• ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দূরত্ব ঘোচাতে আজ বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ-ভারতের কর্মকর্তারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:২৮
meeting between india and bangladesh will be held today
সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে চলতি অস্বস্তি কাটিয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে আজ ‘জয়েন্ট কনসাল্টেটেটিভ কমিশন’ (জেসিসি) বৈঠকে বসছে ভারতের কর্মকর্তারা। উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজার জানিয়েছে, দিল্লি এবং ঢাকার মধ্যে চলতি চুক্তিগুলোর পর্যালোচনা এবং ভারতের অর্থায়নে বাংলাদেশে যে প্রকল্পগুলো চলছে, সেগুলোর দ্রুত সমাপ্তি নিয়ে কথা হবে দুই পক্ষের। বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠান নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে দৈনিকটি জানিয়েছে, থমকে থাকা যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক সচল করার বিষয়ে আলোচনা করবেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতের লাইন অব ক্রেডিটে (এলওসি) যে অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বাংলাদেশে চলছে সেগুলোতে গতি আনার জন্য সচিব পর্যায়ের মেকানিজম গড়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।

এছাড়া আগামী বছর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। সেই উপলক্ষে আখাউড়া-আগরতলা রেল যোগাযোগ, মৈত্রী শক্তি প্রকল্প-সহ বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। ভারত ইতোমধ্যেই ‘হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এর অধীনে পানি পরিবহন, নিকাশি ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে ৪০টি আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে কাজ করছে। কোন প্রকল্প কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করবেন দুই দেশের কর্মকর্তারা।

রাজনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবরই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে তৎপর। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব দেখা গেছে সম্প্রতি। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর অবস্থানের পার্থক্য খুবই প্রকট হয়ে উঠতে দেখা গেছে। এ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে যে জটিলতা ও তিক্ততা তৈরি হয়েছে, তার রেশ রয়েছে এখনও।

লকডাউনের আগে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ঐক্যমত্য হয়েছিল যে, ভবিষ্যতে ভারত যদি কোনও অত্যাবশ্যক পণ্যের ওপর রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাহলে আগে থেকে বাংলাদেশকে তা জানিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু সম্প্রতি পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার সময় সেই শর্ত মানা হয়নি ভারতের পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সক্রিয় হয়ে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। শেষ পর্যন্ত সীমান্তে আটকে পড়া পেঁয়াজ পাঠানোর ছাড়পত্র দেয়া হয়।

এছাড়া ভারতের একাধিক সীমান্ত যখন উত্তপ্ত, তখন বাংলাদেশের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক সুমধুর রাখাটা যে পররাষ্ট্র নীতির বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে, স্থানীয়ভাবে তা স্বীকার করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। আজকের বৈঠকে সে দিকেই নজর থাকবে ভারতের বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে দূরত্ব নিয়ে কিছুদিন আগে এক আলোচনায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছিলেন, করোনাভাইরাসের কারণে যে শারীরিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে তা কিছু অবিশ্বাস ও ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করেছে। এমনকি সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে সম্প্রতি ঢাকা সফরও করেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh