অশ্লীল ছবি-ভিডিওসহ সঙ্গীতশিল্পী আটক
শিশুদের প্রায় ১০ লাখ পর্ন ভিডিও ও ছবিসহ এক সঙ্গীতশিল্পীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) ইতালির মারচে অঞ্চলের উপকূলী শহর অ্যানকোনা থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ৪৯ বছর বয়সী ওই সঙ্গীতশিল্পী ২০ বছর ধরে এসব ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করছিলেন। ভুক্তভোগীদের বয়স, ছবি ও ভিডিওর ধরন অনুযায়ী এগুলো বিভিন্ন ফোল্ডারে সাজানো ছিল।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, ওই ব্যক্তি এসব ছবি ও ভিডিও তার কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক, অপটিক্যাল মিডিয়া ও স্মার্টফোনে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন।
প্রসঙ্গত, শিশুদের সঙ্গীত বিষয়ে শিক্ষাদান করতেন ওই সঙ্গীতশিল্পী। তবে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ।
সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি
এনএস
মন্তব্য করুন
পুলিশের সামনে মিথিলাকে পেটাল ইউটিউবার রাকিব টিম
ডিজিটাল এই যুগে নতুন নতুন কনটেন্ট নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হন ক্রিয়েটররা। কখনও ইউটিউব বা কখনও ফেসবুকে সেই সব কনটেন্ট দিয়ে মাসে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। সেই সব কনটেন্ট নিয়ে আবার অনেকেই প্রশংসা করেন আবার অনেকেই সমালোচনা করেন।
এদিকে দেশের জনপ্রিয় ইউটিউবারদের মধ্যে তালিকার রাকিব হোসাইন একজন। নানা কনটেন্ট দিয়ে আসতে আসতে নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন তিনি। সম্প্রতি তার টিম থেকে বেরিয়ে যাওয়া ইয়াসিন এবং মিথিলার সঙ্গে টিম রাকিবের তুমুল মারামারি হয়েছে যা ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।
জানা গেছে, শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত প্রায় ১০টার দিকে রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে বের হচ্ছিলেন ইউটিউবার ইয়াসিন ও মিথিলা রহমান। রাস্তায় তাদেরকে পেয়ে মিথিলার গায়ে হাত তোলেন রাকিবের টিমের সদস্যরা।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মিথিলার মাথায় হেলমেট। সেসময় তার গায়ে হাত তোলা হয়। সেখানে পুলিশকেও দেখা গেছে। কিন্তু পুলিশের কোনো উদ্যোগ ভিডিওতে দেখা যায়নি।
মিথিলা কান্নাকাটি করলে তাকে সিএনজিতে করে একটি হাসপাতালে যেতে দেখা গেছে সেই ভিডিওটিতে। তবে মিথিলার গায়ে হাত তোলার কারণ জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কাজের সুবাদে বনিবনা না হওয়ার কারণে দুই পক্ষের মধ্যে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
রাকিব হোসেন তার ইউটিউবে কনটেন্ট ক্রিয়েটের পাশাপাশি ২০২২ সাল থেকে নাটকও তৈরি করছেন।
‘বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, একটি মেয়েও আছে’
কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়েও আলোচনায় থাকেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। গেল ঈদের আগে শাকিব খানের সঙ্গে দাম্পত্যজীবন এবং নায়কের প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাস নিয়ে মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন তিনি। এবার তাকে নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি।
ঈদের একটি অনুষ্ঠানে বুবলী জানান, শাকিবের সঙ্গে এখনও ডিভোর্স হয়নি তার। সময় নিচ্ছেন তারা। কিন্তু আলাদা থাকছেন। মূলত ছেলে বীরের কথা ভেবেই সময় নিচ্ছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, শাকিবের বাসায় গেলে জয় ও তার মা অপু বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা হয়। এমনকি ছেলে বীরকে নিয়ে নায়কের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটানোর সময় জয়কে নিয়ে হাজির হন অপু বিশ্বাস। বুবলীর এমন মন্তব্যে অবশ্য বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছিল নেটপাড়ায়। এমনকি তার এই বক্তব্যে নাকি ভীষণ বিরক্ত শাকিব-অপু।
এবার বুবলীকে নিয়ে সুরুজ বাঙালি বলেন, এখন শাকিব-অপু দুজনেই ভালো আছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে প্রবেশ করে সবকিছু নষ্ট করতে চাচ্ছে বুবলী। শাকিবের লেজ ধরেই তো আজকের অবস্থানে এসেছে বুবলী। তাকে ধরে ১০টি সিনেমাও করেছে। বুবলীকে শাকিবই ওপরে উঠিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই বুবলী কিন্তু আগে থেকেই বিবাহিত। তবে এই বিষয়টা জানতো না শাকিব। শুধু তাই নয়, তার আগের ঘরে একটি মেয়েসন্তানও রয়েছে। শাকিব এটা পরবর্তীতে জানতে পেরে এড়িয়ে চলেছে তাকে। কিন্তু বীর তো শাকিবের নিজের রক্তের। এ জন্য বীরকে কখনোই ফেলে দেবে না শাকিব।
এই কৌতুক অভিনেতা বলেন, বুবলী চায় বীরকে দিয়ে শাকিবের সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে। যেখানে শাকিব-অপু এক হয়েছেন, তখন তাদের মধ্যে বুবলীর নাক গলানোর কী প্রয়োজন?
