• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাজেটে বস্ত্র খাতের প্রত্যাশার প্রতিফলন হয়নি: জোবায়ের তানসিম(ভিডিও)

বিল্লাল হোসনে, আরটিভি নিউজ

  ১৩ জুন ২০২১, ১১:১২
জোবায়ের তানসিম

প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বস্ত্র খাতের তথা স্পিনিং উপখাতের অন্যতম প্রধান কাঁচামাল কৃত্রিম আঁশ আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধাসহ সকল প্রকার কৃত্রিম আশের তৈরি সব ধরনের সুতার সরবরাহের ওপর ভ্যাট প্রতি কেজি ৬ টাকা থেকে ৩ টাকা ধার্য করাসহ উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে দেয়া বিভিন্ন প্রস্তাবের প্রতিফলন হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল এ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর পরিচালক জোবায়ের তানসিম আহমেদ।

বুধবার (৯ জুন) আরটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা জানান তিনি।

বাজেট নিয়ে এক প্রকার আক্ষেপ করে তিনি বলেন, এই বাজেটে আমাদেরকে কিছু প্রণোদনা দিবে সেটা আশা ছিল কিন্তু তা দেয়া হয়নি। আমরা দেশের ১৮ কোটি মানুষের সিংহভাগ কাপড়ের সংস্থান করে থাকলেও বাজেটে আমাদের জন্য কোনো সুবিধাই রাখা হয়নি। আমরা চেয়েছিলাম করোনার এই কঠিন সময় ঘুরে দাঁড়াতে। তবে সরকারের সহযোগিতার হাত কোথায় প্রশ্ন রাখেন তিনি।

বিটিএমএ-এর পরিচালক বলেন, করোনার প্রথম সংক্রমণে কল-কারখানা, বাজার বন্ধ থাকার পরও শ্রমিকদের বেতন বোনাসসহ সকল প্রকার ভাতা মিলের শ্রমিকদের আমরা দিয়েছি, সেই সময় দেশের ব্যাংক সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সহযোগিতা করেনি, উপরোক্ত যথাসময়ে সকল প্রকার ট্যাক্সসহ শিল্প কারখানার বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল পরিশোধ করতে হয়েছে।

তানসিম আহমেদ বলেন, বাজেটে বিটিএমএ-এর দাবি ছিল আমদানি পর্যায়ের কাপড়ের ট্যারিফ ভ্যালু পুন-নির্ধারণ করা, কিন্তু তা করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। এর প্রায় ৭০ ভাগই দেয়া শেষ হয়েছে, কিন্তু বস্ত্র খাত তেমন কিছু পায়নি। বস্ত্র খাতের অন্যতম প্রধান কাঁচামাল কৃত্রিম আঁশ আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা, টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহৃত সব ধরনের যন্ত্রাংশকে ১ শতাংশ শুল্ক দেয়ার মাধ্যমে আমদানি সুবিধা দেয়া প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছিল কিন্তু বাজেটে তার প্রতিফলন নেই। এ কারণে প্রচ্ছন্ন রপ্তানি খাত হিসেবে বস্ত্র খাতের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বিটিএমএ-এর পক্ষ থেকে সকল প্রকার সুতা বিক্রির ক্ষেত্রে এক রকমের ভ্যাট নির্ধারণ করা। ফেব্রিক্সের ট্যারিফ ভ্যালু পুন-নির্ধারণের প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন, যদি প্রস্তাবটি এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ও রেগুলেটরি ডিউটি ন্যূনতম ৫০ ধার্য রাখা।

নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের অন্তত ৭৫ শতাংশ কারখানার বন্ড লাইসেন্স নেই। কারণ, তারা স্থানীয় উৎস থেকে সুতা সংগ্রহ করে। এ কারণে বন্ড লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় না। বাজেটে বন্ড লাইসেন্স থাকা প্রতিষ্ঠানের কাছে বস্ত্র ও সুতা বিক্রি করতে হবে। নতুন এই পদক্ষেপের কারণে টেক্সটাইল এবং তৈরি পোশাক উভয় খাতই বিপদে পড়বে বলে জানান জোবায়ের তানসিম আহমেদ।

করোনা মোকাবিলায় বস্ত্র খাত ঘুরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল এ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাবনা সমূহ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানান বিটিএমএ-এর পরিচালক।

এসআর/

মন্তব্য করুন

daraz
  • ব্যবসা-বাণিজ্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের প্রয়োজন বুঝতে পারছে এডিবি, আরও সহায়তার প্রতিশ্রুতি
বার্ষিক সাধারণ সভায় বিসিবির বাজেট পৌনে চার কোটি টাকা
কর নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব দূর করতে হবে  
X
Fresh