এনার্জি ড্রিংকস নিয়ে সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেন বেভারেজ ব্যবসায়ীরা
জনস্বার্থ বিবেচনা করে বিএসটিআই এবং বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথোরিটি (বিএফএসএ)-এর এনার্জি ড্রিংককে স্বীকৃতি না দেয়া এবং মান প্রণয়ন না করার সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বেভারেজ পণ্যের ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে একমাত্র সরকারি সংস্থা বিএসটিআই। প্রতিষ্ঠানটি পণ্যের যথাযথ মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই মান নিয়ন্ত্রণ ও প্রদান করে থাকে। দেশের মান নিয়ন্ত্রণ এই সংস্থার প্রতি দেশের জনগণ হিসেবে প্রত্যেকেরই আস্থা থাকা প্রয়োজন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা এসব তথ্য জানান। বাংলাদে বেভারেজ মেনুফ্যাকচারিং এসোসিয়েশন (বিবিএমএ) এই মিট দ্য প্রেসের আয়োজন করে।
এনার্জি ড্রিংকসে মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইন থাকার কারণে ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়া সম্প্রতি সরকারি সংস্থা বিএসটিআই এ পণ্য নিষিদ্ধে সিদ্ধান্ত জানায়; যা শিগগির কার্যকর হবে।
বেভারেজ পণ্যের ব্যবসায়ীরা জানান, এনার্জি ড্রিংক বিষয়ে বিএসটিআই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনগণ, ইন্ডাস্ট্রি এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে গণশুনানির মাধ্যমেই তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের মানুষের স্বার্থ বিবেচনায় বিবিএমএ সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ- বিএফএসএ-এর পদক্ষেপও প্রশংসার দাবি রাখে।
অনুষ্ঠানে কোকাকোলা, প্রাণ, আকিজ বেভারেজসহ কয়েকটি বেভারেজ পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিবিএমএ-এর সভাপতি হারুন অর রশীদ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বিশ্বের দরবারে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এই যাত্রায় বেভারেজ শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বিবিএমএ-এর উৎপাদিত পণ্যসমূহ বর্তমানে ৯০টিরও বেশি দেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। বেভারেজ শিল্পের এই অগ্রযাত্রায় সবারই অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি কোমল পানীয় অর্থাৎ কার্বনেটেড সফ্ট ড্রিংকস নিয়ে জনমনে কিছু ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। অনেকেই ভুল করে কার্বনেটেড সফ্ট ড্রিংকসকে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে আবারো আশ্বস্ত করতে চাই, সংগঠনের সব সদস্য বিএসটিআই-এর মান ‘বিডিএস ১১২৩’ অনুযায়ী কার্বনেটেড বেভারেজ প্রস্তুত করছে এবং তা সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ বেভারেজ আমদানী ও বিক্রয় করা হয় এবং বিএসটিআই দ্বারা এসব পণ্যের মান নির্ধারণের কোনও সুযোগ নেই। লক্ষ করা যাচ্ছে যে, এসব আমদানীকৃত পণ্যের সাথে দেশে উৎপাদিত মানসম্মত পণ্যকে একই মাণদণ্ডে বিচার করায় জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিবিএমএ-এর সাধারণ সম্পাদক শেখ শামীম উদ্দীন বলেন, জনমানুষের মধ্যে দেশে উৎপাদিত বেভারেজ নিয়ে সঠিক তথ্য না পৌঁছানোর কারণে এই বিশাল বাজারটি যেকোনো সময় হুমকির মুখে পড়তে পারে। লাখো কর্মক্ষম মানুষেরা যেকোনো সময় বেকার হয়ে যেতে পারেন। দেশ ও জনগণের স্বার্থে তাই বেভারেজ সম্পর্কিত সঠিক তথ্য উপস্থাপন এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন :
- এনার্জি ড্রিংক কেন নিষিদ্ধ হচ্ছে?
- ভিক্ষুক নয়, আত্মমর্যাদাশীল হতে মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করছি: প্রধানমন্ত্রী
এসআর
মন্তব্য করুন