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে শাকিবের বিপরীতে ‘বসগিরি’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন বুবলী। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন তারা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বেবিবাম্পের ছবি প্রকাশ করে আলোচনায় আসেন বুবলী। এরপর একদিন পরই একসঙ্গে ফেসবুকে ছেলে শেহজাদ খান বীরের ছবি প্রকাশ্যে আনেন শাকিব-বুবলী।
মায়ের বান্ধবীকে বিয়ে, অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করে যা লিখলেন বিরসা
এই মুহূর্তে টলিউডে আলোচিত নাম পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত ও অভিনেত্রী বিদিপ্তা চক্রবর্তী দম্পতি। তবে পেশাগত নয়, ব্যক্তিগত কারণে। বিরসার মায়ের বান্ধবী ছিলেন বিদিপ্তা। কদিন আগেই বান্ধবীর ছেলেকে বিয়ে করার কথা জানিয়েছিলেন বিদিপ্তা। এবার সামাজিকমাধ্যমে দিলেন অন্তরঙ্গ ছবি।
সুইমিং পুলে ভালোবাসায় মেতেছিলেন বিরসা-বিদিপ্তা। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন বিরসা। সেখানে দেখা গেছে বরের বুকে মাথা রেখেছেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লিখেছেন, আজ ওয়ার্ল্ড বুক ডে, সবাই বুক হাতে ছবি দিচ্ছে! আমিও দিলাম বুকে বিদিপ্তা। পিছনে দেখা গেল বিরশা-বিদিপ্তার কন্যা ইদাকেও।
তবে নেটাগরিকরা ভালো চোখে দেখেননি ছবিটি। তারা মেতেছেন ট্রলে। একজন লেখেন, আপনি হয়তো মজা করেই এই ক্যাপশন দিয়েছেন। কিন্তু ওয়ার্ল্ড বুক ডে-র সঙ্গে এটাকে গুলিয়ে ফেলবেন না প্লিজ। শিক্ষার জায়গা আর ভালোবাসার জায়গা আলাদা। দ্বিতীয়জন লিখেছেন, কী বাজে মশকরা। পরে অবশ্য বদলে দেওয়া হয় ছবির ক্যাপশন। লেখা হলো, হৃদয় আমার, ওই বুঝি তোর বৈশাখী ঝড় আসে।
প্রসঙ্গত, বিরসা-বিদিপ্তা গাঁটছড়া বাঁধেন ২০১০ সালে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলার পর থেকেই চর্চায় রয়েছে তাদের এ সম্পর্ক। এবার হতে হচ্ছে ট্রলের শিকার।
জায়েদ খানকে নিয়ে যা জানালেন ডিপজল
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশের একটি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি কথা বলেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে। সেখানে উঠে আসে জায়েদ খান প্রসঙ্গও।
এ সময় ডিপজল বলেন, সমিতি থেকে যাদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে, তাদের একজনকেও বাদ দেওয়া হবে না। বরং সবাইকে সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে।পাশাপাশি নেওয়া হবে আরও নতুন সদস্য।
তিনি আরও বলেন, ঠিক কী কারণে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে বাদ দেওয়াটা মনে হয় বেআইনি হয়েছে। সে একজন আর্টিস্ট। বিষয়টি নিয়ে আমরা সভায় কথা বলবো। সেখানে সবার পরামর্শ ও সম্মতিতে যে সিদ্ধান্ত হয়, সেটা আমরা নেবো।
এর আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বিদায়ী কমিটি ২ মার্চ (শনিবার) জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করে।
ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন ঐশী
অনামিকা ঐশী। টিকটক করে পেয়েছিলেন পরিচিতি। পরে আলোচনায় আসেন ‘বদমাইশ পোলাপাইন’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে। এরপর বেশ কিছু নাটকে কাজ করলেও তাকে আর সেভাবে ছোট পর্দায় পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি আবারও তিনি আলোচনায়। জানা গেছে, ভাঙনের মুখে সংসার।
