‘বড় লোকের বিটি’ কোটি বাজেটের হিট গান, বঞ্চিত গীতিকার
‘বড় লোকের বিটি লো, লম্বা লম্বা চুল, এমন মাথায় বেঁধে দেবো লাল গেঁদাফুল…” গানটি বাঙালি শ্রোতাদের অনেকেই শুনেছেন।
এবার ব়্যাপার বাদশা ও পায়েল দেবের গাওয়া নয়া মোড়কে ‘গেঁন্দাফুল’ গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ট্রেন্ডিং। বাংলার মাটির গন্ধ লেগে থাকা এই গান যার সৃষ্টি, মিউজিক ভিডিওর কোথাও তার নামের উল্লেখ নেই।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, এই গানের গীতিকার রতন কাহার প্রচারের আলো থেকে শতহস্ত দূরে। এখনও যার নিত্য দিন গুজরান হয় অভাবের মাঝে। সুপারহিট এই গানের মুনাফা তুলছেন বাদশা এবং সনি মিউজিক ইন্ডিয়া। এদিকে গানটির স্রষ্টার নামটুকু সৌজন্যমূলকভাবে উল্লেখ করলেন না ভিডিওতে!
প্রশ্ন উঠেছে কেন তারা এমনটা করলেন। নেটিজেনরা বলছেন, মিউজিক ভিডিওয় নাম উল্লেখ করা মানেই তো রয়্যালটি দিতে হবে রতন কাহারকে। এ কারণেই ক্রেডিট টাইটেলে রতন কাহারের নাম দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি সনি মিউজিক সংস্থা এবং ব়্যাপার বাদশা।
জানা গেছে, ‘বড় লোকের বিটি লো’ লোকগীতিটি ১৯৭২ সালে লিখেছিলেন রতন কাহার। পরবর্তীতে স্বপ্না চক্রবর্তীর কণ্ঠে এই গান রীতিমতো মেগা হিট হয়েছিল। যা আজও মানুষের মনে রয়ে গিয়েছে।
বীরভূম জেলার সিউড়ির বাসিন্দা রতন কাহার। ভাদু গানে তার অবাধ বিচরণ। পাশাপাশি ঝুমুর হোক কিংবা প্রভাতী কীর্তন-লোকগান, রতন কাহারের জুড়ি মেলা ভার! এমন গুণী ব্যক্তির সঙ্গী নিত্য অভাব। এককালে দু’মুঠো ভাত জোগাড় করার জন্যে বিঁড়ি বেঁধে সংসার চালাতেন। আর এখন ভরসা বলতে, এদিক-ওদিক দু’-চারটে অনু্ষ্ঠান, আর যৎসামান্য সরকারি ভাতা। এমন মানুষের নাম আর কেন থাকবে ঝা-চকচকে গানের মিউজিক ভি়ডিওতে। তার গান নিয়েই এখন কোটি টাকার ব্যবসা করবে সনি মিউজিক সংস্থা ও বাদশা। এমনকী জ্যাকুলিনের মতো অভিনেত্রীকে গানের ভিডিওর মুখ হিসেবে দেখা গেছে।
এম
মন্তব্য করুন