চলচ্চিত্র পরিচালক আউয়ালের মরদেহ উদ্ধার
‘রাজপথের বাদশা’ ও ‘কাছের শত্রু’ সিনেমার পরিচালক এম এ আউয়ালের (৬০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মগবাজার দিলু রোডের একটি বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে হাতিরঝিল থানা পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হক জানান, খবর পেয়ে গতরাতে মগবাজার দিলু রোডের ৩৪৮/১ নম্বর বাড়ির পঞ্চমতলার একটি মেস থেকে এম এ আউয়ালের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই মেসে তিনি তার কয়েকজন সহকর্মীসহ ভাড়া থাকতেন। গতকাল সকালে তার রুমমেটরা যে যার মত কাজে চলে যান। রাতে বাসায় ফিরে দেখতে পান রুমের দরজা। তখন ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে থানায় খবর দেন। পরবর্তীতে সেখানে গিয়ে দরজা ভেঙে দেখা যায়, বিছানায় পড়ে আছে নির্মাতার মরদেহ।
তিনি আরও জানান, চলচ্চিত্র পরিচালক দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ঘুমের মধ্যেই অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবুও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পরিচালক এমএ আউয়ালের রুমমেট দুলাল হোসেন জানান, রুমটিতে তারা চারজন মিলে মেস করে থাকতেন। তাদের একজন রুমমেট বাড়ি গিয়েছেন। দুলালসহ অন্য রুমমেট সকালে কাজে চলে যান। এরপর রাতে সাড়ে ৯টার দিকে দুলাল বাসায় ফিরে রুমে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। তখন অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া পান না। এরপর বাড়ির দারোয়ান ও মালিককে খবর দেন। তারাও অনেক ডাকাডাকি করেন। উপায় না পেয়ে পরে তারা থানায় খবর দেন। তখন পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, আউয়ালের হার্টের সমস্যা ছিলো। এছাড়া কিডনি জটিলতাও ছিল দীর্ঘদিনের। সে কারণে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এবং বাসায় নিয়মিত ওষুধও খাচ্ছিলেন।
দুলাল জানান, বিয়ে করেননি আউয়াল। এমনকি পরিবারের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগও ছিল না।
প্রসঙ্গত, এম এ আউয়াল প্রথমে চিত্রনায়ক মাসুম পারভেজ রুবেলের সহযোগী পরিচালক হিসেবে ‘সিটি রংবাজ’ ছবিতে কাজ করেন। এরপর তিনি পূর্ণ পরিচালক হিসেবে পরিচালনা করেন ‘রাজপথের বাদশা’ ও ‘কাছের শত্রু’ সিনেমা ।
মন্তব্য করুন