• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চঞ্চলের চিকিৎসায় সামন্ত লালকে চিঠিতে যা লিখেছিলেন এ টি এম শামসুজ্জামান

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৮
সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২০ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)। ২০২১ সালের এই দিনে ৮০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এ শিল্পী। তাকে স্মরণ করে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী স্মৃতি শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।তাদের মধ্যে একজন চঞ্চল চৌধুরী।

তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, আজ বাংলাদেশের দুজন কিংবদন্তি অভিনেতার প্রয়াণ দিবস।তারা হলেন জনাব গোলাম মুস্তাফা এবং জনাব এ টি এম শামসুজ্জামান। গভীর শ্রদ্ধা জানাই তাঁদের বিদেহী আত্মার প্রতি।

তিনি লেখেন, গভীর শ্রদ্ধা জানাই তাঁদের বিদেহী আত্মার প্রতি। গোলাম মুস্তাফা সাহেবের সঙ্গ লাভ বা তার সঙ্গে অভিনয় করবার সৌভাগ্য আমার কখনো হয়নি। তবে ছোটবেলা থেকে তাঁর অভিনয় ও আবৃত্তির একনিষ্ঠ ভক্ত আমি।

অন্যদিকে এ টি এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে অসংখ্য কাজ করার সুযোগ হয়েছে চঞ্চল চৌধুরীর। তাকে স্মরণ করে এই অভিনেতা লেখেন, সালাউদ্দিন লাভলু, বৃন্দাবন দাস, মাসুম রেজা, মোশারফ করিম, শাহনাজ খুশী, আ খ ম হাসান, শামীম জামান এবং আমিসহ অনেকে একসঙ্গে অনেক নাটকে কাজ করেছি। আমাদের সবারই অসংখ্য ভালো লাগার এবং আনন্দের স্মৃতি রয়েছে এ টি এম ভাইয়ের সঙ্গে।

একটি স্মৃতি স্মরণ করে চঞ্চল বলেন, “ভবের হাট” নাটকের শুটিং-এর সেটে শট এর মাঝখানে এ টি এম ভাই হঠাৎ আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার কপালে কি হয়েছে চঞ্চল?” আমি বললাম, “কোন একটা কারণে আঘাত পাওয়ার পর থেকে টিউমারের মত শক্ত কি একটা যেন হয়েছে! অনেকদিন হয়ে গেল কমছে না।” উনি বললেন, “সে কি!!!! তোমার তো এখন কপাল খোলার সময়, কপালের যত্ন নাও। আমার বন্ধু ডা. সেন, ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটের প্রধান। আমি একটা চিঠি লিখে দিচ্ছি সেন মহাশয়কে, তুমি তাড়াতাড়ি দেখা করো ওর সাথে। তিন চার দিনের মধ্যে কপালটা ফাটিয়ে, জোড়া লাগিয়ে আবার আগের মত ফ্রেশ কপাল বানিয়ে দেবে।

যথারীতি এ টি এম ভাই ডা. সেন স্যারকে একটা চিঠি লিখে দিলেন, আমি দেখা করলাম। সেন স্যার হলেন বিখ্যাত ডা. সামন্ত লাল সেন। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেন স্যার আমাকে দেখেই চিনে ফেললেন। তারপর এ টি এম ভাইয়ের লেখা চিঠিটা পড়ে হাসতে লাগলেন।

চিঠির লেখাগুলো ছিলো

সেন, প্রীতস্তি কুশল রইলো। চঞ্চলকে পাঠালাম। ও ইদানীং ওর অভিনয়ে আমাদের সবাইকে চঞ্চল করে তুলেছে। কপাল জোড় কদমে দৌড়চ্ছে। সেই কপালে কি যেন হয়েছে। দেখে যদি মনে করেন ফাটিয়ে দেবেন। একবার ফাটলে আর ধরে কে ওকে। ভালো আছেন। ভালো থাকবেন। বৌদিকে নমস্কার। বাকী পরিবারের সবাইকে ভালবাসা।

এ টি এম শামসুজ্জামান
২৯ শে শ্রাবন, ১৪১৩ বাংলা।”

তারপর সত্যিই আমার কপালটা ফাটিয়ে দিলেন ডা. সামন্ত লাল সেন। এ টি এম ভাই যখন খুব অসুস্থ হয়ে পিজি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, একদিন বৃন্দাবনদা, খুশী আর আমি ওনাকে দেখতে গেলাম। আমাদেরকে দেখে উনি আনন্দে কেঁদে ফেললেন। বললেন, আল্লার রহমতে, সকলের দোয়ায় আমি সুস্থ হইয়া যামু…..আবার অভিনয় করমু, তোমরা রেডি হও।

আমরা সত্যিই রেডি ছিলাম ওনার অভিনয়ে ফেরার আশায়, রেডি ছিলাম না ওনার চির বিদায় নেওয়ার সংবাদ শোনার জন্য। হাসপাতালে ওনার সাথে সেই শেষ দেখা। শেষের ছবিটা আমাদের শেষ স্মৃতি। আর ডা. সেন স্যারকে লেখা তাঁর হাতের লেখা চিঠিটা আগলে রেখেছি অনেক যত্নে।

পরপারে শান্তিতে থাকুন হে কিংবদন্তি।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজ হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ : প্রধান বিচারপতিকে ইমরানের চিঠি
মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান, শাকিবের ‘তুফান’-এ চঞ্চল
X
Fresh