ফ্রান্সে চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন দেখিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাখ্যা করার দায়ে ফ্রান্সের প্যারিসে স্কুল শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে হত্যা করা হয়েছে। ফরাসি পুলিশ এরপরই দেশজুড়ে চরমপন্থী মুসলিমদের বিরুদ্ধে অপারেশন ও তদন্ত শুরু করেছে। খবর ডয়চে ভেলের।
বেশ কয়েকটি সংগঠনের কার্যকলাপও তদন্ত করে দেখছে তারা। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ওই শিক্ষককে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণার বার্তা দেয়ার অন্তত ৮০টি ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ওই ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন পুলিশের অভিযান চলছে। তিনি বলছেন, এ ঘটনায় আরও গ্রেপ্তার হতে পারে। অন্তত ডজনখানেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এছাড়া খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে ৫০টিরও বেশি সংগঠনের। কিছু গোষ্ঠী ফরাসি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ছড়াচ্ছে কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে। এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই গোষ্ঠীগুলো ভেঙে দেয়া হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রোববারই ২৩১ জন চরমপন্থী ভাবধারার বিদেশিকে দেশের বাইরে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। তবে ওই ব্যক্তিরা শিক্ষক হত্যা জড়িত কিনা, তা জানা যায়নি।
এদিকে সোমবার থেকে চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে যে অপারেশন শুরু হয়েছে, তা ওই লক্ষ্যেই কিনা, সে কথাও বলা যাচ্ছে না।
ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, কার্টুন দেখিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বোঝাবার পরেই প্যাটিকে অনলাইনে হুমকি দেয়া শুরু হয়। জারি করা হয় ফতোয়াও। ওই স্কুলের এক ছাত্রীর বাবা ফতোয়া জারি করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, একাধিক ব্যক্তি শিক্ষককে হত্যার ঘটনায় সঙ্গে জড়িত ছিল। তার মধ্যে একজন অভিযুক্ত হত্যাকারীর সঙ্গে গিয়ে অস্ত্র কিনেছিল। একজন হত্যাকারীকে গাড়িতে করে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কিন্তু ১৮ বছর বয়সী অভিযুক্ত হত্যাকারীর নাম পুলিশ রেকর্ডে নেই। এর মানে হচ্ছে যে, সে আগে কোনও অপরাধের জন্য পুলিশের নজরে আসেনি।
এ
মন্তব্য করুন