দেশের একটি গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে ঐশী বলেন, আমরা এখনই এই নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলাম না। ও চাচ্ছে না, আমিও চাচ্ছি না। আমাদের এখনো ডিভোর্স হয়নি। আমরা দুজনই সেপারেশনে আছি। ও ক্লিয়ার করে বলতে পারছে না কী করবে, আমিও পারছি না। এটা দুজনের সিদ্ধান্তের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, আসলে আমাদের মধ্যে তেমন কিছুই হয়নি। ওর কিছু জিনিস আমার ভালো লাগেনি। তাই আমি চলে আসছি।
ঐশী বলেন, আমাদেরকে নিয়ে অনলাইনে খুব ট্রল হচ্ছে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ, আমরা প্রায় এক বছরের মতো একসঙ্গে ছিলাম, পাবলিকলি। এখন মানুষ একসঙ্গে দেখছে না। তাই ট্রল করছে, করবেই। তারা আসলে আমাদেরকে আবার একসঙ্গে দেখতে চায়। কিংবা জানতে চায় আসলে কী হয়েছে আমাদের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, গায়ক আলভীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন ঐশী। শুরু করেন সংসারও। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই ভালোবাসার মানুষটির অনেক কিছুই মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। তাই শুরু করেন আলাদা থাকা। এখনও আছেন সেভাবেই।
ইতিহাস গড়লেন বাঁধন
নতুন এক ইতিহাস গড়লেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এখন থেকে দেশে তিনিই একমাত্র মা, যিনি পেয়েছেন সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব। এর আগে কোনো নারী এককভাবে সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।
সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের এক আদেশে সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পান আজমেরী হক বাঁধন। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
এদিন নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতেও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারও পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।
আইনের এই ধারাটি সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা এক রুলে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তার সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এটা অনেক বড় একটা অর্জন। এই একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
উচ্চ আদালতের এই রুল জারির খবরে দারুণ খুশি বাঁধন। তিনি বলেন, এই অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না। চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তার সন্তানের ওপর।
২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।
সে সময় বাঁধন এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। সময়ের সঙ্গে বদলেছে তার অনুধাবন শক্তি। বুঝতে পেরেছেন এ রায়ের গুরুত্ব।
বাঁধন বলেন, আদালত যখন রায়টি দিয়েছিলেন, সে সময় এর গুরুত্ব ততটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চার সব দেখভাল আমিই করতাম, তাহলে আমি কেন তার অভিভাবক হতে পারব না। সন্তানের দায়িত্ব তার বাবা কখনো পালন করেনি। এমনকি আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেনি। আর তাই আদালত অভিভাবকত্বের ভার আমার ওপরেই দিয়েছিলেন।
অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, সন্তানের অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে বাবা বেঁচে থাকতে কখনো মাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল।
বাঁধন বলেন, আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব সম্পূর্ণ আলাদা একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়।
পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া সায়রা এখন বুঝতে শিখেছে। সারাক্ষণ থাকে মায়ের আশেপাশেই। সময় পেলে মা-মেয়ে একসঙ্গে ঘুরে বেড়ায় দেশ-বিদেশও। মায়ের এই অর্জন নিয়ে মেয়ের কোনো ধারণা আছে?
