবং দোকানদার মুসলিম ছিল। তাই ‍উর্দু শেখা ছাড়া কোনও বিকল্প ছিল না। তাই তিনি এই ভাষার সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করে তোলেন অনীল।

কিন্তু না বুঝে লিখতে লিখতেই ধীরে ধীরে উর্দুর প্রেমের পড়ে যান অনীল। ধীরে ধীরে উর্দু ভাষার বর্ণমালা শিখে ফেলেন তিনি। অবসরে উর্দু চর্চা করতেন তিনি। এভাবেই এই ভাষা রপ্ত করেন অনীল।

অনীল বলেন, ১৯৯০-র দশকে আমার কাছে সবচেয়ে বড় কাজ আসে। তখন আমাকে হায়দরাবাদের আইকনিক নূর মসজিদে কুরআনের আয়াত লেখার কাজ দেয়া হয়।

তিনি বলেন, আমি খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম। কারণ তারা আমার মেধাকে চিনতে পেরেছে। শুধু তাই নয়, এজন্য শহরের এলিটরা আমার জন্য তাদের দুয়ার খুলে দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশি গার্মেন্টসের রপ্তানি বাড়ায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আপত্তি
৯ মে ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রস‌চিব
বাইডেনের ‘জেনোফোবিক’ মন্তব্যে জাপান-ভারতের প্রতিবাদ 
ভারত থেকে আসবে পেঁয়াজ, এলসি খুলছেন ব্যবসায়ীরা
X
Fresh