• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গার্মেন্টস শ্রমিকদের দল বেঁধে ঢাকায় আসার ব্যাখ্যা দিল বিজিএমইএ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২১ এপ্রিল ২০২০, ০৯:১২
গার্মেন্টস শ্রমিকদের দল বেঁধে ঢাকায় আসার ব্যাখ্যা দিল বিজিএমইএ
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই তৈরি পোশাক কারখানা খোলা রাখা, বন্ধ ঘোষণা করা ও দল বেঁধে শ্রমিকদের ঢাকায় আসার বিষয়ে ব্যাখ্যঅ পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

সোমবার এক বিবৃতিতে সার্বিক অবস্থার বিষয়ে বিজিএমইএ’র অবস্থান তুলে ধরা হয়।

বিবৃতিতে ১১ দফায় বিজিএমইএ করোনার মধ্যে তৈরি পোশাক কারখানা খোলা রাখা, বন্ধ ঘোষণা করা এবং শ্রমিকদের দল বেঁধে ঢাকার আসার ব্যাখা দেয়। এগুলো হলো :

  • ২০ মার্চ করোনার প্রাদুর্ভাব যখন বাংলাদেশে বাড়তে শুরু করে বিজিএমইএ তার সকল অংশীদারের সমন্বয়ে একটি জরুরি ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার উদ্যোগ নেয় এবং চিঠি দেয়।
  • ২১ মার্চ শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে তার দপ্তরে এফবিসিসিআই, বিইএফ, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা হয়। সেখানে পোশাক কারখানা খোলা রাখার ব্যাপারে সবাই একমত হন।
  • ২২ মার্চ শ্রম প্রতিমন্ত্রী দেশের শিল্পখাতের শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার দপ্তরে বৈঠক করে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে পোশাক কারখানা খোলা রাখা হবে।
  • ২৪ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় ‘প্রয়োজনে ওষুধ শিল্প ও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে। পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা সকল সার্কুলারেও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলোকে সাধারণ ছুটির আওতামুক্ত রাখার বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়।
  • শুধু বিজিএমইএ নয় বরং উপরোক্ত দু’টি সভায় অংশগ্রহণ করা সকল প্রতিনিধি ও অংশীদারের ঐকমত্যে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
  • ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটির ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে তা ১২ এপ্রিল ও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
  • ২৬ মার্চ সকালে বিজিএমইএ করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাব আরও বেড়ে যাওয়ায় সরকারি সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সকল কারখানা ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার অনুরোধ জানায়।
  • এর পরিপ্রেক্ষিতে পোশাক কারখানা ছুটির ঘোষণা দেয়ার সময় শ্রমিকদেরকে ছুটিকালীন সময়ে ঢাকায় যার বাসায় অবস্থান করতে এবং সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা পালন করে চলতে বলা হয়েছিল।
  • ১ এপ্রিল কল-কারখানা অধিদপ্তর ‘শিল্প কারখানা চালু করা প্রসঙ্গে একটি নির্দেশনা জারি করে। যেখানে উল্লেখ করা আছে ‘এমতাবস্থায়, যে সকল রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ রয়েছে ও শিল্প কল-কারখানা সচল রাখতে আগ্রহী এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি অপরিহার্য পণ্য যেমন- পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই), মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশ, স্যানিটাইজার, ওষুধপত্র ইত্যাদি উৎপাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে, সে সকল কল-কারখানা মালিকরা শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করে শিল্প কল-কারখানা চালু রাখতে পারবেন। এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট স্পষ্টীকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো’।
  • ছুটি শেষে শ্রমিকদের দলবেঁধে ঢাকায় ফেরার দৃশ্য আমাদের নজরে আসলে আমরা সকলের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এবং সরকারি সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দেই।
  • বিজিএমইএ এর অন্তর্ভুক্ত কোনও কারখানা কোনও অবস্থাতেই বন্ধ রাখার আইনগত কোনও কর্তৃত্ব রাখে না। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার সরকারি নির্দেশনায় কিংবা ঐচ্ছিকভাবে সম্পূর্ণ সেই কারখানা কর্তৃপক্ষ বহন করে।বিজিএমইএ বাংলাদেশের আরএমজি সেক্টরের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি সংগঠন মাত্র।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শতভাগ কারখানায় বেতন-ভাতা পরিশোধ : বিজিএমইএ
ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
বিজিএমইএ নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে জয়ী সম্মিলিত পরিষদ
X
Fresh