বাঁধন বলেন, সায়রার অত ধারণা নেই। সে শুধু জানে তার মা তাকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। সঙ্গে এটাও জানে, তার মা একজন ফাইটার।
শাকিব খানের পরিবারের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বুবলী
বুবলী-শাকিব খানকে নিয়ে আলোচনা যেনো থামছেই না। কিছুদিন পরপরই নতুন নতুন ইস্যুতে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন তারা। এবার শবনম বুবলীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তার ‘প্রাক্তন’ স্বামী শাকিব খানের পরিবারের। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেসব অভিযোগ প্রকাশ হওয়ার পর এবার মুখ খুললেন বুবলী। তার দাবি, তিনি শাকিব খানকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেননি।
বুবলী গণমাধ্যমকে বলেন, আমার নিজেকে বা সিনেমাকে আলোচনায় রাখতে কারও নাম বা কাহিনি বলতে হয় না। কারণ, আমার এবং সিনেমার জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা, সিনেমার টিম এবং দর্শকরাই যথেষ্ট। বরং আপনারা দেখছেন কারা আলোচনায় থাকতে একের পর এক সিরিজ নিউজ করে আমার নাম নিয়ে যেকোনো প্রোগ্রাম বা সাক্ষাৎকারে কথা বলেই যাচ্ছে বছরের পর বছর।
শাকিব খানের পরিবারের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগের ব্যাপারে বুবলী বলেন, নিউজটি দেখেছি। অনেক অভিযোগ। দেখুন নিউজে ঘনিষ্ঠসূত্র, পরিবারের এক সদস্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক—এসব সূত্রেই বা কী কথা বলব? নির্দিষ্ট কারও নাম বা কথা থাকলে কথা বলতে সুবিধা হতো। অভিযোগ ধরে ধরে বলা যেত।
নায়িকা বলেন, আমি আমার সিনেমা মুক্তির প্রমোশনাল প্রোগ্রামে যখন অংশগ্রহণ করি, তখন সিনেমার পাশাপাশি অনেক বিষয় চলে আসে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নে। তখন আমি সবাইকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে প্রশ্নের প্রাসঙ্গিক উত্তর দিই। কোথাও কাউকে অসম্মান করে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি না। এখন কেউ সম্মান দেওয়া হজম করতে না পারলে জোর করে আর সম্মান দেব না।
শাকিব খানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ‘মিথ্যাচার’ বিষয়ে বুবলী বলেন, আমি এখন পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে কোনো মিথ্যাচার করিনি, যা নিয়ে আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করতে পারি। মিথ্যাচার করে আমার কী লাভ? আপনাদের দোয়ায় আমি নিজেই প্রতিষ্ঠিত। চাঁদের মতো আমার সন্তান শেহজাদ আছে। আমার বাবা–মায়ের ভালোবাসা আছে আমার সঙ্গে। তাই আমার জীবনে তো নতুন করে চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই।
শাকিব খানের পারিবারিক একটি সূত্র সম্প্রতি দাবি করেন, বুবলী প্রায়ই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কিং খানকে নিয়ে মিথ্যাচার করেন। তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক না থাকারও পর বুবলী বলে বেড়ান, তাদের ডিভোর্স হয়নি। তারা আলাদা থাকছেন মাত্র। সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্রটি এও বলেন, ছেলে শেহজাদ খান বীরের বাহানায় প্রায়ই বুবলী শাকিব খানের অফিস ও বাসায় গিয়ে হাজির হন। এরপর শাকিবের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার সঙ্গে ছবি তুলতে তৎপর হয়ে ওঠেন। এরপর সেগুলো ফেসবুকে পোস্ট করে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে, তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিকই আছে।
এর জন্য বুবলীকে নাকি বাসা এবং অফিস দুই জায়গাতেই নিষিদ্ধ করেছেন শাকিব খান। ছেলে বীরকে যদি বাসায় আনতেই হয়, তাহলে বুবলী বাদে অন্য কেউ যেন নিয়ে আসেন বলে জানায় শাকিবের পারিবারিক সূত্র। বুবলীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়।
এ প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, আমিও চাই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তাহলে আমি যে কোনো মিথ্যাচার করিনি, সেটাও আমি প্রমাণসহ আইনিভাবে তুলে ধরতে পারব।