• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভাইরাল হয়ে বড়জোর এক বছর টিকে থাকা যায়: আলমগীর (ভিডিও)

আরটিভি নিউজ

  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৪
সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হওয়া নিয়ে চলছে এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় গা ভাসিয়ে অনেকেই নিজেদের তারকা মনে করেন। তাদের নিয়ে বরেণ্য অভিনেতা আলমগীর বললেন, ‘ভাইরাল হয়ে কোনওদিন স্টারের জন্ম হয় না।’ সম্প্রতি ঢাকা ১০ আসনের সাংসদ ও চিত্রনায়ক ফেরদৌসের উদ্যোগে ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নায়ক আলমগীর। সেখানেই অনুষ্ঠানের ফাঁকে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হোন এই অভিনেতা।

তিনি বলেন, ভাইরাল হয়ে কোনওদিন স্টারের জন্ম হয় না। আপনি ভাইরাল হয়ে কি হবেন। হঠাৎ ভাইরাল হয়ে বড়জোর এক বছর টিকে থাকা যায়। তারপর তারা হারিয়ে যাবে। তারা কোনোদিন টিকে থাকবে না। এটাই বাস্তব। কিন্তু অভিনয়-চলচ্চিত্র দিয়ে যারা মানুষের মনে জায়গা করে নেন তারা আজীবন টিকে থাকবে।

বর্তমান সময়ে চলচ্চিত্রের সঙ্গে বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগ তুলনা করে অনেকেই অনেক ধরনের মন্তব্য করেন। বিশেষ করে চলচ্চিত্র বিষয়ক সভা-সেমিনারে প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষই বলেন; বর্তমান চলচ্চিত্রকে আবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে। তবে এই কথার সঙ্গে পুরোপুরি ভিন্নমত পোষণ করেছেন বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের নায়ক আলমগীর। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই অভিনেতার মতে, বাংলা সিনেমা স্বর্ণযুগে ফিরে যাওয়া নয় বরং আরেকটি স্বর্ণযুগ তৈরি করা যার নাম হবে ‘ডিজিটাল স্বর্ণযুগ’।

সিনেমায় ৫০ বছরের ক্যারিয়ার এই অভিনেতার। যে সময়ে তিনি সিনেমায় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সেসময় সিনেমায় ছিলো প্রেম-ভালোবাসা, কাঁন্না-হাসি ও পারিবারির বন্ধন। কিন্তু পরবর্তীতে সিনেমা চলে যায় অশ্লীলতার দিকে। বিশেষ করে বর্তমানে ওটিটির কন্টেন্টগুলোতে রয়েছে অশ্লীলতার অভিযোগ। তবে দিন শেষে অশ্লীলতাকে মানুষ ছুড়ে ফেলে দেবে বলেও জানালেন আলমগীর।

তার কথায়, বড়পর্দা, ছোটপর্দা কিংবা ওটিটি; যেটাই বলেন না কেন অশ্লীল সবখানেই অশ্লীল। এই শব্দটা তো পরিবর্তন করতে পারবেন না। এটা একটা পর্যায়ে গিয়ে জনগণ ছুড়ে ফেলে দেবে। দর্শকদের বলবো আপনার হলে গিয়ে বাংলা ছবি দেখুন। ভবিষ্যতে আমরা ডিজিটাল স্বর্ণযুগ গড়ে তুলবো; এই চ্যালেঞ্জ আমাদের মাঝে আছে। এবং এই উৎসাহ আমরা প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার কাছে থেকেই পাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্রে নায়ক আলমগীরের অভিষেক হয় ১৯৭৩ সালে ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমা দিয়ে। ১৯৮৫ সালে তিনি পরিচালনা শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে ‘মা ও ছেলে’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তোলেন আলমগীর। অভিনয় ক্যারিয়ারে ২২৫টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেতা বিভাগে নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। এ ছাড়া ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘আজীবন সম্মাননায়’ ভূষিত হন এই অভিনেতা।

শুধু অভিনয় নয়, গানও গাইতে পারেন আলমগীর। একসময় রাজধানীর গ্রিন রোডে একটি স্কুলে সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদীর কাছে গান শিখেছিলেন। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন। ‘আগুনের আলো’ চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম কণ্ঠ দেন। এরপর ‘কার পাপে’, ‘ঝুমকা’ ও ‘নির্দোষ’ চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন।

চলচ্চিত্রের জন্য নিবেদিতপ্রাণ আলমগীর। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ’-এর আহ্বায়ক হিসেবে আছেন তিনি। এর আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন আলমগীর।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভারতীয় অধিনায়কের মন্তব্যে খুশি জ্যোতি
বাংলাদেশি সিনেমার মস্কো জয় 
শিল্পী-সাংবাদিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
মসজিদে পুত্রের আজানে উচ্ছ্বসিত নায়ক সাইমন
X
Fresh